হে বীরেশ্বর
– অমরেশ কুমার
বীর বীরেশ্বর ! হে ঈশ্বর
করিয়াছ বিশ্বকে
তোমায় বাণীয় ভাস্বর
যত ক্লান্তি, যত অন্যায় যত দুরাচার
সবই করিয়াছ তুমি নশ্বর।
হে তেজ ! তেজস্বী মহানপুরুষ
তব জন্ম লইয়াছ এ ভারতবর্ষে
তুলিয়া ধরিয়াছ বিশ্বের শীর্ষে
এ ভারতবর্ষের সংস্কৃতি,
সমস্ত বিশ্ব দেখিয়াছে তাহার প্রকৃতি।
পাইয়া তোমার স্পর্শ
ধন্য হইয়াছে মোদের ভারতবর্ষ
তাহারই ঘরে ফুটিয়াছে
বিশ্বের সেরা ফুল ।
গর্বিত হইয়াছে তোমার কর্মে
ভারত – মানব – কুল।
তোমারি প্রাণের প্রাণশক্তি
শুনাইয়াছে শত শত মানুষের বন্দিরমুক্তি
তোমারি মনের,
দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভালোবাসা
আজও পথ চলা,
অগণিত মানুষের বুকের আশা।
পথ প্রান্তে পরে থাকা,
কাঙাল,মুচি,মেথর,ভিখারি , ফকির
সদা জপে মালা
হে বীর! বীরেশ্বর–
“রক্ষা করো মোরে
নহিলে যে মরিব অনাহারে।”
লক্ষ লক্ষ মানবজাতি লইয়াছে আশ্রয়
তোমার চরণ তলে।
ভিখারি,কাঙাল পাইয়াছে বসন
নিয়েছ তাদের কোলে।
আজও, আছে পরে
সহস্রাধিক রাস্তায় মরে,
নাহি শোনাইবার কেহ প্রাণের বাণী,
নাহি কেহ জাগাইবার আশা,
হারাইয়া ফেলিয়াছে তারা সকল ভরসা ।
স্বার্থের টানে,সুখের সন্ধানে
ঘুরিছে সকল মানব জাতি
অন্ধ হইয়া, জ্ঞান হারাইয়া
ধ্বংস করিছে সরল প্রকৃতি ।
হে বীর!বীরেশ্বর
বোঝাও এদের তুমি
অর্থ ক্ষমতা এসব থাকিলে
রাজা হওয়া যায়
প্রজা না থাকিলে
সে রাজ্যের রাজার কোনো মূল্য নাই।
আজ আমি ক্ষুদ্র-তুচ্ছ
তোমারই উত্তরসূরি
খুঁজিয়াছি, তোমারই বিশাল
জ্ঞান সমুদ্রের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নুড়ি;
বহুদূরে আজি আমি
তবুও মোর মনে দৃঢ় বিশ্বাস
তোমার প্রতি মোর অসীম ভক্তি
মোর প্রাণে জাগাইবে প্রাণশক্তি।
প্রতি ক্ষণে মনে জাগে বিপ্লবী চেতনা
আর ভেসে আসে স্বাধীনতার বন্দনা;
হে বীর! বীরেশ্বর দাও হে
মোরে প্রাণশক্তি।
অতি দুর্গম আবরণ ভেদ করিয়া
ঘটাইবো বিশ্বের মুক্তি।