“আতঙ্ক”
-সুমিতা পয়ড়্যা
আতঙ্কে আতঙ্কে দিন কাটে
লাশের ঘরে লাশের স্তূপ,
পচা গলা দেহগুলো অবাঞ্ছিত
কেউ আজ দেখে না, দেখতে আসে না।
ছন্দে ছন্দে আকাঙ্ক্ষাগুলো মুক্তির সন্ধানে।
সেই সূর্যটা ভালো করে তাপ নিয়ে আসে না;
স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় শীর্ণতা গ্রাস করে,
আকাশে মেঘলা দিনের মেঘমল্লার গান,
বৃষ্টির সখ্যতা বাড়ছে দিনে দিনে,
বৃষ্টিতে ভিজতে গেলে একাকীত্ব সামনে দাঁড়ায়।
দূরবর্তী পরিযায়ীরা ক্রমাগত পথ চলে;
দিন রাত্রির হিসেবের ঘরে বাতি জ্বলে না
চোখের পাতায় ঝলসানো আলো
ভীষণ জ্বালাপোড়া পোড়া রুটির আড়ালে।
সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে আতঙ্কে আতঙ্কে
আকাশের তারাগুলো মিটমিট করে দেখছে।
একলা পথ চলা একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে;
শব্দগুলো রুদ্ধ; ভাষা হয়েছে বাক্যহীন
ছন্দ হারিয়েছে চলতি পথের বাঁকে।
সবাই যখন হারায় তখন কবিতারা মুখ তুলে চায়
ঘুমোতে গেলেও নীরবে আর্তনাদ করে ওঠে-
ব্যথা- যন্ত্রণার, হাসি-কান্নার আতঙ্কিত চাদরে।
ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো দোল খায় নিরবিচ্ছিন্ন স্বপ্নগুলো;
বিষণ্ণতার বিনোদনে আতঙ্কের ইতিকথার উপখ্যান,
আবদ্ধ ঘরে ভো-কাট্টা ঘুড়ির মতো অন্ধকারের কনসার্ট।