• কবিতা

    ছায়ামেঘ

    ছায়ামেঘ
    -পলি ঘোষ

     

     

    তোমায় ভালোবেসেছি বলে আমি
    তোমার ছায়ামেঘ হয়েছি আমি
    যখন তুমি অঙ্গে জড়িয়ে রোদ্দুর নিয়ে হাঁটো
    তখন আমি তোমায় দেখি চোখ ভাঙ্গা নয়নের মধ্যে ।
    দুইনয়নে নুনে ভরা জলটুকু তুমি
    আমারই দুই নয়নে বাটো অবাক হয়ে ।

    সারা দিন যেখানেই থাকো তুমি
    আমি ও ঠিক সেখানেই থাকি
    তোমারই ছায়ামেঘ মালা হয়ে ।
    যতটুকু ভালোবাসা সম্ভব ঠিক
    ততটুকুই ভালোবাসবো তোমায় ।

    খোলা বাতাস হয়ে তোমার অঙ্গে
    বয়ে বয়ে যাবো হালকা তুলোর বেশে
    তোমার পাশেই ভাসবো আমি
    অন্তর ভরা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে
    তোমার ভেতরে হাসবো আমি
    স্বপ্নের পৃথিবীর ইমারত থেকে
    এনে দেবো তোমায় আমি রঙীন রঙীন সুতো
    তুমি আমায় নিয়ে চরকা কাটতে কাটতে
    উড়ে যাবে পক্ষিরাজের ঘোড়ায় চেপে ।

  • কবিতা

    আমার রোমান্টিক ছন্দ

    আমার রোমান্টিক ছন্দ
    -পলি ঘোষ

     

     

    বন্ধু হলো আমার চোখের রঙীন স্বপ্ন
    আমার হৃদয়ের শিল্পীর রঙে রাঙিয়ে তোলা ছবি
    বন্ধু হলো আমার চাঁদের আলো ;সূর্য ওঠার ভোর
    বন্ধু হলো আমার হৃদয়ের মাঝে একটি মাত্র কূল
    বন্ধু হলো আমার ভালোবাসার ফুটন্ত শিউলি বকুল ফুল !
    বন্ধু হলো আমার সময়ের স্রোতে ওপর ভাসা জ্বলন্ত অগ্নিশিখা
    বন্ধু হলো আমার জীবনের চেয়ে বেশী দামী l
    দিন যায় দিন আসে ;কেউ কাঁদে কেউ হাসে
    তাতে কি যায় আসে ;খুঁজে দেখি আশে পাশে ;
    আমার শোকে তুমি ছড়িয়ে দিও জুঁই ফুলের গন্ধ
    বন্ধু আমি জেনো তোমার নিশিদিনের জাগবো চিরকাল !
    বন্ধুত্ব হলো ;এমন যা হাত এবং চোখের মধ্যে
    সম্পর্কের বন্ধন ;যখন হাতে কোনো আঘাত লাগে ;
    তখন চোখের অশ্রু ঝরে ;আবার যখন কিনা
    চোখের অশ্রু ঝরে ;তখন হাতটা মুছে দেয় অশ্রু l

  • কবিতা

    শ্রাবণ

    শ্রাবণ
    -পলি ঘোষ

     

     

    মন জুড়ে দেখি আজ শুধুই শ্রাবণ l
    অন্তরে তাই আজ আনন্দের শিহরণ
    মন হয়েছে আজ তাই বাউল বাতাস l
    আকাশে আজ চোখ পড়তেই দেখি উড়ছে শঙ্খ চিল
    আমিও ময়ূরপঙ্খী নায়ে ভেসে চলেছি অজানা পথের তরে
    নীল আকাশের বুকে দেখি তাই আজ মেঘের আনাগোনা l
    কানে যেন তাই ভেসে আসছে কলকাকলির ধ্বনিl
    দেখি ফ্যাকাশে আকাশে
    পাখিরা আজ পাখনা মেলে ধরেছেl
    তাই আজ গোটা বিশ্ব নিথর নিশ্চুপl
    মনে হচ্ছে একটু পরেই ঝড় উঠবেl
    কখনো দেখি আকাশ জুড়ে লাল
    বহ্নির রকমারি ছটা ফুটে উঠেছেl
    দেখে আমার মন ভরে গেছে আহ্লাদেl
    সন্ধ্যার আহ্বানে দেখে মন মুগ্ধকরl
    তাই আজ আমার মনে
    আলোর স্রোতে পাল তুলেছে
    হাজার প্রজাপতিl

  • অণু গল্প

    কল্পনার অনুভব

    কল্পনার অনুভব

    -পলি ঘোষ

    হঠাতই চলে গেলাম অন্য এক পরিবেশে ঘুরতে ।চলে গেলাম একাই নিজের ঠিকানা খুঁজতে ।যেতে যেতে উঠে ও পড়লাম ট্রেনে ।ট্রেন যাচ্ছে আমি ও দুরন্ত গতিতে ট্রেনের কামরায় বন্দী হয়ে ছুটে চলেছি এক অজানার উদ্যেশ্য ।

    প্রায় দুদিন পর ট্রেন থামলো রাজধানী তে এসে ।নামলাম খুব ভোরে ।দারুণ লাগছিল রাজধানী তে এসে ।সেখান থেকে রওনা হলাম এক গাড়ি করে ।গাড়ি করে চলেছি সব কিছু দেখতে দেখতে ।খুব অপরূপ লাগছিল নানা রকমের দৃশ্য ।সব কিছুই আমি বন্দী করলাম নয়নের মনি কোঠায় ।

    প্রায় গাড়ি ছুটে চলেছে উত্তরা খন্ডের দিকে ।প্রায় উপস্তিত হলাম কাছাকাছি ।তার পর গাড়ি রেখে এক হোটেলে সেদিন রাত টা কাটালাম ।সেদিনই ভোরে আবার রওনা হলাম মহান উদ্যেশ্য কে সফল করার জন্য ।

    সব কিছু পিঠে নিয়ে এক টা লাঠি নিয়ে এগিয়ে গেলাম পাহাড়িয়া পথে ।সরু পথ ধরে চলতে লাগলাম খুব সাবধানে ।চলতে চলতে দেখলাম কত পাহাড়িয়া নানা রঙ্গের ফুল ।এক অপরূপ দেখতে লাগছিল। সব কিছু মনের ক্যানভাসে নয়নের মনি কোঠায় বন্দী করলাম ।কখনো মেঘ করে নেমে এলো ঝম ঝম করে বৃষ্টি ।কখনো দেখলাম আকাশ পরিষ্কার ।

    অবশেষে পৌঁছলাম মূল শিখায় ।কি অপরূপ যে লাগছিল নিজে ও বুজতে পড়ছিলাম না ।মনে হচ্ছিল র কখনো ফিরবো না ।আমি এখানেই থেকে যাবো ।শিবের সেবা করার জন্য ।

    মন্দিরে প্রবেশ করে আর ও অন্য অনভূতি জাগল মনে ।পূজো দিয়ে মনে বললাম জন্মই যদি তুমি দিলে সার্থক তবে কেনো করলে না ।আর ও কত প্রশ্ন করলাম মহাদেব কে ।আজ সব কিছুর উত্তর নিয়ে তবেই আমি ফিরবো ।না তোমার পায়ের কাছে মরবো ।

    সব কিছুর পরে উত্তর এলো ।হাওয়ায় ভেসে ভেসে ।ওরে পাগলি শোন তবে এখন ও যে তোর মর্তে অনেক কাজ আছে বাকি ।সেটুকু যে তোকেই পূরণ করতে হবে ।তবেই না তোর মুক্তি ।

    আর ও বলল কেউ কিছু পাবে বলে আসে না ।কর্ম করে যাঔ নিষ্ঠুর ভাবে ।ফল তুমি পাবেই পাবেই পাবেই ।এই বলে কে যেন চলে গেলো ।অট্টহাসি হেসে ।তার আমি উঠে দেখলাম উত্তরা খন্ডের মূল চূড়া যেনো আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে ।

    এ এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো আমার মনে ।

  • কবিতা

    সূর্যের প্রাতঃকাল

    সূর্যের প্রাতঃকাল
    -পলি ঘোষ

     

     

    সূর্য যখন প্রাতঃকালে নিজেকে মেলে ধরে
    আর ঘন কালো অন্ধকার গৌরবের সাথে সরে যায়
    তখন কি শোনো বাতাসের আগমনী গান
    তার ছন্দ আমি কখনো উদ্ধার করতে পারি নি ।
    সকাল যখন তার উষ্ণ সোনালী রোদে নিজেকে বিস্তার করে
    আর নীল আকাশ যখন ভাষাহীন অসীম হয়ে সরে যায়
    দূরে তাকিয়ে দেখি তখন এক অপরূপ রূপে হাতছানি
    যা আমি খুবই কম স্বপ্ন ময় নিদ্রায় উপভোগ করি ।
    আমার কি নিঃসঙ্গ হয় না মনে
    যখন পৃথিবী আমায় হীন সংসারের কথা বলে
    আমার একটা সময় আসবে আমারি যখন নয়নের দৃষ্টি ঝাপসা হবে ।
    তখন আমি ও আমার মতো হীন বস্তায় পতিত হবো ।
    তখন একটি শূন্য হৃদয় ক্ষয় হয়ে হবে এক মুঠো ছাই
    যখন আমি সূর্যক্রান্ত দিনগুলো করব অতিক্রম ।

  • কবিতা

    আবেশ অনুভব

    আবেশ অনুভব
    -পলি ঘোষ

     

     

    ভোরের আকাশে নয়নে নয়ন মেলে তাকিয়ে দেখি
    শরতের কালো সাদা মেঘের খেলা চলছে অবিরাম ।
    কখনো কখনো জমাট কালো মেঘে বর্ষণ অবিরাম ।
    আবার দেখি কখনো কখনো সোনালী ঝলমল রোদ পড়ছে গায়ে ।
    কখনো কখনো গোমড়া মুখে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমায় অবিরাম ।
    বলছে যেন ডেকে কানের কাছে এসে এবার একটু বসোনা কেনো গা ঘেঁষে আমার কাছে ।
    আমি তোকে নিয়ে যাবো পেঁজা তুলোর ভেলায় করে দূর বহু দূর ।
    বৃষ্টি বলে বেশ তো তোমায় আমি দিলাম ঠান্ডা করে ।আমি বলি হ্যাঁ বৃষ্টি তা তো একদম ঠিক ।
    একপলকে তাকিয়ে ছিলাম শুধুই তুমি আসবে বলে ।
    আমি মনের জানালা খুলে রেখে ছিলাম তোমার তরে ।এ তুমি কোন আবেশের অনুভূতি ছড়িয়ে দিলে আমার গোপন মনের ক্যানভাসে ।
    অনেকটা পথ তোমার মনের ওপর র চলার পথের সাথী হয়ে এলাম আমি শিউলি গাছের তলে ।শিউলি ফুলের গন্ধের আবেশ যেন মেশে দুই মনেরই হৃদয়ের ক্যানভাসে ।
    আজ আকাশে কাজল পড়া মেঘের ঘন ঘটা দেখে
    আমার মন ছুটে যায় নদীর স্রোতের গতির দিকে ।
    আমি তখনই হারিয়ে যাই তোমার গলার মৃদু স্বরে ।

You cannot copy content of this page