ঈশ্বরীয় অনুভূতিগুলো
– কাজল দাস
আমি ঈশ্বরী হতে চাই না!
-ভালবাসো,
ভালোবেসে গড়ে তোলো মানস প্রতিমা।
ঘুমন্ত বিসর্জন থেকে তুলে আনো-
তারপর প্রতিটি অঙ্গে লেপে দাও শারীরিক অনুভূতি,
পায়ের আঙুল হতে শুরু হোক-
তোমার দগ্ধ নিঃশ্বাসের নিপুণ কারুকার্য।
তোমার হাতের তর্জনীতে লেগে থাক
আমাকে সৃষ্টির বর্ণময় উষ্ণতা।
কঠিন হাতের নিবিড় স্পর্শে,
একে একে সৃষ্টি হোক পেশল জঙ্ঘা,
কাঙ্খিত যোনিপথ, নিটোল নিতম্ব।
উন্মত্ত আবেগ মেখে আমি হতে চাই নারী।
তুমি সুধারসে স্নাত করো আমার শরীর,
প্রতিটি ক্ষুধার্ত ভাঁজে জ্বেলে দাও আগুন।
সুকৌশলে নিবিড় নিখুঁত উত্তাপে-
আমার নাভি মূলে গেঁথে দাও মধ্যমা,
কোমরের বক্র তল ছুঁয়ে- দাও অস্থিরতা,
গড়িয়ে পড়তে দাও অশালীন অনুভূতি জল,
তীব্র যন্ত্রনা থেকে তুলে আনো প্রেম।
তারপর-
ক্রমেই- তোমার হাত তুলে আনো বক্ষে,
আলতো ছোঁয়ায় উন্মোচিত করো স্তন যুগল,
পুরুষ চেতনায় ধ্বংস করো দু’হাতে আমায়,
মুক্ত করো আমাকে আমার থেকে।
সকাতর মসৃণ অনুভূতির রঙ মেখে-
আমার শরীর যেন আমাকেই প্রমাণ করে শতবার,
-আমি রক্তে মাংসে শুধু নারী।
শিহরিত ঔদার্যের রসে-
আমার কন্ঠ বেয়ে নেমে এসো তুমি,
আমার ঠোঁটের ওপর রাখো উষ্ণতা,
আমার চিবুক বেয়ে নেমে আসুক তৃষ্ণার জল।
আমি পুজো চাই না,
আমাকে তুলে আনো মাটি থেকে -হে পুরুষ।
আমার শরীর খুঁজে ছুঁয়ে দাও প্রাণ,
আমাকে সুন্দর করে তোলো- প্রতিটি স্পর্শে।
আমি পুজো চাই না,
আমাকে ভালোবেসে গড়ে তোলো মানস প্রতিমা-