• কবিতা

    সাধ

    সাধ
    -প্রসেনজিৎ রায়

    কেনো আসলাম? অপবাদ বিরহ যন্ত্রনার জন্য?
    ঘুরে ফিরে আবার হলাম হন্যে।
    আবার অপবাদ আবার সেই ঘৃণা
    ঘুরে ঘুরে আজও মিটলো না তৃষ্ণা।
    সবাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে – – –
    গুমরো মুখে চেয়ে আছে আকাশ
    শরীর ছয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে বাতাস।
    থমকে যাচ্ছে নদী নালা
    শুধু থমকায়নি আমার নালির শ্বাস।

    তবুও যে মনে হয় বেঁচে থাকি
    ছুঁয়ে দেখি আরো বহু দিন
    শিউলির গন্ধে জ্যোৎস্নার আলোয় ছুটি আরো ছুটি
    শেষমেষ পাখির বাসায় জুটি।
    যেখানে জোনাকিরা আলো দেয় রাতে
    যেখানে জ্যোৎস্না ভাতবারে পাতে।
    যেখানে হরিণের তালে নাচে কচি ঘাস
    যেখানে রামধনু ছড়ায়ে চারপাশ।
    ফুল বনে পরিদের আজও সেই সাজ
    তার সাথে প্রজাপতি আর হিমেল বাতাস।
    এই সব রূপে আমি আছি ডুবে
    তাই ইচ্ছেরা ছেড়ে যেতে চায় না,
    তাই ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না।।।।

  • কবিতা

    ও নদী

    ও নদী
    -প্রসেনজিৎ রায়

     

     

    একদিন তোর নেওয়াশি গাছের উপর
    দেখেছিলাম জোনাকির ম্লান আলো,
    কুটিরে কুটিরে বেঁধেছে তারা বাসা, যেন তার ভেতর ৷
    দেখেছিলাম তোর দূর্বা ঘাসের ওপর…..
    রামধনুর সাত রং ,
    যখন শিশির করত ঢং ঢং ৷
    তোর র্নিজন মাঠে পাখীরা ছোটে,
    ছুটে তার সাথে শরতের ভেলা
    তোর ঐ পারে,কে যেন নরম হাতে ,
    গড়েছে কাশফুলের মালা ৷
    ‘গিলান্ডী’ একাকি তোমার চরে শুয়ে শুয়ে খুঁজেছি কেবল,
    পড়ন্ত বিকেলে লাল মেঘ আর রাতের কালো ,
    নীল আকাশে হলুদ জ্যোৎস্না বালুকার চিকি-চিকি আলো,
    সেই সব সাধ মেটেনি আজও আমার ,
    আজো আছে তোমার কাছে আবদার,
    তাই এখনো খুজি তোমার কাছে ,খুজি সেই চাদর ৷৷

  • কবিতা

    হতাম যদি

    হতাম যদি
    -প্রসেনজিৎ

     

     

    হতাম যদি আমি রাজার কুমার ,
    তুমি হতে মনের রাণী আমার ৷
    সাদা মেঘে প্রেমের ভেলায় চরে ,
    যেতাম আজি নীল আকাশে উড়ে ৷
    বলাকা চাতক পক্ষীরাজের কাছে ,
    সাদা ডানার ঐ দলের মাঝে ,
    খুজে নিতাম একটি সুখের বাসা ৷

     

    হতাম যদি তোমার মনের কুমার ,
    প্রেম দিবসে হতে তুমি আমার ৷
    পরীর সাজে আসতে আমার কাছে,
    আজ বিকেলে পরন্তবেলার মাঝে ৷
    চেয়ে চেয়ে দেখতাম তোমার মুখ ,
    সবছেড়ে যে দিতাম প্রেমে ডুব ৷

  • কবিতা

    সেই মেয়ে

    সেই মেয়ে
    -প্রসেনজিৎ রায়

     

     

    নিস্তব্ধ রাস্তা ,সে হাঁটতেছে একা
    সামনে পিছনে কেউ নেই , নেই কারো দেখা ৷
    হঠাৎ দানবের দল ,হিংস্র দাঁতে নখে কামড়ে কামড়ে খায়,
    বাঁচাও বাঁচাও! যেন কেউ শুনতে না পায় ৷
    একদল কাপুরুষ মুখে কূলুপ এঁটে করে আছে চুপ ,
    বার বার নিয়তি দেখায় পুরুষের সেই রুপ ৷৷

     

    হে পুরুষ! বসো কেন যে সে ফুলে ,
    নিজের অকাত কি গেছো তোমরা ভুলে ৷
    কোন দুরত্ব কি রাখিতে পার না,
    নাকি, পথচারী আর প্রেমিকার পার্থক্য বুঝো না???

     

    রাত্রির অন্ধকারে সে তো ভয়ে মরে ,
    সমাজ আর সেই হিংস্র দানবের ডরে ৷
    ঠাঁই একটাই পথভুলে যেদিকে যাই ৷

     

    ইস্টেশনে গেটে সেই কুমারি অন্তসত্বা পেটে ,
    নিতান্ত সে হতাশ –
    কার বাচ্ছা ? এ সমাজ খুলবে কি সে ইতিহাস ৷
    বরং কিছু পুরুষ মুখ টিপে আল্ত কথা বলে ,
    নিয়ে যাবে কোনো এক ছলে,
    আটবে ফন্দি , বাঁচাবে নতুন স্বপ্নের বলে ৷
    স্বপ্ন সেতো দু-মুঠো ভাত ,
    জুটরে শেষে নারীদালালের ধরে হাত ৷
    নিষিদ্ধ পল্লীর কোনো এক গেটে ৷

You cannot copy content of this page