-
সাধক বিশ্বাসঘাতক
সাধক বিশ্বাসঘাতক
-পরিতোষ রায়বিশ্বাসঘাতক তাকে বলো যাকে তুমি চেনো
তাকেই বলো যাকে তুমি বিশ্বাসঘাতকতায় সমুখে জানো!
কত শত ঘাতক লুকিয়ে আছে আঁখির গোচরে
তাকে করোনা তো নিন্দাঘাত প্রাণপণ সজোরে !
শত শত মানুষের জীবন নিয়ে করছে খেলা
খাবারের ভেজাল দিয়ে ছড়াচ্ছে বিষের মেলা!
আমাদের রক্তে মিশে গেছে বিষ
ছোটো ছোটো শিশুদের জীবন আজ করছে শেষ!
হাসপাতালে বাজছে মৃত্যুর ঘন্টা
স্বজনের কখন যে যায় প্রাণটা!
এখন ছোটো বড়ো সকলেরই শুধু রোগ
পুরোনো দিনের মানুষগুলো শুধু করে গেলো সুখ ভোগ!
তখন ছিলোনা বিষ ছিলোনা বিশ্বাসঘাতক
আজ বিশ্বাসঘাতক থাকে যে হয়ে সাধক!
মুখোশপরা ব্র্যান্ডগুলি আজ ভালোই আছে সুখে
আমরা তাকে ভালো ভেবে জয়ধ্বনি দিচ্ছি মুখে মুখে!
নামটা নাকো গুনটা দেখো
তবেই যে আর ঠকবে নাকো!
বিশ্ব জুড়ে আজ বিশ্বাসঘাতক
গেছে ভোরে, সাজছে সাধক!
সাধু বেশে দিচ্ছে ভালোবাসা
তারাই যে আজ বিষের বাসা!
খাবারে মেশাচ্ছে বিষ
তাই তো জীবন আজ প্রায় শেষ!! -
সুপ্ত ভাবনা
সুপ্ত ভাবনা
-পরিতোষ রায়সকাল থেকে রাত অবদি
সারাদিন শুধু কাজ |
তারই মধ্যে সময় পেলে
গড়ি ছন্দের ভাব |
ছন্দ আসে অনেক কিছুই
পারিনা লিখিতে |
লিখলে পরে সমাজ নেতারা
করে দেবে একঘরে |
বিদ্রোহ তো মনের মধ্যে
সুপ্ত হয়ে আছে |
ছন্দের মধ্যে কখনও তা
পারিনা মেলাতে |
এই কারনে সব ছেড়ে আজ
লিখি প্রেমের গান |
মন কোঠরে লুকিয়ে থাক
বিদ্রোহীর নাম | -
গাছই জীবন
গাছই জীবন
-পরিতোষ রায়মানুষের যদি অঙ্গ কাটে
ব্যথা পায় তাতে !
উদ্ভিদেরও তো প্রাণ আছে
তবে তাদের কেটে নিয়ে যাই কেনো হাটে !গাছের জন্য প্রাণ বাঁচে
আর প্রাণের জন্য সব !
প্রাণের আশা ত্যাগ করে মন
গাছ ধ্বংসের জন্য নাচে!মানুষ যে আজ বড়োই পাষান
শুধু মুখেই বলে গাছ বাঁচান !
সত্যি যদি বাঁচান গাছ
তবে কেনো এত অক্সিজিনের টান !দিকে দিকে বাড়ছে দূষণ
তবুও তো হচ্ছে না জ্ঞান !
শুধু মুখেই বলে জ্ঞানের কথা
আর কাজের বেলা আমি তো একা !কাটছে গাছ হচ্ছে বাড়ি
এ যে আর সইতে নারে !
তবুও তো সইতো মনে
যদি থাকতো বনভূমি !গাছ যে মোদের অমর আপন
তাই তারে বাঁচাও ভুলে কাটার স্বপন !
তবেই পাবে শুদ্ধ বাতাস
আর রোগমুক্ত জীবন ! -
পুজোর আনন্দ
পুজোর আনন্দ
-পরিতোষ রায়চারিদিকে যখন পুজো পুজো রব
আমার মনে ধেয়ে আসে দারুন অভাব।
এ অভাব যেন আমারে কুড়ে কুড়ে খায়
মনে মনে ভাবি কেমনে নেব তাদের দায়।
আমরা যে আছি বড়ো সুখে
ওই পথ শিশুগুলো যে বড়ো দুঃখে।
কত শত খাবার যে দিই ফেলে
ওই ছোট্ট পথ শিশুটি তাই কুড়িয়ে যে খেলে।
পুজোর আনন্দে মাতে ভুবন
কষ্টে গড়া ওই শিশু দের জীবন।
কখনো কি ভেবেছো মনে
ছোট্ট শিশুগুলিকে স্থান দিয়েছো হৃদয় কোনে।নাইবা দিলে স্থান
ভালোবেসে কখনো কিছু করেছো কি দান।
ওরা যে বড়ো অসহায়
সবাই মিলে হও ওদের সহায়।
এ পুজোতে ভাগাভাগি করে আনন্দে
ভাগ করে নেব ওদের সাথে মহানন্দে। -
শিশুশ্রম
শিশুশ্রম
-পরিতোষ রায়শিশু শ্রম কত শত
পৃথিবীর নানান প্রান্তে|
তাদের জন্য মন আমারকাঁদে একান্তে|
ওরাই তো সমাজের আলো,
হে প্রভু! তবে কেনো
ওদের জীবনে এত কষ্ট ঢালো|
ওদের ও তো সাধ হয়
লিখতে ও পড়তে|
আমরা কি পারিনা
ওদের বিদ্যালয় আনতে|
সবাই মিলে যদি হাল
ধরি একসাথে|
শিশু শ্রম দূরে যাবে
এ পৃথিবী হতে|