মনের মাঝে
-সঞ্জিত মণ্ডল
কবিতা তো রয়েছে মনেতে মন কেমনের মুখছবি-
প্রকাশ কি করে করি বলো আমি নই কোনো কালে কবি।
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি মুখ পদ্মপলাশ দুটি চোখ,
একঢাল কুঞ্চিত কেশ কবিতাটা লেখা নাই হোক।
ধূপছায়া পরা শাড়ি খানি প্রজাপতি ওড়া ভ্রূ দুখানি –
শরমের লালিমা আভায় গোলাপের মাধুরীকে জিনি।
বিস্মিত কবি যুগে যুগে তুমি বুঝি পৃথিবীর মায়া,
আনমনে হৃদয়ে জড়াও একসাথে চলে তব ছায়া।
বৈশাখী হাওয়া এলোমেলো সন্ধ্যা কি ঘনিয়ে আসে –
উজ্জ্বল চোখে মায়া তারা আঁধারে কি জোনাকিরা ভাসে।
জানিনা কোথায় তুমি ছিলে মগধে না গান্ধার দেশে-
পাঞ্চালী নাকি জানিনা সিন্ধু নদের তীরে বসে।
বিদিশার মেঘ আসে ভেসে বিন্ধ্য কি মাথা নীচু রাখে!
আসি বলে সেই চলে গেলে বিরহী কবিকে ভালোবেসে।
দারুচিনি দ্বীপ চিনি নাকো তুমি বুঝি সেখানেই থাকো,
নাটোরের বনলতা সেন তাকে তুমি যে নামেই ডাকো।
আশ্বাস দিয়েছিলে কবে ভালোবাসা বুঝিনি তখন –
এলোমেলো হাওয়া বয়ে গেলে অভাবটা বুঝেছিল মন।
কতোদিন হয়ে গেছে পার পৃথিবীটা অন্যরকম,
বসন্তে বনবীথিকায় কালিদাস পায় নাকো মন।
তোমাকে কি নামে ডাকি বলো কি বলে ডাকলে খুশী হও-
মেঘদূত যাক বা না যাক তুমি অপ্সরী হয়ে যাও।
আকাশেতে মেঘ ভেসে যায় মৌসুমি হাওয়া দোলা দেয়,
ঘন কালো বাদলের মেঘ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরায়।
এসো না দুজনে ভিজে যাই নীপবনে দুজনে হারাই,
বৃষ্টি যে সৃষ্টিকে আনে নতুন জীবনে পা মেলাই।
আলাপী মনকে ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাই