কবিতা- “কবি তুমি লেখো “

“কবি তুমি লেখো “
-সঞ্জিত মণ্ডল

 

 

লেখা আসে প্রেমে, লেখা আসে অভিমানে,
যখনই চেয়েছি অবয়বে,কেন জানি লেখা গেছে থেমে!
বিরহেও লেখা আসে তাই বুঝি দূরে ভাসে
প্রিয় সঙ্গিনী সব ওই দূরে তারার আকাশে
তাই বুঝি স্বপ্ন হয়ে আসে, কবির প্রেয়সী, মানে অভিমানে।
কবি লেখে আপনার মনে।
মাঝে মাঝে কবি বলে আপনার মনে, নাদিলে দিওনা ধরা,
আমি থাকি আত্মহারা জেনো আমি সর্বহারা হয়েছি তোমাতে।
সে কোন জনম হতে ধরা আমি পড়েছি তোমাতে।
তুমি কিছু দিলে বা নাই দিলে সাথে
একটা জিনিস শুধু নেবো হাত পেতে
আকন্ঠ অধর সুধা কবিতা লেখাতে।
তারপরে ভুলে যেও আর নয় ভুলে থেকো তুমি
লেখা লেখি এ কবির আসবে তখনই।

সম্পর্ক যেমন আছে সে তেমনি থাক
আমি শুধু হয়ে থাকি তোমাতে অবাক,
যে রহস্যে আবৃত করেছ নিজেকে সে রহস্য থাক
আমি থাকি তোমাদের নয়নের জলে, প্রিয়তমা বলে
ডেকে যেন পাই কবিতা লিখতে চাই প্রিয়া বলে।
তুমি থাকো ওই দূরে তারাদের ভীড়ে
দূর থেকে যতটুকু দেখেছি তোমাকে সে দেখাতে বিস্ময় আছে
সেটা আমি ভুলবো না জেনো, সে কবিতা লিখিনি এখনও।
দেখা না দেখের ভিড়ে যদি কিছু স্বপ্ন ঘিরে আসে
সেটা হয় তোমার কবিতা তোমাকে পাবার আশালতা।

মনে হয়েছিল কিসে কবিরাই কেন শুধু প্রেমাবেগে ভাসে
শুকনো মুখে, বোবা চাহনিতে,বুঝে নিতে কষ্ট নেই মোটে,
ঝোলা ব্যাগ কাঁধে কবি উস্কো চুলে,নির্ঘাত ডুবেছেই জলে,
যারা অতি ভালোবেসে মরে ডোবে তারা গভীর অতলে।
বলি তাই, লেখা যদি দেখতেই চাও অন্তহীন ভালোবাসা দাও।
প্রেয়সীকে ভালোবেসে লেখা আসে, জেনেছে সকলে।
বিশ্বপ্রেমে ভাসে কবিদল,কবিতার চাহিদাও হয়েছে প্রবল ।
সত্যি করে বলো আদি কবি বলো তুমি বিশ্বের রবি
প্রেমহীন কোনও কবি কোথাও কি ছিলো কোনো কালে?

Loading

One thought on “কবিতা- “কবি তুমি লেখো “

  1. যে রাখাল ফেলে যায় বাঁশিটা তাহার সেই গোঠে
    আমিও সেথায় ছুটি কুড়াবো বাঁশিটি মেঠো পথে।
    একরাশ ভালো লাগা প্রিয় বন্ধুরা, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানাই। আলাপী মন মন ছুঁয়ে যাক বারে বারে।

Leave A Comment