কবিতা

কবিতা- জসবাতি

জসবাতি
-সঙ্কর্ষণ

 

 

অবিরাম হাততালি দিয়ে জ্বলছে হাতের তালু
নোনতা ঘাম ঝরে পড়ছে চেটো থেকে।
একটু একটু করে রিক্সাভাড়া অনেক দিন জমালে
ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখা যায়…
সৌজন্য সংখ্যা বলে যা দেওয়া হয় তা আসলে
অসংখ্য অকবির মূর্তিমান বমন মাত্র।

দুর্গন্ধ খালপাড়ের পাশ দিয়ে হাঁটলে
সন্ধ্যার সৌন্দর্যকে অনুভব করা যায় আরেকবার।
বস্তিতে টালির ঘর, উত্তীয়মান বর্জ্যের ফাঁকে
চিরতরুণ বৃদ্ধটি হেসে ওঠে রোজকার মতো…
যেন দৃপ্ত ঘোষণা রাখে, ” আমি আবার আসবো
এই পাঁক থেকে জন্মানো কোকনদ হয়ে”,
ছেলেটিও মাথা নাড়ে ঠিক, ঠিক, ঠিক।

ছেঁড়াখোঁড়া খাতাটির পাশ থেকে হাত ধরে যে কলম
তার কাছে ফিকে হয়ে আসে মৃত কালরাত।
যে বাবাকে বলেনি সে কোনোদিন,
“আমি ঠিক বেঁচে নেবো”… সেই ক্ষোভ, প্রতিশোধ
লেখা আছে ক’টি কবিতায়, শুধু জানে
ভরা পাতাগুলো আর জানে কেটে গেছে তেইশটা বছর।

জানি কেউ দড়ি খুঁজে করে চলে ধোঁয়া-উদগার
ছেলেটির মান মাপে বিষম এক ঘড়ি…
তকমায় বেকারের খাঁড়া ঝুলে থাকে,
সে তো আর জানলোনা এ লেখায় উঠে এলো
কতো বাঁধা বুক, কতোগুলি ভেজা শেষরাত…

কবিতা তো হেরে যাওয়া তরুণের জয়ী জস্‌বাত।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page