ভাঙন
– ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
যা চাওনা তোমরা, তাই ভেঙে ফেলো –
লেখা, রেখা, সব শিল্পকলায়, আগুন জ্বালো!
যা চাওনা তোমরা, তাই ভেঙে ফেলো –
লেখা, রেখা, সব শিল্পকলায়, আগুন জ্বালো,
তোমরা তো মনের সুখে, আগুন জ্বালো।
ভেঙে ফেলা তো সহজ খুবই, সৃষ্টি করতে পারো!
সভ্যতা যা বুকে ধরে আছে,তোমাকে বাঁচিয়ে;
তাকেও হত্যা করো!
তোমরা তো মনের সুখে আগুন জ্বালো!
তোমরা তো মনের সুখে আগুন জ্বালো
তিল তিল করে যা গড়ে ওঠে, এক পলে ভাঙা যায়-
ধ্বংস- কেতন কোথা কোনো দিন, করেছে বিশ্বজয়!
চাওনি তোমরা কৃষ্টির ধারা বহমান হয়ে থাক,
মুছতে চেয়েছো ক্যানভাসে রেখা, হয়ে গেছি হতবাক।
তোমরা তো মনের সুখে, আগুন জ্বালো।
করেছ স্তব্ধ কণ্ঠের সুর, সাহিত্য -আলপনা;
আলোকের পথ রুদ্ধ হয়নি,
বেড়েছে যতই সে পথে, হিংসার আনাগোনা।
চাওনি তোমরা মনিষী, মহান শ্রদ্ধাসনে থাক-
নামিয়েছ তারে তরবারি কোপে,
বাজিয়ে হিংসা-ঢাক!
তোমরা তো মনের সুখে আগুন জ্বালো।
শক্তি এমনই তোমাদের দেখি, সব করো খানখান-
প্রতিবাদে আজ চেতনা প্লাবন, এসেছে তুফান।
ভেবেছো এমন! কৃষ্টির ধারা মাটিতে মেশাবে-
ভেদাগ্নি তে আগুন জ্বালাবে!
এমন ভাবনা ভুল-
ভেদ সব ভুলে, ভাঙনের বুক চিরে,
তোমাতে -আমাতে ফোটাবো গোলাপফুল।
তোমরা তো মনের সুখে আগুন জ্বালো।
দুর্বল, তাই ভেঙে ফেলে দাও,
অন্যের ভালো যত কিছু আছে-
করবে ধ্বংস, এ কেমন কথা,
এতো, সৃষ্টির বুকে বাজে।
এবার, ভাঙবে যতই, নামবে আঁধার,
ভাঙবে যতই, নামবে আঁধার,
গোলা, কামানের বুকে!
ততই উঠবো লাভার স্রোতে,
ভাঙছে যে হাত, পুড়িয়ে দিতে-
লেখনীর আগুন হয়ে;
ফুটন্ত ওই লাভার স্রোতে,
ভিসুভিয়াস থেকে।