-
একাকী
একাকী
-শরদিন্দু
রৌদ্রজ্বল দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ
তারই এক পাশে,
রয়েছে একটি ছোট্ট কুঠির
একাকী রয়েছি আমি বসে।সারাটা দিন কাটে আমার
সরিষা খেতের পশে,
স্বপ্ন গুলো বাসা বাঁধে
তৃণ ভূমির ওই ঘাসে।কে বলেছে একা আমি
সাথ দিয়েছে
সরিষা ক্ষেতের ওই ফুল,
সারাটাদিন মাথা দুলিয়ে
বলতে থাকে
একাকীত্ব টাই যে ভুল।মৌন থাকা গাছ গুলিকে
শোনাই আমার কথা,
সারাটাদিন বলতে থাকি
জমে থাকা সব ব্যাথা।হটাৎ দেখি সাথীরা সব
করে কলরব,
চাষী এসে পোঁছায় গলা
শেষ হলো যে সব।আমার সুখ দুঃখের সঙ্গী গুলি
লইয়া গেল চাষী,
হৃদয় আমার ফেটে পড়লো
ভিজলো আমার আঁখি।একা থাকার জীবন আমার
কেউ দেয় না সাথ,
ভাবি না তাই কাউকে নিয়ে
কে ধরবে হাত। -
ক্ষুধার্ত
ক্ষুধার্ত
-শরদিন্দু মন্ডলরেল লাইনের উপর রয়েছে পড়ে
আধখাওয়া একটি রুটি,
স্বযত্নে খাচ্ছে ওটি
বস্তির ওই ছেলে দুটি।ক্ষুধার্ত চোখে, স্নেহের সাথে
তবু রেখে দিলো একটুকরো
স্বযত্নে পকেটে ভরে,
বাড়িতে রয়েছে একা
স্নেহাতুর ছোট বোন ওরে
তারও রয়েছে খিদের জ্বালা,
যতটুকু পারে দেয় তাকে
ক্ষুধার্ত ওই পেট ভরে।সারাদিন চেয়ে থাকে
করুণ লোলুপ দৃষ্টিতে
স্টেশনের ওই দোকানে
খেতে ব্যাস্ত লোকগুলির পাতে।
যদি……পারে তাদের দৃষ্টি ছুঁতে।রয়েছে কত রাজা মহারাজা
রয়েছে তাদের চিকন পোশাক,
কোনো অনুষ্ঠান ছারে না তারা
বাজায় সানাই বাজায় ঢাক,
কোনো এক কোনে পায়না জায়গা
এই সমস্ত তীর্থের কাক।