পুরুষ পক্ষ
– রাণা চ্যাটার্জী
বেশ তো ডাকবো না আর,
উশখুশ করা মন’কে “কেমন আছো তুমি”
জানতে চাইলে থাবরে বসাবো।
বুঝিয়ে দেবো, এতটা উদগ্রীব হওয়া সাজে না,
মাথায় রেখো তুমি না “পুরুষ”।
তুমি আগে খারাপ, যাবতীয় সন্দেহের মধ্যমণি,
তারপর না হয় আস্থা, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ!
মনে রেখো বেশি কৌতূহল ভালো নয়..
“মতলবী” তকমা সাঁটাবে সমাজ-নাক উঁচুর দল।
আগ বাড়িয়ে তোমার তথ্যের আদান-প্রদান,
আপন ভেবে সদুপদেশ বুমেরাং হয়ে
তোমাকেই হয়তো নাকাল, খেলো করতে উদ্যত,
অপদস্থের নানান সম্ভার মজুদ আনাচে-কানাচে।
না এমন অস্থিরতা ছিল না সমাজ ভাবনায়।
খারাপের মাঝেও রসাতলে না যাওয়ার ভাল কিছু ছিল অবশিষ্ট, আজও তা সমুজ্জ্বল।
এসবই আজকের অতি আধুনিকতার কদর্যতা।
সামগ্রিক খারাপের মাঝে ভালোরা আছে বলেই
আজও সমাজ স্থিতাবস্থায় পথ হাঁটি।
ট্রেন লেট করার রাতে কখনো ঘাবড়ে যাওয়া
যুবতীকে অভয় দেন সামান্য হকার।
নিশ্চিন্তে বাড়ি ছেড়ে দেয় রিক্সা-টোটোওয়ালা।
সাইকেল চেনে ওড়না জড়িয়ে বিশ্রী পরিস্থিতিতে
মুক্তি দেয় কোন অচেনা যুবক, দোকানী কাকু।
আবার মাঝ রাস্তায় পড়ে গেলে চটজলদি সাহায্য
করতে যেতে, যাব কি যাব না চিন্তায় পা ঘষে কেউ!
নিছক ভালো বন্ধুত্বের জন্য কোন কিছুর বিনিময়
ছাড়াই অনেকে এগিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ায়।
জাগ্রত রাখো বরং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়,
ঠিককে ঠিক, ভুলকে ভুল চিনে সরুক সন্দেহ পর্দা।
সহজ ভাবনায় তবেই না আলো-ঝলমল দুনিয়ার স্বাদ গ্রহণ করে পৌঁছাবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে।
নাই বা প্রয়োজন পুরুষের, ত্যাগ করো জাতটাকে,
তবু খারাপ অভিজ্ঞতায় সবাইকে এক লাইনে
দাঁড় করানো আদতে ভাবনার পশ্চাদগামীতা।