কবিতা- শহরের বুকে

শহরের বুকে

-অমল দাস

 

 

পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী কৌণিক মাত্রায় চেয়ে দেখি

লুটেরার দল কি মেঘ জমিয়েছে, আকাশের কোণে!    

নাকি ডাকাতির আগে-ই বন্দী সাগর গভীরে;

রোদেলা দুপুর- ভীত পরিবেশ- ফাঁকা সমাগম।    

ঘামেদের উৎসুক প্রবাহ শরীর চেটে চেটে নামে

পায়ের পাতা ছুঁয়ে মাটির গ্রথনে মিশে যায়।   

ঠাণ্ডা পানীয় বোতলের মত লাবণ্য নেই আর।  

আজ শ্রাবণের বৃষ্টিও আসবে না বার্তা এসেছিলো

শুধু লবণের চরে আমি কংক্রিট তাওয়ায় তাপ পোহাই।

আমি যেন মরিয়া হয়ে খুঁজি অহরহ!

কাকে ? – জানে না এ রোদাক্রান্ত মন ..  

জানে আকাশে বাতাসে বিষাদ -বিবাদ এখন!

মেঘের পর্দা ফেলে সৌর আভার মত-  

তুমি মিষ্টিমুখ নিয়ে এসেছিলে খোলা জানলায়।

গৌরীয় কায়া, দীঘল নয়নে -আমার অনতিদূরে

অতিমারী রঙ লেগে আছে দেয়ালে দেয়ালে,  

আমি কবিতার দেশে কবর খুঁড়তে চলেছি…     

যে অভিজাত হাওয়া তোমায় ছুঁতে পারে

সে দোলা দিয়ে গেলো তোমার অগোছালো ঝুলে পড়া চুলে

তুমি চেয়ে চেয়ে দেখলে বিষাক্ত শহরের বুকে

একা একা হেঁটে যাই আমি…  

 

Loading

6 thoughts on “কবিতা- শহরের বুকে

  1. শুরু থেকে শেষ- কবিতা যেন ছবি হয়ে ধরা দিল। বিষণ্ণতার সুরে, অপেক্ষার আবহে, সর্বোপরি একাকীত্বের মূর্ছনা মনে দাগ কেটে যাচ্ছে। অসাধারণ

    1. বিষণ্ণতা একাকীত্ব অপেক্ষা আর ঘটনার সামগ্রিকতা সব মিলেমিশেই জীবন যেন এক ছবি, আর তাই লেখার চেষ্টা। ধন্যবাদ আপনাকে।

Leave A Comment