যীশু
– তাপসী শতপথী
যীশু আজো দাঁড়িয়ে দেখি,
পেরেক ঠুকে তোমার বুকে,
যন্ত্রনাতে বিদ্ধ হয়েও
মাতছো তবু সৃষ্টি সুখে।
ঝরিয়ে পাতা শীর্ণ হলো
পুড়লো হৃদয় শুকনো কাঠে
যখন তখন রক্ত ঝরায়,
যখন তখন তোমায় কাটে!
ফুলের ডালি ,ফলের ডালি,
দিচ্ছো তুমি দুহাত ভরে,
দিচ্ছো ছায়া রৌদ্রে সেঁকে
পুড়ছো শরীর মোদের তরে।
দূর আকাশের মেঘকে ভেঙে
আনছো টেনে সুধার বারি
শুদ্ধ বাতাস টানছি সুখে,
সে কথা কী ভুলতে পারি!
তবুও যীশু দাঁড়িয়ে একা
ক্রুশে বিদ্ধ রক্তক্ষরণ,
ইতিহাসের কাল থেকে সেই
কষ্টটাকে করছো বরণ।
বিজ্ঞাপনের পেরেকগুলো
প্রতিদিনের যন্ত্রণাতে,
অশ্রু ঝরায় শরীর বেয়ে
মানুষ তবুও সুখ টানেতে!
ভাঙছে শাখা ইচ্ছেরা সব,
পাতায় আঁকে পতন রেখা,
অট্টালিকার হাতছানিতে,
ধ্বংস স্তূপে দাঁড়িয়ে একা!
আসবাবেতে ফসিল হয়ে,
আত্মা পোড়ে আগুন জ্বেলে
খান্ডব বন দহন হবে
লোলুপ ক্রুর দৃষ্টি ফেলে।
জীবন যজ্ঞে প্রতিদিনই
আত্মাহূতি দিচ্ছো বিভু,
নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছো রোজই
যীশুর মতো দাঁড়িয়ে তবু!