অ- চেনা গন্ধ
-চ্যাটার্জী অমল
প্রিয়তমা এ কেমন বিচার তোমার?
সন্ধ্যা গড়ানো কিশোরী জ্যোৎস্না যখন তোমার কোলজুড়ে বসে
একফালি চুমু রেখে যেত দুধ সাদা শরীরে, তখন একটা
গল্প লেখার ছলে প্রতিদিন পেতে চাইতাম তোমার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য।
যে গল্পের কুশিলব তুমি আমি আর ছিল আমাদের
চার দেওয়ালের সুখ সুখ ভালোবাসার নৈবেদ্য। যদিও
আমাদের গল্পটা চার দেওয়ালে বন্দী হবার আগেই
তোমার আভিজাত্যের কর্কশ উপেক্ষায় শিরোনামহীন হয়ে
আজো রয়ে গেল।
অথচ কী আশ্চর্য দ্যাখো… বিধাতার কী নিষ্ঠুর পরিহাস!
হৃদয়ের বাদশাহী সড়কে স্মৃতির খোঁড়ল চুয়ে যখন
নির্দ্ধিধায় টুপটুপ করে ঝড়ছিল ক্ষীণচেতা কিছু স্মারক।
জীবনের পটভূমে তুমি মূল্য না দিলেও ইতিহাস ভেঙে ভেঙে
যখন জানান দিচ্ছিল প্রহসন হয়ে যাওয়া তাদের যৌবনের ইতিহাস,
তখন থোড় বড়ি খাড়া ছায়াছায়া আলোর ইমারতে
অতীতের ভুল ভেঙে সেই তুমি এলে নিষিদ্ধ এক গল্পের খোঁজে…
তুমি এলে যখন অপেক্ষার ভারে ফুলগুলোর বুকে জমাট বেঁধেছে
থোকা থোকা তাজা রক্ত।
চেনা পৃথিবীর মসৃণ বাগানে হঠাৎ অচেনা পায়ের ছোঁয়ায়
এলোমেলো হলো ধ্রুপদী শব্দের আলাপন,
বিড়ম্বনার বিপুল বিশালতা হড়কা বানের মতো নিয়ে এল
একরাশ বিব্রতকর অস্বস্তি। চেনা হলেও ভাবিনি
তোমার সাথে আবার দেখা হবে এমনি করে
কোন এক অ-চেনা গন্ধে শূণ্যতার ঝুলবারান্দায়।