অণু গল্প

অণুগল্প- সিক্রেট -৩

সিক্রেট
– সুজিত চট্টোপাধ্যায়

 

 

পর্ব-৩

অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলো। ডিভোর্স দিয়ে দেবার জন্য। উপার্জনশীল স্ত্রী। অকারণ বদমেজাজি মাতাল স্বামীর, নিত্যকার শারীরিক মানসিক নির্যাতনের টার্গেট বোর্ড হবার সত্যিই কোনও মানেই হয়না।
ছ’বছর অতিক্রান্ত। বিয়ে হয়েছে। কিন্তু, সংসার কিছুতেই সন্তান ছাড়া পূর্ণতা পায়না।
কার দোষ কে জানে।

অশীতিপর বিধবা শাশুড়ীর অন্তিম চাহিদা। সংসার হলো, স্বামী স্ত্রীর শোয়া বসা সবই হলো । অথচ..বাঁজা বউ নির্ঘাত। নইলে এতসময় লাগে নাকি?
অশীতিপর সময় সময় যৌবনবতী হয়ে ওঠে।
মনে মনে। স্মৃতি।

পাশের বাড়ির নব্য তরুণ। সদ্য গ্রাজুয়েট। ছাদে ঘোরাঘুরি। চোখ পরস্ত্রীর ঘরে, জানালায়, বারান্দায়, ছাদে, সর্বত্র। বয়সের ধর্ম। বাগ মানে না। বাঘ হতে চায়।

ইদানীং বেশ ভাব জমেছে দুজনের। কামনার আকর্ষণ। মাকড়সার জাল। শিকার। ক্ষুধার্ত শিকারী।
শাশুড়ীর অবিবেচক খোঁটা, বাঁজা বউ।
হয়ে যাক পরীক্ষা সত্যা সত্যের।

সেদিন দুপুরে। ধামসানো বিছানায় প্রবল ঝড়, বিধ্বস্ত এলোমেলো আলুথালু স্ত্রী। তারুণ্যের কালবোশেখী বৃষ্টি ঝরিয়ে চলে গেছে তরুণ। শুধু রেশটুকু রয়ে গেছে তখনও।
রিংটোন বাজছে। অচেনা। তরুণ ফেলে গেছে ভুলে। স্ক্রিনে চেনা নাম জ্বলজ্বল করছে। ওপারে চেনা কন্ঠস্বর। স্বামী। কাজ সমাধা তরুণ?

তরুণ ফিরে এসেছে। ফেলে যাওয়া ফোনের টানে।
ফোন ফিরিয়ে দেবার ছলে। তরুণের হাত চেপে ধরে পরস্ত্রী এক নিঃশ্বাসে উচ্চারণ করলো।
ঔরস যারই হোক। শুধু মা হতে চাই। ঘুচে যাক বাঁজা বদনাম। রসাতলে যাক সাজানো সতীত্বের মূল্যহীন অহংকার।
আমাকে অসতী মা করে দাও।

 

Loading

One Comment

Leave a Reply to দীপঙ্কর বিশ্বাসCancel reply

You cannot copy content of this page