• কবিতা

    কবিতা- দেবতারাও কেন চুপচাপ??

    দেবতারাও কেন চুপচাপ??

    -অনোজ ব্যানার্জী

     

     

    এখানে দূরন্ত কালো শকুনেরা জ্যান্ত মানুষের বুকের হৃৎপিণ্ড খায় ছিঁড়েছিঁড়ে
    মহা উল্লাসে,
    মৃত লাশের ভীড়ে যায় হারিয়ে জীবনের অস্তিত্বের সবকিছু চাওয়াপাওয়া।
    শক্তিমান দেবতারা দেখে চেয়েচেয়ে,,
    ভক্তিমান পূজারীরা করে চলে পূজা ফুলচন্দন,, ফলমূলাদি, মিষ্টান্ন, ধূপধূনো দিয়েদিয়ে।
    কোটিকোটি টাকা পড়ে খসেখসে নষ্ট তারাদের মত। বাজে অবিরত কাঁসরঘণ্টা, ঢাকঢোল।
    চারিদিকে কলরোল, আমোদ উৎসব,
    হাসির ফোয়ারা।
    হয়না কোন অন্যায়ের,,কোন অত্যাচারের প্রতিবাদের বজ্রহুংকার,,
    করেনা কেউ কোন প্রতিকারের শুভ আয়োজন।
    বিসর্জনের বাজনা চলে বেজে বারুদের পোড়া গন্ধে।
    সকালসন্ধ্যে,দিনরাত,
    যাদের আদেশ ছাড়া নাকি নড়েনা একটিও গাছের পাতা,,
    সেই মহাশক্তিধর দেবতারাও কেন আজো তবু চুপচাপ??

  • কবিতা

    কবিতা- পাখির পালক পড়লো জলে

    পাখির পালক পড়লো জলে
    – অনোজ ব্যানার্জী

    পাখির পালক উড়ে এসে পড়লো আমার জলে।
    বাড়াভাতে ছাই দেওয়া, কাকেই বা আর বলে!!
    তেষ্টায় বুক যাচ্ছে ফেটে, জলপান কি নেইকো ঘটে?
    জানিনা কি কারণে বিধি, আমার উপর আছে চ’টে।
    কখন থেকে ভাবছি বসে,করবো পান সুমিষ্ট জল।
    বালতি পেতে তাইতো আমি,দিলাম খুলে জলের কল।।
    পাখির পালক করছে খেলা,এখন আমার খাবার জলে।
    অবাক চোখে দেখছি বসে,ভাগ্যটা কোন পথে চলে।।
    কলের জল ও হলো বন্ধ,অতিথি -কারেন্ট গেল চলে।
    ঘরেও নেই স্টক জল,জানিনা কি আছে কপালে!!
    পাতালের জলও যাচ্ছে ফুরিয়ে,, এবার তেষ্টা মিটবে কিসে?
    সাধের এই পৃথিবী ছেড়ে অন্য গ্রহে হবে কি যেতে শেযে?

    ঈশ্বরের ইচ্ছায় নাকি চলছে এই জগত, চলছে সবকিছু।
    তবে ছায়ার মত শয়তান ছাড়েনা কেন আমাদের পিছু?

  • কবিতা

    কবিতা- প্রিয় সাহিত্যিক তারাশঙ্কর স্মরণে

    প্রিয় সাহিত্যিক তারাশঙ্কর স্মরণে
    -অনোজ ব্যানার্জী


    তোমার সৃষ্টি, যায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে, ঘাস,মাটি,ফুল ফলে।
    ছিটেবেড়া ঘর,ছোট্ট কুঁড়ে,মেঠোপথ,কাদাজলে।
    চাষীর জীবন,কুমোর, কামার… লাঞ্ছিত, ওঝা,বেদে।
    প্রতিবাদে তারা ও নেমেছে পথে,অগ্নিঝরা রোদে।।
    তোমার সৃষ্টি ঝরে আকাশে,,সাদা মেঘের ভেলায়।
    চিরকাল যারা ছিল বঞ্চিত, নির্যাতিত, অবহেলায়।।
    ঘৃণ্য বলে সরিয়ে দূরে,রেখেছিল যাদের সমাজ।
    সমাজের ময়দানে,উঁচু আসনে, প্রতিষ্ঠিত তারাও আজ।।
    গেঁয়ো ভাষা,অচ্ছুৎ শব্দ, তারাও পেয়েছে ঠাঁই।
    তোমার কাহিনী যেই পড়ে সেই, মুগ্ধতায় ডুবে যায়।।
    উদ্দীপনা জাগে,তোমার নাটকে, জাগে হৃদে স্পন্দন।
    দিয়ে যায় দোলা,উপন্যাস ঝোলা, থেমেছে কি সেই ক্রন্দন??
    হয়েছে কালজয়ী, লেখনী তোমার…সাহিত্যের মহাকাশে।
    বাংলাসাহিত্যের নক্ষত্র তুমি,জন্ম,তব লাভপুরের মাটি-সুবাসে।।
    কোথায় আছো হে অমর সাহিত্যিক? দাও আলো,-চেতনা।
    দাও শব্দ ছন্দ,বাক্য,ভাষা,ভাব…দাও নবনব প্রেরণা।।
    ওপার হতে পড়ুক ঝরে, ঝরে… তোমার আশীষধারা।
    সিক্ত হবো,ঋদ্ধ হবো, যাবে ভেঙে সব বাধার বেড়া।।
    জানাই গভীর শ্রদ্ধা, ভক্তি,প্রণাম, তোমার শ্রীচরণে।।
    সুমতির আলো দাও ছড়িয়ে, অন্তরের কোণেকোণে।।

  • কবিতা

    কেটে গেছে কত বিনিদ্র রজনী

    কেটে গেছে কত বিনিদ্র রজনী
    -অনোজ ব্যানার্জী


    কেটে গেছে কত বিনিদ্র রজনী,কবিতাকে বুকে নিয়ে।
    কবিতা এসেছে? দিয়েছে কি ধরা, লেখনী চুম্বন দিয়ে??

    কল্পনার রেশে, স্বপ্নের আবেশে, সাজিয়ে বর্ণমালা।
    অনুভূতি মননে, আবেগে চিন্তনে, করে গেছি কত খেলা।

    বয়ে গেছে কত, সময়ের স্রোত, জীবন নদের ধারায়।
    চলাপথে পদেপদে, সুখেদুঃখে, সম্পদে, কত কি যে হারায়।

    করিনি তো মাথা নীচু, পেয়েছিও কিছুকিছু,, চেয়েছি যা জীবনে।
    অতীতকে মনে পড়ে, বিদ্ধস্ত কত ঝড়ে, ক্ষতবিক্ষত কত রণে।

    সব কি যায় পাওয়া? অনুকূল হলে হাওয়া, হাতে কিছু আসে।
    চাই যার ভালোবাসা, মেটে কি সেই আশা? তৃপ্তির সুবাসে?

    জীবনরথ তো গড়িয়ে চলে, অজানা কোন দেশে।
    জানিনা কোথায় হারিয়ে যাবো, মিশবো কোথায় শেষে!!

  • কবিতা

    এসো প্রিয় নববর্ষ

    এসো প্রিয় নববর্ষ
    -অনোজ ব্যানার্জী

     

    এসো নববর্ষ,
    স্বাগতম, সুস্বাগতম;
    মহাকালের অনন্ত অসীম,দুর্বার
    অনিবার্য স্রোতে ভেসে ভেসে,
    পেয়েছে তোমায় এই ধরণী
    নবরূপে,নবকলেবরে,নব আঙ্গিকে।

    কত রঙ্গিন স্বপ্নের প্রজাপতি,
    কত অলীক কল্পনার মধুমক্ষিকা ;
    উড়ে উড়ে আসে আজ,
    হৃদয়ের সুরভিত সাজানো উদ্যানে।

    মৃত্তিকার শিকড়ের টান ছেড়ে,
    মনকপোত যায় যেন উড়ে উড়ে,
    মহাশূন্যের অজানা, অচেনা
    কোনো অমৃতের দেশে।

    এসো নববর্ষ, এসো প্রিয় নববর্ষ ;
    স্বাগতম, সুস্বাগতম,…..
    ধুয়ে দাও,
    মনের সমস্ত জমেথাকা ময়লা,আবর্জনা,
    নর্দামার কালো পাঁকের মতো কলুষিত
    করে আছে যা যুগে যুগে।

    মানুষ যেন প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে,
    প্রগতিশীল এই দেশ,এই সমাজ,

    যেন আরো ভাস্বর, আরো উন্নত
    হয়ে ওঠে,দীপ্ত ভাস্করের মতো দুর্বার
    দুর্দম আলোর ঝরণাধারায়।

    যেখানে থাকবেনা কোন
    অন্যায়, পাপ, দুর্নীতি, অনাচার, অত্যাচার।

    ফলে ফুলে, শস্যে বৃক্ষে, শিক্ষায়

    দীক্ষায়,
    সমাজের অনু,পরমাণুতে
    বিশুদ্ধ বাতাসের ভাঁজে, ভাঁজে,

    এই পৃথিবীকে সাজিয়ে তোলো,
    দেবালয় সুষমায়….
    এসো নববর্ষ, এসো প্রিয় নববর্ষ,
    স্বাগতম, সুস্বাগতম।

  • কবিতা

    চালাকি

    চালাকি
    -অনোজ ব্যানার্জী

     

    করছে চালাকি, দিচ্ছে ফাঁকি, চলছে বুক ফুলিয়ে।
    সেজেছে কাক দেশপ্রেমে, রাঙা-ময়ূরপুচ্ছ দুলিয়ে।।
    পাবলিককে ভাবছে বোকা, দিচ্ছে ধোঁকা দিনরাত।
    দেশের দশের সর্বনাশে,লাগছে না ওদের বুকে আঘাত?
    ওরাই নেতা,মন্ত্রী, রাজা, সমাজ, রাজ্য, দেশের মাথা।
    চালাকি করে চাইছে গদি, কে শোনে কার কথা!
    ওদের হাতের তুড়িতে আজ, চলছে আইন প্রশাসন।
    সংবিধান, আদালত,বিচারক, ওদের মুঠির মূলধন।
    কোটিকোটি টাকা খাচ্ছে লুটে, দিচ্ছে দেশকে ফাঁকি।
    জনগণের সর্বনাশের, রেখেছে আর কিছু কি বাকি?
    মাথার উপর আছেন একজন,করবেন সঠিক বিচার তিনি।
    চালাকি করে চলবে কতদিন? বাজছে ধর্ম- শঙ্খধ্বনি।
    চালাকি করে হয়েছে কি আজো কোনো মহৎকর্ম সাধন?
    “অতি চালাকি গলায় দড়ি,” অবশ্যই হবে পতন।।

  • কবিতা

    বুড়ো হবো যখন

    বুড়ো হবো যখন

    -অনোজ ব্যানার্জী

     

     

    বুড়ো হবো যখন, সাদাচুল দাঁতহীন মুখে ফোকলা করুণ হাসিমেখে,
    চলবো আলো আঁধারি জীবনের, পিছল পিছল অনিশ্চিত পথে।

    বসে বসে করবো রোমন্থন ফেলে আসা স্নিগ্ধমধুর অতীতের কিছু ঘটনা,

    কিছু স্বপ্নের ইতিহাস। বলবো কিছু গল্প, কিছু কিছু জীবন্ত বাস্তব ঘটনা,

    কিছু রটনার খিড়কী- দরজার কাহিনী, হয়তো কোন চায়ের আড্ডাতে।

    কিংবা কোন গেঁয়ো মজলিসে।
    বুড়ো হবো যখন, আঁখির দৃষ্টির তেজ আসবে কুয়াশামাখা ঝাপসা হয়ে হয়ে। ছানিধরা চোখে চশমার ফাঁকে ফাঁকে দেখবো চেয়ে চেয়ে অপরের যৌবন,

    সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধির ঝলমলে রূপ-রঙ,

    যেমন করে দেখে ছোট্ট চড়ুই সুদৃশ্য নৃত্যরত ময়ূর।

    যেমন করে মরুবালিকণা দেখে বিস্মিত চোখমেলে, সুন্দর সবুজ কোন ঝাউবন।
    তখন.. জরাগ্রস্তবাসী অকেজো, অক্ষম, দুর্বল,

    শরীরটা টেনে টেনে চলতে হবে খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে।
    স্নেহের ধন ছেলেরা করবে চাকরী-বাকরী, করবে কোটিকোটি টাকা রোজগার।

    অথচ হয়তো তখন ডাক দেবে বৃদ্ধাশ্রমের সেই অনিবার্য আড্ডাটা।

    হয়তো হবে থাকতে চোখকান বুঁজে ভুলেভুলে নাতি নাতনীর ঈপ্সিত প্রিয় সঙ্গলাভ।
    কিংবা হয়তো বা ছেলেরা থাকবে বাইরে বাইরে বৌ,ব্যাটা নিয়ে, পেতে কোন পৃথক সংসার।
    বুড়োবুড়ীকে হবে থাকতে একা একা খেতে হবে,আপন আপন হাত পুড়িয়ে পুড়িয়ে।
    বুড়ো হবো যখন, দেবে হাতছানি জীবনের ছুটি।

    যাবে ভেঙে সব সুখ-শান্তির খুঁটি।

  • কবিতা

    হে বীর সন্ন্যাসী, আবার এসো

    হে বীর সন্ন্যাসী, আবার এসো

    -অনোজ ব্যানার্জী



    হে বীর সন্ন্যাসী আবার এসো আমাদের ঘরে ঘরে।
    জ্বেলে দাও প্রদীপ্ত আলো সকলের মনের মন্দিরে।

    আনন্দ নদী বহে যদি বিবেকের প্রান্তরে,
    পালায় কুমতি, আসে সুমতি হৃদয় অভ্যন্তরে।
    ‎এই দুর্দিনে কে আনে মনে তোমার অমৃত বাণী?
    ‎মানুষের রূপে তুমি এসেছিলে তোমাকে দেবতা মানি।।

    “‘ ‎মূর্খ ভারতবাসী আমার ভাই, দরিদ্র ভারতবাসী আমার ভাই,ব্রাহ্মণ ভারতবাসী আমার ভাই।চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই।

    মুসলমান ভারতবাসী আমার ভাই।খ্রিষ্টান ভারতবাসী আমার ভাই।””
    ‎কেউ তো দরদভরা কণ্ঠে,বলেনা এমন কথা এখন আর!”
    ‎কেউতো ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করেনা এখন আর, “হে ঈশ্বর, হে জগদম্বে তুমি আমাকে জ্ঞান দাও ভক্তি দাও বিবেক দাও।

    “আমার দুর্বলতা দূর করো আমার ভীরুতা দূর করো।
    ‎আমাকে সাহস দাও, আমাকে মনুষ্যত্ব দাও।”’

    ‎হিন্দুধর্ম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধর্ম করেছো প্রমাণ তুমি, শিকাগোর বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মেলনে।

    ভারতভূমি, ভারতবাসীর মুখ করেছো উজ্জ্বল।

    আজ আমরা ‎তো স্বার্থপর বুঝি নিজের কাজ।
    ‎চাই শুধু ধনমান অর্থ,যশ,প্রতিপত্তি, সমৃদ্ধি, সম্পদ বৈভব।

    চাই সর্বদা,রূপ,যৌবনবৃদ্ধি। চাই জয়,ভোগবিলাস, অট্টালিকা,গাড়ী,
    ‎চাই দামীদামী বিলাসসামগ্রী, স্বর্গের অপ্সরী।
    ‎হে স্বার্থত্যাগী, বীরসন্ন্যাসী বিবেকানন্দ,
    ‎তুমি এসো ফিরে আবার,এই বিশ্বে।

    আনন্দ আসুক ফিরে,ক্ষতবিক্ষত বিষন্ন সমাজে।
    ‎ধরণী আবার সাজুক, নতুন,মনোরম সাজে।
    ‎হে জ্যোর্তিময়,পাপেভরা, সমাজের কালো, জমাটবদ্ধ অন্ধকারে,তুমি জ্বেলে দাও আলো।
    ‎সুখশান্তি, মানবতা,চেতনা,বিবেক,ভালোবাসা,
    ‎সৌম্যদীপ্ত আলোয় ধুয়ে যাক, সকল হতাশা।

  • কবিতা

    সাঁকো

    সাঁকো

    -অনোজ ব্যানার্জী

     

    সহজেই পারাপার হতে, বন্ধু ত্রাণদায়ী, সাঁকো,

    থাকে কী শুধু নদীতে? থাকে কী এঁকেবেঁকে,
    বাঁকেবাঁকে জলাশয়ে, খালেবিলে,
    বিস্তীর্ণ খাদে, অথবা কোন হ্রদে?
    সৃষ্টির সেই আদ্যন্ত, আদিকাল হতে, তিলেতিলে, দিনেদিনে,
    গড়েওঠা, প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসার অটুট, অক্ষয়, বন্ধনের সুদৃশ্য তাজমহল…
    থাকবে তো অমলিন, মনোলোভা?
    তোমার আমার অন্তরসাগরে সৃজিত হয় যদি কোনদিন কোন দুস্তর পারাবার?
    কেমন করে হবে তা পার?
    দুরন্ত, দুর্বিনীত মহাকাল ঝড় এসে,
    অট্টহাসি হেসেহেসে, তার তরঙ্গিত অসংখ্য ড্রেজার হাতে,
    ভেঙ্গে দিয়ে যায় যদি, জনম জনমের কোন মজবুত সাঁকো?
    অদ্ভুত কোন মায়াবলে, ছলেবলে, কিংবা কোন কূটকৌশলে, পাবে কী নিস্তার?
    যায় যদি হয়ে ছারখার, পিতা-পুত্র,স্বামী-স্ত্রী,ভাই-বোন, গুরু-শিষ্য, শিক্ষক-ছাত্র,
    সবার শিরাধমনী, স্নায়ুজাল রক্তে নির্মিত, পরম্পর, পরমপবিত্র সম্পর্কের সাঁকো?
    সংসার, সমাজের সভ্যতার সংস্কৃতির চলমান, বেগবান রথ,
    যাবে কী থেমে কখনো?
    ভেঙোনা, ভেঙোনা এই পরম সুহৃদ সাঁকো,
    সূর্যের রঙ ধরে চিরকাল অটুট রাখো।

  • কবিতা

    কালিমাখা দর্পণে

    কালিমাখা দর্পণে

    -অনোজ ব্যানার্জী

     

     

    প্রয়োজন এখন,অগণন নিরপেক্ষ, সাহসী, স্বচ্ছ দর্পণ,ডাইনে বামে,সামনেপিছনে।
    কালিমালিপ্ত দর্পণে হবে কী আপন আপন প্রকৃত মুখদর্শন কারো?? একবার
    তাকাও দর্পণের দিকে ,ভালো করে দ্যাখো চেয়েচেয়ে,  করো পর্যবেক্ষণ, নিজের কলঙ্কিত মুখখানি।
    সাহিত্য সমাজের দর্পণ… আমরা তো গ্যাছি ভুলেই।

    রেখেছিতো, তুলেই ,আমাদের শাণিত কলমের তরবারি।
    সে তরবারি এখন ভোঁতা, লাল মরচেধরা, ভীরুতার কালো কালিমাখা।
    সমাজের বুকে ঘটে যাওয়া,প্রকৃত চিত্র,
    হয়না প্রতিফলিত আজকাল আর,সেই সব দর্পণের পাতায় পাতায়।
    ঘটনার পিছনে থাকে অনেক গোপন ঘটনা,
    রটনার আড়ালে থাকে অনেক লুকান রটনা।
    করতে হবে ছদ্মবেশে, চিরুনি -তল্লাশি।

    কোন দুষ্কৃতকারীর, চোখরাঙানিকে নয় ভয়,কারো শাসানিকে নয় ভয়।

    ভয়টাকে করতেই হবে জয়।
    তবেই বাঁচবে সভ্য সমাজ,তবেই বাঁচবে এই সুন্দর সংসার।

You cannot copy content of this page