-
কবিতা- মেঘদূতের কবিতা
মেঘদূতের কবিতা
-অবশেষ দাসআষাঢ়ের জলে ভাসা রে সকল শোক
শ্রাবণের জল পদ্মার পানি হোক।আষাঢ়ের জল গঙ্গার বুকে মেশে
পদ্মার পানি হয়ে যায় অক্লেশে।এপার ওপার দু-পার ভাসে জলে
কেউবা আবার বর্ষার পানি বলে।আষাঢ়ের পানি উথলে ওঠেছে বুকে
ভাগাভাগি নেই বিবেকের সম্মুখে।শ্রাবণের দিনে প্লাবনের গান শুনি
হৃদয়ের ব্যথা কাঁটাতার রঙে বুনি।ভিজে যায় চোখ আষাঢ়ের মেঘ দেখে
মেঘদূত এসে বিরহের ঋতু লেখে।গঙ্গার জল পদ্মার পানি দেখো
জলে ভেসে যায় রক্তের দাগ, সাঁকো !দুই দেশ জানে, জল আর পানি মিলে
রূপকথা এক গল্প হয়ে তো ছিলে!আমরা এখনও সেই স্বপ্নের মুঠি
ভাঙা ভাঙি হয়ে কেন হতে দেব দুটি!বর্ষার মেঘ এক আকাশেই ভাসে
স্বাধীন বাংলা কালিদাস হয়ে আসে। -
কবিতা- জীবন দেবতা
জীবন দেবতা
-অবশেষ দাসতোমার ছায়াতে দেখি, একান্ন পীঠ
দু-পায়ের ধুলোর মত ধানক্ষেত হৃদয়ে, নিঃশর্ত ঠাঁই দাও।
তোমার দু-পায়ে দেখি, তীর্থের আলো
তপোবন ঘেরা এক গৃহস্থ মন।
তোমার দু’চোখে আছে
গঙ্গা ও পদ্মার বিধৌত কলাবতী রাগ।
তোমার দু’হাতে ওঠে,
মুঠো মুঠো শস্যের বিবর্ণ শোক
আষাঢ়ের রামধনু সাঁঝ, গুচ্ছ কয়েক ভালোবাসা..
তুমি নিঃশর্ত ঠাঁই দাও, মেঘবর্ষার কবিতা ও অনর্গল শ্রাবণ-ঘুঙুরে।