• কবিতা

    ফিরে এসো সুচেতনা (৪)

    ফিরে এসো সুচেতনা (৪)
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    ঔদ্ধত্যের মৃত্যু অঙ্গার দহনের ছন্দে
    নক্ষত্র আলোয় হয়তো জাগ্রত কেউ।
    সমুদ্র মথিয়া অতীত শবের গন্ধে
    রুগ্নপ্রায় শতাব্দী বক্ষে রক্তের ঢেউ।

     

    ছিঁড়ে গেছে আজ প্রেমের গ্রন্থিবন্ধন
    মৃত স্বপ্নে দগ্ধ অনুকৃত ভালোবাসা।
    বৃদ্ধাশ্রমে জননীর অস্থিরা ক্রন্দন
    চিতায় বিলীন মানব মুক্তির আশা।

     

    বিপন্ন এই সমাজে কর্কট অকস্মাৎ
    অনুক্ষণ আর্তকে ঠেলে দেয় বিপথে।
    পঙ্গু রাজনীতি যুক্তিতে হেনে আঘাত
    আয়েশী মন ভেজায় সমুদ্র সৈকতে।

     

    নি:সহায় শিশুর চক্ষে আনে জল
    ক্ষত বিক্ষত জীবনে রক্ত ইতিহাস।
    জরায়ুর ডিম্বে ভ্রূণ নষ্টের কোলাহল
    অভুক্ত চিরদিনই আইনের ক্রীতদাস।

     

    কাকের ছানার মতো হেমন্তের রাত্রি
    কে মেটাবে মৃত্তিকা মা’র বুকের তৃষ্ণা?
    অন্ধকার দ্বীপের ক্ষণিক মুক্তির যাত্রী
    সোনালী আলোয় ফিরে এসো সুচেতনা।

     

    নিশি ভেঙে গৈরিক শান্তির অনুভব
    দাম্ভিক রুধিরে জাগাতে হবে বেদনা।
    পাণ্ডুলিপির অগ্নিতে ঝল্‌সাক্‌ শব
    চিতার আলোয় ফিরে এসো সুচেতনা।

  • কবিতা

    ফিরে এসো সুচেতনা (৩)

    ফিরে এসো সুচেতনা (৩)
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    অচেতন বিবেক প্রকাশ্যে খেয়ে ঘুষ
    অন্ধ সমাজের রন্ধ্রে জাগায় ভীতি।
    কোথায় বিবেক? আমরা ভ্রষ্ট মানুষ
    ত্রাসের গণতন্ত্রে কাঁদে ন্যায়ের নীতি।

     

    দাম্ভিক অনুভূতির অনৈক্য অনুভবে
    রক্তের খোঁজে মত্ত শানিত তরোয়াল।
    অসুস্থ মানবিকতার অন্ধ কলরবে
    নি:স্তব্ধ প্রহর পাতে চক্রান্তের জাল।

     

    হিংস্রতা নির্মাণ হয় তীব্র অনুদারে
    চাঁদটাও ভুগছে ক্ষয়াটে রোগে আজ।
    বেকার বঞ্চিত এই সাম্যের অধিকারে,
    দূষণে আক্রান্ত উপাস্য শিল্পী সমাজ।

     

    সেই বিস্মৃত অতীত রক্তের স্বাধীনতা
    শত শত কুমারীর কৌমার্য হরণ।
    দুর্ভিক্ষ,মহামারী,উপপ্লবের কথা
    স্বার্থপর সুনাগরিক করে না স্মরণ।

     

    পৌষের রোদ্দুর পিঠেই চাষির ছেলে
    শিশির ভেজা মাটিতে ফলায় সোনা।
    শ্রাবণে মাথার উপর বিজলি খেলে
    মাটির গন্ধেই ফিরে এসো সুচেতনা।

     

    ফেরার পথে জোনাকিরা জ্বালবে শিখা
    শুরু হবে ফাল্গুনী বাতাসের বন্দনা।
    হাসবে হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা
    শুধু একবার ফিরে এসো সুচেতনা।

  • কবিতা

    ফিরে এসো সুচেতনা (2)

    ফিরে এসো সুচেতনা (2)
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    রৌদ্রে তরুবর চৈতন্য হৃদয় আহত
    এখানে তুলেছে মাথা মিথ্যের পাহাড়।
    স্বপ্নের পোড়া গন্ধ হেথায় ক্রমাগত
    ছিঁড়ে খায় নর্তকী রাত্রির অন্ধকার।

     

    পোড়ামাটির ধূসর ধুলোর ‘পরে জাগে
    বিহগ ডাকা ভোরের ভাঁটিয়ালী সুর।
    অব্যক্ত ক্লান্তি অবিদিত মৃত্যুর আগে
    স্বর্ণালী ক্ষেতে খোঁজে পৌষালী রোদ্দুর।

     

    ঐশ্বরিক ক্ষমতা হয় অন্ধকারে ভাগ
    ঐক্য ইতিহাস ক্ষুব্ধ এই লুপ্ত কলরবে।
    শ্রান্তির প্রতিবিম্বে লাল রক্তের দাগ
    আলোড়ন তোলে রূঢ় নি:শব্দ বিপ্লবে।

     

    পৃথিবীতে প্রেম আজ বোঝে নাই কেউ
    স্বপ্নকে হত্যা করে স্বার্থকে ভালোবাসি।
    ফেনিল্‌ এই অচেতন সমুদ্রের গাঢ় ঢেউ
    অভুক্ত হায়নার ন্যায় উষ্ণ রক্ত পিয়াসী।

     

    নিরালা অবসাদময় প্রেম বিক্ষুব্ধ মন
    হৃদয় ছন্দে শিথিল শব্দের আনাগোনা।
    রুগ্ন পৃথিবী তোমায় খোঁজে অনুক্ষণ
    নি:শব্দ বিপ্লবে ‘ফিরে এসো সুচেতনা ‘!

     

    নব বসন্ত সাজাব আজ ফাগুনের ফাগে
    কালের স্রোতে ভেসে যাক যত বেদনা।
    নূতন গল্পের ছন্দে নিশি জেগে অনুরাগে
    সন্ধ্যা দীপ হাতে ‘ ফিরে এসো সুচেতনা ‘।

  • কবিতা

    ফিরে এসো সুচেতনা (১)

    ফিরে এসো সুচেতনা (১)
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    সুচেতনা, প্রতীক্ষার উষ্ণালু ঠোঁটের সুর
    শিশির বক্ষে ফসলেরা ঘুমায় হেমন্তে।
    ধূপছায়া শাড়ীর আঁচলে মিঠেল রোদ্দুর
    ফিরে এসো পৌষের সোনালী ক্ষেতে।

     

    শান্তির শব আঁধারে মাটিকে ভালোবেসে
    মৃত্যু স্থির নীল নক্ষত্র পথেরই যাত্রী।
    এখানেই স্বপ্নেরা আজো রূধির উল্লাসে
    নিরাসক্ত পিপাসায় জাগে রূঢ় রাত্রি।

     

    প্রিয়ংবদা হৃদয় বিনিময়ের অপরাধে
    মনের সমুদ্রে সাজায় গোপন সিন্ধু।
    স্বপ্নাবিষ্ট আঁধার জোনাকি আলোর স্বাদে
    কচুর পাতায় ঝরে হিম শিশিরবিন্দু।

     

    শীত শীতল উষ্ণতা তিমির আলিঙ্গনের
    প্রেমিক চাঁদের ললাটে ছোঁড়ে আজ ইঁট।
    বুকের উষ্ণতায় নির্মিত সেই জয়স্তম্ভের
    দেয়ালে আজোও ফাটায় ‘ডিনামাইট’।

     

    ‘ফিরে এসো সুচেতনা ‘আলো অন্ধকারে
    ফোটাও হাসি,হাসুক বেদনাময় মুখ।
    তোমার অতৃপ্ত বুকের জ্বলন্ত অঙ্গারে
    পুড়ে ছাই হোক্ এই শতাব্দীর অসুখ।

     

    যোগাযাগহীন দূরত্বের এই ব্যবধান ঘুচে
    হৃদয়ের কার্নিশে এঁকে প্রেম আলপনা।
    উর্বরা মৃত্তিকায় রূধির পদচিহ্ন যত মুছে
    আবহমান পথে ‘ফিরে এসো সুচেতনা ‘।

  • কবিতা

    ভালবাসা অনুক্ষণ

    ভালবাসা অনুক্ষণ
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    মেহেদিপাতায় কৌমুদী নিশি
    নি:স্তব্ধতার প্রহর ভেঙে বর্ণালী
    মেঘ অস্থির শয্যায় শীত শীতল
    ভালবাসা আত্মনিবেদনের গন্ধ
    শুঁকেই হলুদ মেয়েটি বরফের
    গলনে খোঁজে বিহ্বলতার অস্তিত্ব।
    গান্ধার গুহ্যে বৈভবের বাকল
    মোচন করে হলুদ মেয়েটির
    ন্যায় ঝুলন্ত চাঁদের গর্তে ছোঁ
    মারে জোনাকিরাও রূঢ়
    রাত্রি স্পর্শের পার্থিব অবয়বে ।

    হলুদ মেয়েটি ছুঁয়ে চেতনার
    ভাস্কর্য অষ্টাদশী বসন্ত শুধু
    এঁকেছে লাল- নীল- সবুজ-
    বেগুনি- সোনালী- আকাশী
    স্বপ্নের চোখে নগ্ন অহংকার।
    ‘লিওনার্দো’ নই, ‘মোনালিসা’ রূপ
    দিতে অক্ষম; তাই শুধু স্মৃতির
    ক্যানভাস ভেজায় অমৃত প্রেমের
    এই হৃদয় সিক্ত তুলির অকাল
    শ্রাবণঘন লোনা জলে।

    স্বপ্নাতুর রাত্রির স্মরণ আর্তি নিমগ্ন
    প্লাবনময় বুকের বালিয়াড়িতে,
    হলুদ শাড়ির ঘ্রাণেই ঝুলন্ত
    চাঁদের ছোঁয়ায় ঘুমের আয়োজনে
    বসন্ত সাজাই রূপসার প্রেমময়ী
    বুকের বিজন অরণ্যে।
    যে চোখে আজো ফোটে
    ‘পিকাসোর’ ভাস্কর্য……… সে চোখে
    চোখ রেখেই এঁকে যাব
    কৃষ্ণচূড়ার আভায় ভালবাসা অনুক্ষণ।

  • কবিতা

    এই বসন্তে

    এই বসন্তে
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    হৃদয়ের ‘তরে রক্ত হৃদয় অনুক্ষণ
    প্রতীক্ষার বেদনায় করে নব উল্লাস।
    অজানা প্রাপ্তির প্রত্যাশা ছুঁয়ে মন
    পলাশের পাপড়িতে ঢাকবে মধুমাস।

     

    কম্পিত বক্ষে অনুভূত নিবিড় স্পন্দন
    শুষে নেবে রস মৃদু বৃষ্টি নিমগ্ন ঘ্রাণে।
    কমলা ভোরের আভায় রঙিন জীবন
    ভাঙা তরী ভাসাবে ঢেউ তোলা প্রাণে।

     

    অন্ধকার নগরীর সেই’ধূ ধূ’ বালুচর
    মধুরসে ঢাকবে চির তৃষ্ণার্ত অলি।
    আমি নই,মনে করো এক জাতিস্মর
    দেবে কোনো রিক্ত হৃদয়ে প্রেমাঞ্জলি।

     

    তন্দ্রালু রজনীতে জাগবে চাঁদ একা
    হৃদয়ে ফোটাবে ফুল ফাগুনের গন্ধে।
    কৃষ্ণচূড়ার তলে নবরূপে হবে দেখা
    অনাস্বাদিত আকাঙ্ক্ষার ছন্দে ছন্দে।

     

    বেগুনি শাড়ীর কাজল চোখে গোলাপ
    রঙেই এঁকে দেবো চির তৃপ্তির রেখা।
    সেই সত্য বচন যদিই না হয় প্রলাপ
    নিয়তির অন্তরালে বসন্তেই হবে দেখা।

  • কবিতা

    ভালো থেকো স্মৃতি

    ভালো থেকো স্মৃতি
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    হোস্টেলের কমলা বারান্দা ছুঁয়ে
    শুন্যতার উদাসী উঠোন জুড়ে
    রামধনু মেঘ বাইশটা বসন্ত
    শেষে হিম হয়ে ঝরে গেছে
    স্মৃতির পাতায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি।
    মৌন মন সাধন স্বপ্ন নীরবতা
    ঢেকে ফিরে যেতে চায়
    স্ববান্ধব স্বাতী,বিশাখার স্থির
    বিন্দু ছুঁয়ে অতীত স্মৃতির সেই
    পোড়ামাটি ভাঁটিয়ালী গাঁয়ে।

    যে পথ শেষ হয়ে গেছে
    সেই পথে হাঁটতে হাঁটতে —
    সোনালি স্বপ্নের ঠিকানা ধরে
    হলুদ মেয়েটি আজো অনুক্ষণ
    বসন্ত সাজায় আতরের গন্ধে,
    গোধূলি সন্ধ্যা প্রতিশ্রুতির আঁতুড়ঘরে।

    ভাঙা ভাঙা মেঘে মায়াবী চাঁদ
    নীল নক্ষত্রের হাত ধরে কতবার
    এসেছিল ভাঙাতে ভাতঘুম
    এমনের দখিনা জানালা ছুঁয়ে।
    ঝরণার স্রোতে ডুবে গেছে
    স্বপ্ন,প্রতিশ্রুতি,নক্ষত্র,চাঁদ।

    তখনও হবে না শেষ লেখা
    হারানো স্মৃতির পাতায় হলুদ
    মেয়েটি ছুঁয়ে,কমলা বারান্দায়
    শীতল উষ্ণতার নীরব রাতে
    অসমাপ্ত গল্প,কাব্য,গাঁথা।
    স্মৃতির পথ ধরে হেঁটে
    প্রান্তিক স্টেশনের লাল সিগন্যালে
    লিখে রেখে যাবো —-ভালো থেকো স্মৃতি।

  • কবিতা

    মুক্তির পথে

    মুক্তির পথে
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    নির্মম নিয়তির আর্ত উপত্যকা
    জুড়ে ভাঙা স্বপ্নের দুর্ভিক্ষ
    মুখরিত অনাস্বাদিত প্রণয়
    যজ্ঞের হোমানলে, হলুদ বসন্তে
    গাঁথা কত মালা পুড়ে ছাই
    দাম্ভিক হৃদয় রক্তের উষ্ণায়নে।
    হৃদয় শ্রাবণ রূপের প্লাবনে
    ভরা বরষার স্রোতে ভাসিয়ে
    তরী,আজ মস্তিষ্কের অসাড়
    স্নায়ুকোষে আলপনা আঁকে ব্যথিত
    রক্তের নীরব ক্লান্তির স্পর্শে।

    বিকৃত সভ্যতার ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে
    প্রাচীন বল্মীক মৃত্তিকা দিয়ে
    নিখুঁত তুলির টানে আজ
    নি:সঙ্গ সময় আঁকে —আধুনিক
    প্রেম ঐতিহ্যের কামান্ধ চেতনার
    অবক্ষয়ী মূর্তি।
    সনাতনী গরিমার সেঁজবাতি হাতে
    দেখি অসভ্যতার কালো রাত গল্পের
    ছলে ছিঁড়ে খায় অসংবৃত বিবর্তনের
    পেলব মুখমণ্ডল।

    অস্থির সময় চিন্তা চেতনার
    কণ্ঠ হতে প্রেমের অমৃত কেড়ে
    আজ ভাবনারা ক্ষণিকের ক্ষতে দেয়
    সুদূরপ্রসারী বিষের নীলাভ প্রলেপ।
    বিবেক মুক্তির পথ রুদ্ধ করে
    অন্যায়ের দণ্ড হাতে দণ্ডায়মান
    ভণ্ড সাধনার ব্যর্থ বিবর্তন।

  • কবিতা

    উষ্ণতার খোঁজে

    উষ্ণতার খোঁজে
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

     

     

    নৈসর্গিক আলোর অস্থির বিন্দুটা
    নিজেকে পরিক্রমা শেষে মিলিয়ে
    যায় নিরবচ্ছিন্ন হেমন্ত হরিৎ
    জোছনার মায়াবিনী নদীটার স্রোতে।
    বিজন বনানীর আরণ্যক পথে
    সেই কবে হলুদ বসন্ত এসে
    জামরুলের ফলের ভেতর বিবাগী
    স্বপ্ন এঁকে পরিতৃপ্ত অমরাবতীতে
    স্মৃতির ছায়ায় খুঁজেছিল একটু
    শীত শীতল উষ্ণতা।

    স্মৃতি হতে চাওয়া সাধের জীবন
    পুবালী ভোরের কমলা আভায়
    ঘুম ভাঙা নক্ষত্রের মতোই
    চেয়ে দেখে রাতের আঁধারে
    মিলিয়ে গেছে কত ঘুমাবৃত
    স্বপ্নালু তারার নীল নীল আঁখি।
    ঐশ্বর্যের আড়ম্বরে ঢাকা আগুন
    স্তিমিত মনের গহ্বরে আজো
    অনুক্ষণ খোঁজে কুয়াশা, বৃষ্টি, হিম
    শেষে একটু সোনালি রোদ্দুর।

  • কবিতা

    বেইমান সময়

    বেইমান সময়
    -শিবশঙ্কর মণ্ডল

    নিরন্তর শীত শীতল উষ্ণতার
    আলিঙ্গনে ভালবাসা আজ লজ্জা
    ঢাকে অবিরল কান্নার আসক্তিতে
    মৃত্যুর এই আর্ত উপত্যকায়।
    আয়ুস্মান স্মৃতির পাতায় পাতায়
    উষ্ণায়নে দগ্ধ দৈহিক আরক
    দাগ কাটে শীতল মাংসের
    ভেতর উষ্ণ রক্তের আড়ষ্টতায়।

    সেই ভালবাসার গ্রন্থিবন্ধন ছিঁড়ে
    আজ পৃথিবীর আধুনিক পাখির
    ঠোঁটের চঞ্চলতায় জেগে ওঠে
    কামনার সিঁড়ি বেয়ে নষ্ট এই
    সময়ের রূপকথাহীন গ্লানি গল্প।
    যতই ছুঁতে ইচ্ছে করে অতীত
    চন্দ্রা আলোর রূপালি রেণু,অথবা
    সেদিনের কৃষ্ণচূড়ার স্তনস্ফীত
    পাপড়িতে ভ্রমর -ভ্রমরার স্নিগ্ধ বসন্ত
    বিশ্রম্ভালাপ –ততই পাই চারিদিকে
    ভঙ্গুর যৌবনে বেইমান সময়ের
    রক্ত পিপাসু চেতনার স্বাদ।

    দাম্ভিক সময়ের অনাবৃত নাভিমূল
    চেতনার মাটিতে দিকে দিকে আজ
    ছড়িয়েছে নষ্ট ভ্রূণ বীজ ;
    সাবধান! হয়তো
    জন্ম নেবে ‘বিষবৃক্ষ’।
    পাশবিক প্রবৃত্তিতে মানুষ নীতিভ্রষ্ট
    করেছে সমাজ গঠনের রাজনীতিকে।
    এই পাপ রাজনীতির গর্ভে
    জন্ম নেবে কত শত রক্তবীজ।

You cannot copy content of this page