কবিতা- নিপীড়ন

নিপীড়ন
-অযান্ত্রিক

 


কামিজে আড়াল টানি, করা যাবে রাহাজানি,
চোখ বাঁধা ধারা বলে বৈধ।
ব্যাখ্যার বাহাদুরি,করে শৈশব চুরি
সাবেকি পস্কো তুমি কই গো।

আইনের ধারা মতে, চলে গিয়ে ভুল পথে,
ছোঁয়া ছুঁই সব করা যাবে।
মেয়ে হয়ে মেয়েবেলা,করে দিয়ে ছেলেখেলা,
মিশে গেলে ?পতন উৎসবে।

কাকু এসে টিপে দিলো,কামনার তাপ নিলো,
ভালো বদ ছোঁয়া বেমানান।
গ্রহ নিগ্রহ গীত,এখন সবই অতীত,
প্রকাশ্যে ভোগ করে যান।

ছুঁয়ে দিলে ভিড় বাসে, সে আর কি যায় আসে,
মত ভেদে বিপদে পড়ছে সম্ভ্রম।
কামিজ শাড়িতে চলা,ওদের ওটা ছলাকলা,
অচিরেই হবে অবাধ সঙ্গম।

কিন্তু হঠাৎ যদি, ক্ষেপে ওঠে ভরা নদী,
ভেঙে দেয় ছুঁতে চাওয়া হাতটা।
তখন সে রূপ দেখে, বলবে-বা তুমি কাকে?
রাস্তায় নেমে গেলো জাতটা।

কৈশোর হলে লাঞ্ছিত ,থাকলে আচ্ছাদিত,
হাত জানে চেনা ছকে হাঁটা।
হেনস্থা নজীরবিহীন, বলছে সহজ আইন,
হতে হবে চোখ কান কাটা।

ছুঁলে আড়াল থেকে, হবে নাকো আজথেকে,
নিপীড়ন আইনী হদিশ।
আমিও ভাবছি দেখে,বলব আমার মেয়েটাকে,
কেউ ছুঁলে হাত ভেঙে দিস।

ভাববি না বাবা কাকা, লজ্জাটা লোক দেখা,
ধারা বলে ওটা কিছু নয়।
নিজেকে বাঁচাবি নিজে,দিবি পেন ছুরি গুঁজে,
কাপড় আড়ালে খোঁচা ,নয় অন্যায়।

Loading

Leave A Comment