কবিতা

কবিতা- ছিন্ন বীণা

ছিন্ন বীণা

-অমল দাস

 

 

ভোরের শিশু ফুল এনেছো? ফুল!

পয়সা নেবে না? এমনিই তুমি যাবে?

যাও না তবে আমার অর্ধ-প্রেমের আঁধার ঘরে

ফুলগুলোকে যত্নে নিও

-তার ডালায় দিতে হবে!   

 

একটি দুটি যন্ত্রণা সে গাঁথতে থাকুক রবির গানে

সজল চোখে সাজিয়ে দিক তার দেবতার চরণে।

 

কেঁদো না আর!

এই সমস্ত ফুল পাঠিয়েছি আমি

যে যন্ত্রণা টাঙিয়ে রাখো ক্যালেন্ডারের মতো

টান দিয়ে সব ছিঁড়ে ফেলো দুয়ার থেকে দূরে

একটিবার -একটিবার জাগিয়ে তোল

   -তোমার সাহস যত!  

 

ভাবছ কি! আত্মীয়তা গীটারের তার

বাজবে না আর  

ছিন্ন হলে। চুলোয় হোক ছাই… 

মৃত্যুমুখী তোমার দিকে চায়নি যারা চেয়ে

কি পেয়েছ? কি পেয়েছ?

এতো মৌন আবেশ ছেয়ে!

 

বলতে পারো…

এই এতকাল কার ছবিতে রঙ দিয়েছ ঢেলে?

কোন ছবিকে টাঙিয়েছ প্রদর্শনী দেয়ালে?

ধূল জমেছে তোমার ঘরে

-তাপ মাপনি জ্বরে

সমস্তটাই লুটে গেলো রোদহারা বিকেলে!   

 

ভাবছ তুমি, সব তোমার ব্যাপার?

-হ্যাঁ তোমার ব্যাপারই বটে!  

তবে মূল্য পাঠিও ফুল শিশুটির হাতে  

পারানিতে লাগবে কাজে

আমার অপেক্ষারা জ্বলছে শ্মশান ঘাটে। 

 

Loading

2 Comments

Leave A Comment

You cannot copy content of this page