দ্বৈরথ.!
-রীণা চ্যাটার্জী
একটা দুপুর দেখি, শুয়ে থাকা অলস দুপুর
মিঠে কড়া রোদ্দুর কার্ণিশ বেয়ে নেমে আসে,
লুকোচুরি খেলে উঁকি দিয়ে মায়াবী স্পর্ধায়।
উড়ো কথা বলে ভেসে যায় কিছু উড়ো মেঘ,
‘খোকা হোক, খোকা হোক’ ডাকের ব্যস্ত সুর
কিংশুকের শুকনো শাখায়ও তোলে হিল্লোল
কান পেতে শুনি ঝরাপাতার কোন্দল আর
পথ চিনে ফিরে আসা কিছু পরিচিত স্বর
আমি শুয়ে দেখি, সবটুকু অলসতা মেখে।
তবুও অনিচ্ছার কিছু স্বপ্নের ভিড় আশেপাশে,
খুলে নেয় অলসতার ছদ্মবেশ আকস্মিক টানে..
চমকে দেখি প্রিয়জনের সাজানো শত্রু শিবির
অসম দ্বৈরথের দামামা বাজিয়ে, অবিশ্বাস আর
মিথ্যের প্রাচীর দিয়ে ভেঙেছে সব শান্তি-সুখ।
মুঠোভরা ত্রাসে, বাঁচার আশায় সরে যায়
অলসতা, সংগ্ৰাম এখন শুধু অস্তিত্বের সংগ্ৰাম।
ঐকিক সুদকষার বেমিল হিসেবে দূরে..বহুদূরে
অলস দুপুর- মিঠে রোদ্দুর, একলা সুখের ঘোর,
স্বপ্নরা বলে কানে কানে- লড়াই তো হয় নি শেষ
অলসতা-মোহ-মায়া জীবনে বিলাসীতার আবেগ।
ছত্রাকের গ্ৰথন রহস্য সম্পর্কের পুঁথির প্রতি পাতায়
ছন্দপতনের একলা ঘরে শুধুই পচনের ছবি ফোটে,
তবুও দেখবো অলসতার ছবি- বন্ধ চোখে তুলসীর
ফাঁক দিয়ে, উড়ো খইয়ের সাথে নামাবলী গায়ে।
বেশ ভালো লাগলো