কবিতা- অন্ধকার

অন্ধকার
-অযান্ত্রিক

ধর্মের নামে জখম ,আততায়ীর হিসেব নেয়া যাক,
পারবে না শাসনের নামে রং বদলাতে বরফের
আগুনে নিশানে নিশানে চারিদিক যতই সাজাক,
শিরদাঁড়া কিন্তু ভেঙ্গে যায়নি আজও মানুষের।

ফাটিয়ে দিলে মাথা,রক্ত মাখা রুমাল হবে নিশান,
ভেঙে দিলে পা ,স্ক্র্যাচে স্ক্র্যাচে ভর করে হবে মিছিল।
টুঁটি টিপে ধরে থামবে না কোনো প্রতিবাদী স্লোগান,
ভয়ের ঘর ছেড়ে মানুষ ধীরে ধীরে হবেই সামিল।

রাগ তুলে রেখে রেখে,লালচে হয়ে গেছে সোনা রোদ,
হিসেব দিতে দিতে আর কাঁদছে না মরে যাওয়ায়,
তোমার আমার ঘরে মতবাদ যেটুকুই আছে মজুত,
দেখ এইবার সব সাজিয়ে রেখেছি ভাতের থালায়।

ভেঙেচুরে দিলে আবার গড়ে নেবো ঠিক সেটা,
পুড়িয়ে দিলেও ছাই উড়ে এসে বলে দেবে।
পুঁতে দিলে যেনো মাটিই বিপ্লব প্রণেতা,
মৃতদেহও দেখো দাঁড়াবে মানুষ হিসেবে।

যেকোনো মানুষ, যেকোনো অন্য নামে,
স্বাধীনতা পোষে শরীরে এবং মাথায়,
অন্যায় চিরকাল, বিক্রি হয় বেশি দামে।
প্রজা চিরকাল রাজাকে বাঁচতে শেখায়।

Loading

Leave A Comment