নারীদিবস
ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
সারাবছর কতরকমের দিবস,
কড়া নাড়ে, আসে আবার চলেও যায়-
চলে যায়; বাদ্যি- বাজনা বাজিয়ে,
বেশ হৈ হট্টগোল, কলরব করে।
প্রচারের নিনাদ, অনেক অন্ধকারকেই
ঢেকে দেয়;যে আলোর বন্যায়
চারপাশে হাজার সূর্যের বিচ্ছুরন,
তাকে অনেকসময় মেকী মনে হয়-।
পুজোর আবহ রচনায় কোন
কার্পণ্য নেই, তবু কি পুজো হয় পরিপূর্ণ!
কাঁসরঘণ্টায় পুজোর আয়োজনের ছোঁয়া-
উৎসবের আমেজ,নারীদিবস আজ
যেমন করে কাল ছুঁয়ে গেছে
মাতৃদিবস,বন্ধুত্বের দিন,পিতৃদিবস,
ভালোবাসার দিন-
আরো কত,এমন দিন!
বিল্টুদের দিকশুন্যপুরের গ্রামের বাড়িতে
এসব কথা কেউ শোনেনি আগে-
বাড়ী থেকে ইস্কুলে আসবার পথে
আজ কত হৈচৈ,গান কত সভা-
সে শুনেছে আজ নারীদিবস –
সবাই কত ভাল ভাল কথা বলছে
গান বাজছে,বেশ লাগছে তার;
সবজায়গায় আজ শুধু,
শ্রদ্ধা, ভালোবাসার –
রকমারি ফুল নিবেদন।।
বিল্টুর এসব দিনের প্রয়োজন নেই-
সে এসবের মানে ঠিক বোঝেনা-
একটি দিনে সব ভালবাসা আর সন্মান
বাদ্যি, বাজনায় ছুটে ছুটে আসে-
তার পরের তিনশো চৌষট্টি দিন
বিল্টুর চোখে পড়েছে
অনেক মায়ের, অনেক দিদির,
অবহেলা, অনাহারের বেলা-
দু চোখ ঝাঁপিয়ে নেমে আসে
লবণাক্ত জল, নীরবতার পালা-
সূর্যোদয়ের সাথেই, সুর্যাস্তের খেলা।।
সব দিন হোক এমন, একটু একটু করে;
উদাসীন নয়
এমনই রঙীন,ছন্দময়;
আঠারোর কৈশোর মন এমন ভাবেই চায়
মাতৃদিবস, পিতৃদিবস,নারীদিবস
শ্রদ্ধায় আন্তরিক,
বাহুল্যহীন, রঙিন
তিনশো পঁয়ষট্টি দিন।।