“ঈশ্বর ,ধর্ম ও মানবতা”
-উজ্জ্বল সামন্ত
দেবতা কি শুধু বিরাজ করেন বিগ্রহে?
ঈশ্বর তো অন্তরাত্মায় মানুষের মনে
সর্ব ধর্মের পরমাত্মা বিরাজমান
শ্রদ্ধায় স্মরণ জ্ঞান ভক্তি কর্মযোগে।
মুমূর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে
জাতপাত ধর্ম ভুলে বাঁচার তাগিদে
মানুষ মানুষের জন্যে উপলব্ধিতে
ধর্ম কি আছে! মন্দির ,মসজিদ, গির্জাতে ?
জন্মসূত্রে পৃথিবীর বুকে আসা মার্তৃগর্ভে
বিবস্ত্র হয়ে নেই পৈতা মালা তিলক ফোঁটা
রক্তের রঙ লাল নেই বিভেদ সেখানে
তবে কেন ধর্মের নামে হানাহানির স্ফুলিংগ ওঠা ?
রাম যে রহিম ও সে খোদা-আল্লাহ যীশু
ধর্মের বিভেদ জানেনা কোনো নিষ্পাপ শিশু
জন্মের পরে ধর্মান্তর নামকরণে
সমাজে বেড়ে ওঠা আত্ম পরিচয়ে ।
গীতা বাইবেল পুরাণ কোরানে
ঈশ্বর এক ভিন্ন পথে মতাদর্শে
সমাজ দেশ ও জাতির কল্যাণে
মানুষ মনুষ্যত্ব ভালোবাসা সর্বাগ্রে।
মানুষ মনুষ্যত্ব ধর্মের দাড়িপাল্লায়
বিবেক ভালবাসা সম্পর্ক ভুলে
কিছু স্বার্থানেষ্বী ধর্মভীরুর উস্কানিতে
মানবতা বিপন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে।
ঈশ্বর আছেন বিশ্বাসের ভক্তিতে
কেন তাঁকে আমরা চার দেয়ালে আবদ্ধ রাখি!
তিনিতো মুক্ত আত্মা পরমাত্মা শক্তির উৎসে
তবে কেন তার নামের বিভেদ,আমাদের স্বার্থে ?
ধর্মের অন্ধকার অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারে
এক চিলতে আলোর উৎসে অন্ধকার ঘোচে
ধর্ম তার জ্ঞানে যুক্তিতর্কে বিশ্লেষণী পরিচয়ে
শিক্ষা সভ্যতা সংস্কৃতির মেলবন্ধনে
জীব সেবাই শিব সেবা মনে রেখে,
একই সূত্রে গাঁথা মোরা ভারতবাসী
জাত পাত ধর্ম বর্ণ ভুলে কীর্তিমান বিশ্বে….”