কমলার স্মৃতিচারণ

কমলার স্মৃতিচারণ –মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ     কুন্তল ছিল কমলার একমাত্র সন্তান, শৈশব থেকেই বাপ হারা ছেলেকে নিয়ে লড়াইটা ছিল কমলার! দিনের পর দিন বাবুদের বাড়ি ঘর মুছে,কাপড় কেচে,বাসন মেজে চলতো কমলার সংসার। পড়াশোনার প্রতি ভারি মনযোগ ছিল কুন্তলের। কমলা তা ভালোই বুঝতে পারতো—- তাইতো রাতের পর রাত জেগে,ঠোঙা বানিয়ে দিয়ে আসত কাক ডাকা ভোরে। […]

ভগ্ন দেওয়াল

ভগ্ন দেওয়াল -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ     ভগ্ন দেওয়ালে,মগ্ন যে প্রেম ছিল শৈশবে আঁকা—- প্লাস্টার হয়ে খসে পড়েছে জানি, বৃথাই স্বপ্ন দেখা! জীর্ণ দেওয়ালে,বিবর্ন প্রেম! লুকোনো ইটের ফাঁকে, খসে যাওয়া স্মৃতি,রঙচটা নামে! শৈশব পিছু ডাকে!! দেওয়াল জুড়ে প্রেম কাহিনী, ইটের গাঁথুনি বুকে—– হৃৎপিণ্ড যেথায় ছিল, শ্যাওলারা আছে সুখে! নোনা ধরেছে দেওয়ালখানি, কবে কোন সে ভুলে!! […]

বৃষ্টি

বৃষ্টি -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ     বৃষ্টি মানে বুক ধুকপুক, আচমকা বিদ্যুৎ বৃষ্টি মানে তোমায় নিয়ে, পালিয়ে এক ছুট!! বৃষ্টি মানে আমি ভিজে, তুমিও ভেজো সাথে বৃষ্টি মানে আমার মাথা, রাখবো তোমার কাঁধে!!   বৃষ্টি মানে তোমায় ছোঁয়া, নানান অজুহাতে বৃষ্টি মানে তোমায় ভাবা, গহন গভীর রাতে!! বৃষ্টি মানে ঠোঁটে ঠোঁট চুপটি করে রেখে বৃষ্টি […]

ঐক্যতান

ঐক্যতান -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ ধর্ম যদি মানবতা হয়,মানব তবে কি? মানব কি মনুষ্য কুল নয় ? জাতি তবে কি? জাতি ধর্ম নির্বিশেষে উচ্চস্থানে মানুষ, যারা ধর্মের নামে ফয়দা লোটে তারা কি সব বেহুঁশ ? যারা বুক থাপিয়ে বলে ওঠে আমরা সবাই সমান, তারাই আবার ভাগ করে দেয় কে হিন্দু ,কে মুসলমান!! জাতি , ধর্ম , […]

আরও একবার ভিজবো

আরও একবার ভিজবো -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ প্রেমিকের হৃদয় চেয়ে থাকে আজও তোমার প্রতীক্ষায়! নূপুর পা’য়ে,এলোকেশী চুলে এসো বিকেলটি বেলায়!! আরও একবার ভিজবো মোরা রিমঝিম এ ধারায়! দুটি হৃদয় আবার ফিরুক স্রোতের মোহনায়!! আবার নাহয় ভিজবো মোরা দহনেরই জ্বালায়। তোমার চলার ছন্দে আজও মন কেঁপে কেঁপে ওঠে, বিদ্যুতের ঝলকানি যেন তড়িৎ গতিতে ছোটে! আরও একবার ঢাকবে […]

এক বাবার প্রতীক্ষা

এক বাবার প্রতীক্ষা -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ অনিমেষ বাবু ফোনটা হাতে তুলতেই—— তুমি আবার ফোন করবে রিঙ্কুকে,,,? এইতো সকালবেলায় দেখলাম কতক্ষন বাপ-মেয়েতে গল্প করলে, সবেতো ছয়মাস হয়েছে মেয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে তাতেই যদি এতো অস্থিরতা তবে বাকি দিন গুলো কাটাবে কি করে,,? তুমি এতো কথা বলো কেনো,,,? আমি কি তোমার রিঙ্কুকে ফোন করছি নাকি! যখনই ফোন ধরবো […]

আমার পথেই চলো

আমার পথেই চলো -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ   চারদেওয়ালের বন্দী ঘরে উথালপাতাল ঝড়, নারী! কি তুই সারাজীবন রয়েই যাবি পর ? বাপের আঙিনা ছেড়ে নারী শ্বশুরবাড়ি আসে, নতুন করে বাবা-মা থাকবে বুঝি পাশে!! অবহেলায় ছিন্ন হয় স্বপ্ন যাহা দেখে! মায়ের মতন ভালোবাসায় আর কে বেঁধে রাখে। ওরে নারী অশ্রুবারি আঁচল দিয়ে মুছিস! সবাইকে লুকিয়ে কি সুখ […]

কৃষ্ণচূড়া

কৃষ্ণচূড়া -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ     তোমায় দেখে বহু বার বলবো ভেবেছি, কৃষ্ণচূড়া আমি তোমার প্রেমে পড়েছি! পথের বাঁকে চলতে রাঙা ফুল কুড়িয়েছি, কৃষ্ণচূড়া আমি তোমার প্রেমে পড়েছি!!   বৃষ্টি এলে ছাদে উঠে,তোমায় ভিজতে দেখেছি, বাতাস থেকে ওই সুবাস নিয়ে,নিজেও ভিজেছি! কত বার ভেবেছি বলবো,তবু বাক হারিয়েছি, কৃষ্ণচূড়া সত্যিই তোমার প্রেমে পড়েছি!!   রাঙা হাসি […]

ও মেয়ে

ও মেয়ে -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ     ও মেয়ে! তুই পরের ঘরকে আপন করলি, আপন ঘরকে পর! থুরি, আপন ঘর বলি কেনো সেতো বাপের ঘর।   ও মেয়ে! তুই সিঁথি রাঙাস লাল সিঁদুরে, প্রতিদিন স্নানের পরে! স্বামীর হবে দীর্ঘায়ু, এমনটা মনে করে ?   ও মেয়ে! তুই শাঁখা পরিস,মেহেন্দি পরিস হাত দুখানি তোর! মেহেন্দিতেও লেখা […]

নিয়তি

নিয়তি -মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ     খোকন! বের হচ্ছিস বাবা? একটু সময় দিতে পারবি ? দুটো কথা আছে—- উফফ মা— সেই পেছনে ডাকলে,তাড়াতাড়ি বলো দেরি হচ্ছে— একটু বিষ এনে দিতে পারবি বাবা! ভালো করে ঘুমোতাম—– তোর বাবা থাকাকালীন হাসি মুখে বলতাম, আমার খোকন সোনার টুকরো, চাঁদটাও আমাকে এনে দিতে পারে।আজ কি পারবি না বাবা! একটু […]