চৈতন্য
– সঞ্জিত মণ্ডল
চৈতন্য দাও মহাপ্রভু আজ কিছু শিখে নিতে চাই
গরুর দুধেতে কতো সোনা আছে বলো-
দেশটাকে সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়ে যাই।
শিক্ষা দীক্ষা নাকি চেতনা
অচেনা সমীক্ষাতে কি যে বলে পাগলে মানিনা।
বিজ্ঞানী মহাজন কেউ কিছু জানে না,
নেতারা যা বলে গেছে সব দেখি ফলে গেছে মিথ্যা না।
মুখ্যু দেশের লোক বোঝে না,
তালিতেই রোগ সারে জানে না।
আমরা তোমার লোক, বর্গী বলুক লোক
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না।
কতো নেতা কতো করে বাহানা-
তুমি বুঝি আজকাল কান পেতে শোনো না?
ছুঁতো নাতা তুলে ধরে দিনরাত গান করে আমাকেই এ ভোটে জেতাও না।
কে বলেছে নেই ধ্যান ধারণা –
বাঙালি সংস্কৃতি, সেরা সেটা তো মেনেছি
কতো কিছু জানি তুমি দেখোনা।
পাঁচশো বছর আগে মহাপ্রভু চলে গেছে, কি হয়েছে,
কেশব ভারতী এসে এই তো কদিন আগে দীক্ষা দিলেন না-
দুশো বছরের আগে দীক্ষা নিয়েছে বলে
নেতারা তো মিথ্যা রটান না।
কবিগুরু ও নিমাই কোথায় জন্মেছে ভাই
পাখিপড়া করিয়েছি জানো না!
মানলাম, জোড়াসাঁকো কোথা সেটা জানে না,
নদীয়ায় নবদ্বীপ সেটাও সে জানেনা।
শান্তিনিকেতন যদি জন্মভিটাই বলে
কাটোয়াতে তফাৎ তেমন কিছু দেখিনা।
ব্রহ্মাস্ত্রটা দেখি পরমাণু বোমা নাকি,
মিসাইল একাঘ্নী জানো না!
পুষ্পকরথে চড়ে প্রথম পাইলট কারে,
কারে দেখি উনি সেই রাবণ না!
কুবেরের ভাই তিনি হোন না,
পুষ্পকরথ কেড়ে উবের ব্যবসা ধরে
কারে চেপে রথে উড়ে যান না।
হনুমান আকাশে ওড়ে, গরুও গাছেতে চড়ে
ভেবে দেখি গণপতি দুধ নাকি খান না!
প্লাস্টিক সার্জারি গণেশের মাথা নাকি
টেস্ট টিউবের বেবি কৌরব নাম না!
ঠেকাতে করোনা চাই গরুচোনা আছে ভাই
গোময়েই শুদ্ধতা এখনো জানেন না!
মোক্ষটা পেয়ে যাবে হাতে তালি বাজাবে যে
রোগ শোক ধরবে না, কিছু না –
প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখো ঘন্টা বাজিয়ে দেখো
কাঁসর বাজালে রোগ থাকে না।
ভাইরাস ভয়েতেই ঘর ছেড়ে পালাবেই –
বিজ্ঞানী বিস্মিত হবে না।
ঝাড়ফুঁক ওঝাতে বিশ্বাস ফেরাতে,
কতো নেতা ধরে কতো বাহানা।
নেতা যে কথাটা বলে অনুগত ছাগলে
বলে তার বেশী কিছু কম না।
দ্বিধা হও ধরণী, চোখ মোছো আপনি
বিদ্যেবুদ্ধি কিছু চাই না,
চৈতন্য দাও মাগো এবার পবিত্র হবো
গোময় গোচোনা বিনা ওষুধ খাবোই না।
আলাপী মন কে অসংখ্য ধন্যবাদ আর অন্তহীন শুভেচ্ছা জানাই। কবি অমল দাস, কবি রীণা চ্যাটার্জি ও স্বজন সাথী কে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আর অন্তহীন শুভেচ্ছা জানাই। সাহিত্যের প্রাঙ্গণে এগিয়ে চলার অঙ্গীকার।
চমৎকার লেখা
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই