কবিতা- বিসর্গ

বিসর্গ

-অমল দাস

 

 

 

বর্গীদের গিলে অবশেষ

           -এই যে এই পিচ-মোড়া পথ,   

এই দিকে সেই প্রান্ত -ওই দিকে ওই..

এ পথেরই কোনও এক কোণে-

বনানী ত্যাগী অশ্বত্থের বিমর্ষ ভাঙা পোড়া ঘর।   

তুমি প্রায়ই চুপি-চুপি আসো আর চুপি-চুপি যাও!

হয়তো পরিখায় ঘেরা জীর্ণ দূর্গের ভিতর-

অন্ধকার কূপে মনে মনে হাসো! 

যে হাসিতে নিভে যায় বৈকুণ্ঠেরও তৈলাক্ত শিখা।  

বিদ্রূপের জলাশয়ে থৈ-থৈ জল  – উপচে পড়ে..

অথচ ভুলোসাথী -রোজ জল ঢেলে তৃষ্ণার পাথরে

ধুয়ে নিতে পারতে বিগত শতাব্দীর ভগ্নস্তূপ শ্মশানের ছাই! 

উষ্ণ নিঃশ্বাসের বিন্দুর বিসর্গ.. ভেঙে দিতে পারতো

মৃতপ্রায় মূলে মৌন-দুয়ারে শয্যা শায়িত

  • অশ্বত্থের চিরায়িত ঘুম!

বসন্তে সবুজের কচি কচি পাতা এলে-

       তুমি নাম লিখে দিতে প্রতিটি বৃন্তে।   

হৃদয়ের মত কোমল আঙুল দিয়ে-  

   প্রাক গোধূলির স্নিগ্ধতায় ছুঁয়ে যেতে রোজ।

অশ্বত্থ ঝুঁকে আছে – আরও একটু ঝুঁকে 

তুমি ছুঁয়ে নিতে চোখে, চুলে-ঠোঁটে-গালে..

 

Loading

6 thoughts on “কবিতা- বিসর্গ

Leave A Comment