কবিতা- নারী

নারী
-শচীদুলাল পাল

 

 

নারী মানে রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতী
কর্মে দাসী স্নেহে মাতা মন্ত্রনাতে মন্ত্রী।

কর্মে নারী ধর্মে পত্নী ক্ষমায় বসুন্ধরা,
দিবারাত্রি সেবিকাটি সেবায় স্নেহধারা।

যুগে যুগে নিপিড়ীতা সেই বরবর্ণিনী
পঞ্চপাণ্ডব ভোগ্যপণ্যা রমণের রমণী।

মহারথী শর্ত মানে দ্রোপদীরে দানে।
দুঃশাসন বস্ত্র টানে চুপ সব অপমানে।

গর্ভসঞ্চার,ঋষির প্রয়োগ প্রথা নিয়োজনে,
পুরুষ দ্বারায় নিয়মকানুন প্রথা প্রবর্তনে।

পুরুষ ভোগ্যা প্রলোভিতা শকুন্তলা নাচার।
অন্তঃসত্ত্বা অস্বীকারে বিস্বরনের শিকার।

সীতার অগ্নি পরখ, রামের সংশয় নিবারণে,
মহীয়সী নারী মরে বারবার অপমানে।

পুরুষ ইচ্ছার প্রতীক নারী, ভোগ্য যত্রতত্র।
নারীভোগে রেয়াৎ, যখন মুনি কামতাড়িত।

হবে তুমি মহীয়সী হলে সেবাদাসী,
পুরোহিতের শয্যাসাথী তবেই দেবের দাসী।

ঘোমটা মাথায় ছিল নারী হতো সমাদৃতা।
নারীর বিপদ নারী ডাকে যখন অনাবৃতা।

প্রস্তর খন্ডে কারুকার্য নগ্ন নারীমূর্তি
শিল্পীর তুলি কবির কাব্যে নগ্নতারই পূর্তি।

ইতিহাসে দ্রৌপদী আর হেলেন জয়নব সীতা,
যুগে যুগে মহাকাব্যের যুদ্ধ রচয়িতা।

Loading

Leave A Comment