সেদিনের ভালোবাসা

সেদিনের ভালোবাসা -পারমিতা চ্যাটার্জী     মনে কি পড়ে তোমার প্রথম দেখা হওয়ার দিনটা-? মনে পড়ে? সেই সোনালী বিকেলের নিভে যাওয়া আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা দুজন– কি জানি কি হয়ে দুজনের– প্রাণে বেজে উঠেছিল না বলা কথার সুর – কিছু বলতে চাই কিন্তু পারছিনা বলতে- মনের কথা থেকে যাচ্ছে মনের গোপনে — অবশেষে এলো […]

আদর্শ

আদর্শ -পারমিতা চ্যাটার্জী     গল্পের প্লটটা অনেকদিন আগের একটি মেয়ের কথা- সে সময় মেয়েরা জন্মালে বাড়িতে বেজে উঠতো না মঙ্গল শঙ্খ। দীপালীকা ছিল ওর নাম কালিপুজোর দিন চতুর্দিক যখন প্রদীপের স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত ঠিক তখনই আঁতুড় ঘর থেকে একটি সদ্যোজাত শিশুর কান্না ভেসে আসে, দাই বেরিয়ে এসে খবর দিল উদগ্রীব পিতাকে,  মেয়ে হয়েছে গো। […]

কল্পনা

কল্পনা -পারমিতা চ্যাটার্জী     চলতে চলতে ক্লান্ত পা দুটো থমকে দাঁড়িয়ে পরে জীবনের চৌকাঠ ধরে–। চেয়ে দেখি শেষ বিকেলের ছায়া নেমেছে জীবন আঙিনায় —। অসময়ে কোথা থেকে এলো এমন বসন্তের বাতাস–? এলোমেলো করে দিল নিঃসঙ্গ জীবনের খাতাটাকে–। যা খুঁজে এসেছি এতদিন ধরে– সে যে আপনি এল জীবনে? ভয় হয় বড়ো ভয় হয় নতুন করে […]

ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা

ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা -পারমিতা চ্যাটার্জী     রুমির আজ মনটা বড়ো খারাপ — সবাই ভাইফোঁটা দিচ্ছে — ঘরে ঘরে বেজে উঠছে শঙ্খ উলুধ্বনি –। তার বাড়িতেও তার ননদরা এসেছে — তাদের ভাইকে ফোঁটা দিতে — সেই শুধু বঞ্চিত এই উৎসব থেকে–। অথচ তারও কিন্তু দাদা আছে– তার একমাত্র দাদা– কিন্তু সম্পর্কের ভাঙনে আজ সে […]

আধুনিকতা

আধুনিকতা -পারমিতা চ্যাটার্জী     ঘরে ঢুকেই খাটের ওপর ব্যাগটা ছুঁড়ে ফেলে, রিমলি শয্যায় গা এলিয়ে দিল। ধরিত্রী দেবী ঘরে ঢুকে প্রশ্ন করলেন, ‘এতো রাত অবধি তুমি কোথায় ছিলে?’ -‘আমি তোমাকে উত্তর দিতে বাধ্য নই মা আমার কাজ ছিল।’ -‘কি কাজ সেটাই জানতে চাইছি তুমি তো কোনো মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে কাজ করো না। সে যোগ্যতা তোমার […]

বন্ধু আমি ভালো আছি

বন্ধু আমি ভালো আছি -পারমিতা চ্যাটার্জী     বন্ধু ভেবেছিলাম তুমি হারিয়ে গেছ অনেকদূরে — তোমার জীবন খাতা থেকে হয়তো বা আমার অস্তিত্বটাই মুছে গেছে– প্রথম যৌবনের উচ্ছলতায় ভালোবেসে ছিলে এক বেকার কবিকে– কবিতা লেখা যার নেশা — চায়না কোনো বন্দী অফিসের বাবু হয়ে থেকে নিজের অস্তিত্বকে গলা টিপে মেরে ফেলতে- তাইতো তুমি আমার হাত […]

আমরা বাঙালী

আমরা বাঙালী  -পারমিতা চ্যাটার্জী     আজ মহাষ্টমী, অয়ন্তিকা অঞ্জলি দিয়ে আসার সাথে সাথে তার শাশুড়ি মা তাকে বললেন চা করো তো তাড়াতাড়ি ! রূপুটা একদম উপোস করে থাকতে পারেনা। লুচিগুলোও ভাজতে আরম্ভ করতে হবে! অয়ন্তিকারও খুব খিদে পেয়েছিল  কিন্তু কি করবে এটা শ্বশুরবাড়ি। মা বলে দিয়েছিলেন, সব মানিয়ে নিতে হয়। সে চায়ের জল একদিকে […]

ভালোবাসা কারে কয়

ভালোবাসা কারে কয় -পারমিতা চ্যাটার্জী কাল বৈশাখীর ঝড়ের মতো এসেছিলে আমার জীবনে– বঞ্চিত জীবন অঙ্গনে তুমি ছিলে এক ঝলক বসন্তের ফাগুন রাঙা আকাশ — আমার শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিধারা– আমার শরত আঙিনায় একমুঠো শিউলি? ভেসে গিয়েছিলাম জোয়ারের স্রোতে তোমার সাথে– মানতে পারিনি সমাজের বাধানিষেধ — সব প্রাচীর ডিঙিয়ে হাত ধরেছিলাম তোমার — কখন যে হাতটা ছেড়ে […]

শেষ উপহার

শেষ উপহার -পারমিতা চ্যাটার্জী     একলা শ্রাবণ রাতে মনে পরে অনেক কথা– লেখা আছে সেই কথা পুরানো ডায়েরির পাতায়– ডায়েরিটা হয়েছে জীর্ণ — পাতাগুলো মলিন ধূসর — তবু লেখাগুলো যায়নি মুছে– ছেঁড়া ছেঁড়া পাতায় তারা আজও রয়ে গেছে– শ্রাবণের স্মৃতি রোমান্থনে আজও আছে বেঁচে ছেঁড়া ডায়েরির পাতার কোণে– হয়তো একদিন যাবে ছিঁড়ে ডায়েরির পাতাগুলো […]

সেদিন ছিল পঁচিশে বৈশাখ

সেদিন ছিল ২৫শে বৈশাখ -পারমিতা চ্যাটার্জী     বেশি কিছু চাইনা তোমার থেকে শুধু একটা সুন্দর সকাল উপহার দেবে আমায়? রোজ সকালে খবরের কাগজের পাতায় কি যে পড়ে যাও বুঝি না– কখনও তো বলনা, ” এই চায়ের কাপটা নিয়ে একটু বোস আমার কাছে– কখনও তো বল না তোমার গাছের ফুলগুলো বড় সুন্দর– আমি তো এইটুকুই […]