কবিতা

কবিতা- ফাঁকি

ফাঁকি
-কাজল দাস

 

 

দুই এক্কে দুই, দুই দু’গুনে চার
তিন দু’গুনে ছয়, ছয়…. ছয়……
ভুলে গেলাম, তার পরে’তে…
কি যেন…. কি.. হয়?
নামতাগুলো মাথার ভেতর
কোথায়.. যেন থাকে,
বলতে গেলেই হাতড়ে মরি
ঘিলুর ফাঁকে ফাঁকে।
অঙ্ক দেখলে বুকের ভেতর
কেমন জানি হয়,
কষতে গেলেই হারাই যেন-
পিতৃ পরিচয়।

মাষ্টমশাই রেগে বলেন-
“কি করেছিস গাধা,
সহজ কিছু অঙ্ক দিলাম
বানিয়ে দিলি ধাঁধা?

কি আর বলি মাষ্টোমশাই
বোঝাই যে কি ব’লে!
অঙ্কগুলো খাতায় ছিল
নামলো গিয়ে জলে।
অঙ্ক যখন কষতে বসি,
খাতা কলম নিয়ে!
কাগজ বলে পাল তুলে দে
নৌকাটা বানিয়ে।
কোথা থেকে জলের রাশি,
উপচে পড়ে খাতায়,
অঙ্কগুলো সাঁতার কাটে,
আর থাকে না মাথায়।
অঙ্ক ছোটে আমিও ছুটি
মনও ছোটে পাছে,
একটু তে যে হাঁপিয়ে মরি,
আমার কি দোষ আছে?

চুপ কর তুই- মাথা মোটা
মাথায় গোবর পোড়া,
কাল যদি না অঙ্ক মেলে-
ভাঙবো রে ঠ্যাং জোড়া।

মিছেই কেবল দোষ দিচ্ছেন
মিছেই বকাবকি।
সত্যি বলছি- দিব্যি করে,
চোখ দু’টো দেয় ফাঁকি।
পড়তে যখন বসি আমি
সন্ধ্যে বলে এসে-
“চল না একটু ঘুরে আসি,
স্বপ্ন পরীর দেশে।”
চোখকে বলি যাস নে রে ভাই
থাক না আমার কাছে,
কাল যদি না পড়া পারি-
অনেক কষ্ট আছে।
শোনে না সে আমার কথা,
যতই বোঝাই তাকে।
মা-ও ডাকে, আমিও ডাকি,
নাকও তেমন ডাকে।

Loading

One Comment

Leave A Comment

You cannot copy content of this page