কবিতা

কবিতা- ধৈর্য

ধৈর্য
চ্যাটার্জী অমল

 

 

গজগজ করলেই তোমার মুখের ভূগোলটা কেমন যেন
বদলে যায়।চলন বলন অবুঝ হয়ে ভাঙে বেসুরো পথ।
দুর্বাসা মনে তেল সিঁদুর যতই চড়াও ভবি ভোলবার নয়,
ব্যাজার মুখে যুদ্ধ করার ছবি সে তুলবেই।
হয়তো ভরপেট্টা ইচ্ছেগুলো জোয়ালের ভারে ফিকে
হয়ে যায় বলেই ভালোবাসার স্বপ্নগুলোও হয়ে যায় তেতো।

 

তালে তাল মিলিয়ে টপকাতে হয় সিঁড়ি। হিসেবের কড়ি
ফসকে গেলেই হুঁস হারিয়ে ঠাঁই হয় ঠেলাগাড়িতে।
তখন শাখাপ্রশাখাময় ভাবনার আড়ালে সুরেলা দীর্ঘশ্বাস
লিখে যায় মৌন হাহাকারের সংলাপ,অসময়ে নিঃসঙ্গ
তরীটি বাইতে বাইতে স্মৃতির কৌটো খোলে স্বপ্নের নীল পাখি।

 

হাসি কান্না সুখ অ-সুখের আস্ফালন থাকবেই পাঁজরের
খোঁয়াড়ে, জীবনের ব্যাকরণে কিছু সাধ কিছু না পাওয়ার
ধারাপাত থেকেই যায় পরম পাওয়ার বাহুবন্ধনে বন্দি হতে।
গতিময় জীবনে শত ব্যস্ততার মাঝে কারণে বা অকারণে
ধৈর্য না হারালেই সুরের অঞ্জলীতে সাজবে মানব তীর্থ।।

Loading

One Comment

Leave A Comment

You cannot copy content of this page