• কবিতা

    কবিতা- ছেঁড়া স্মৃতি

    ছেঁড়া স্মৃতি
    -সিটু ঘোষ

     

     

    চোখের কোনে জল জমেছে
    বৃষ্টি নামবে এবার তাই
    কালিটাও আজ গেছে ফুরিয়ে
    স্মৃতিগুলো সব মনের পাতায়।
    অশ্রু জলে আজও মনে পড়ে যায়
    প্রদীপের রোশনাই তোমার সেই প্রথম চুম্বন
    হঠাৎ দেখি কালির দাগ দিয়ে এই বুকে
    রজনী সাজলে অন্যের সাথে নতুন কোনো গন্ধে।
    অবশেষে লাল হলো সিঁথি
    সিঁদুর মাখলে তাতে
    রক্তাক্ত হলো বিছানা
    একাকীত্ব গ্রাস করলো অবশেষে।
    আজও কালির দাগ রেখেছ একইরকম
    ফ্যানের বাতাসে তাই মরে না ঘাম
    তোমার কান্নাগুলো শুকোই না আজও
    আর শব্দগুলো সব বাতাসে মিলিয়ে যায়।।

  • কবিতা

    কবিতা- হারিয়ে যাবো

    হারিয়ে যাবো
    – সিটু ঘোষ

     

     

    হঠাৎ করে যেদিন তলিয়ে যাবো
    বিশাল এক সমুদ্রের ঢেউ এ
    খুঁজো না আর আমায় তুমি
    তোমার ওই ব্যাথাতুর অশ্রুজলে।।

    হয়তো শেষ মুহূর্তে একখানি চিঠি
    সমর্পিত করে যাবো তোমার নামে
    দিয়ে যাবো গল্পের উপসংহার লিখতে
    তোমার ওই নতুনের গন্ধে।।

    যখন আমার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছবে তোমার দ্বারে
    হয়তো বা কষ্ট পাবে দুই একদিন
    তারপর হঠাৎ-ই সব ভুলে যাবে
    যখন নতুনের ছোঁয়া স্পর্শ করবে তোমার ওই কোমল শরীর।।

    এভাবেই কাটবে কয়েকটা দিন
    ধীরে ধীরে ছিন্ন হবে শরীর
    ব্যথার আর্তনাদে অশ্রুর ধারা বইবে চোখ বেয়ে
    দেখবে সেদিন নতুনও হয়েছে পুরনো
    হারিয়ে গেছে কোনো এক নতুন কে সঙ্গী করে।।

  • গল্প

    গল্প- ফ্রেড এবং উদ্ভিদ

    ফ্রেড এবং উদ্ভিদ
    – সিটু ঘোষ

     

     

    দিনটা ছিল মঙ্গল বার।। বাস স্টপেজ এ বাসের জন্য অপেক্ষা করছে ফ্রেড স্কুল যাবে বলে।। তখনি তার এক ছাত্র রিমন তাকে এক অদ্ভুত কথা বলে যা ফ্রেডোর অতীত মনে করিয়ে দেয়।। রিমন বলে, “স্যার, আমি কয়েকদিন ধরেই দুটো উদ্ভিদ নিয়ে চর্চা করছিলাম, এবং তাদের মধ্যে আজ এক অদ্ভুত পরিবর্তন দেখলাম।। দেখলাম যে একটা উদ্ভিদের পাতা হলুদ হয়ে আসছিল কিন্তু আজ দেখি সেই হলুদ পাতাটা সবুজ হয়ে গেছে।।” রিমন আরো বললো যে স্যার আমি বা আমার পরিবারের কেউই কিন্তু উদ্ভিদ টার কোনো যত্ন করেনি তা সত্যেও এই পরিবর্তন ।। ফ্রেড বললেন আচ্ছা চলো আজ আমিও স্কুল বন্ধ করছি তুমিও করো আর এসো আমার সাথে তোমাকে আমার এক অদ্ভুত আবিষ্কারের নিয়ে বলবো এবং তোমাকে সেই ব্যাপারে কিছু নমুনা দেখাবো।। রিমন ভাবছে স্যার কে আমি এক অদ্ভুত ঘটনার কথা বললাম কিন্তু স্যার কিছুই বললেন না বরং বললেন তার সাথে যেতে।। এসব কথা ভাবতে ভাবতে রিমন স্যার সাথে তার বাড়ির দিকে রওনা দিলেন।। আর এদিকে ফ্রেড ভাবছেন যে এতদিনে আমি আমার মনের মত স্টুডেন্ট পেয়েছি ঠিক আমারই মত।।

    রিমন স্কুলের মধ্যে যেমন খুব ভালো ছেলে পড়াশুনো তে, ঠিক তেমনি খুব বদমাশ।। তবে স্যার ফ্রেড এর রিমন কে ভালো লাগতো কারণ সে স্কুলের বেস্ট স্টুডেন্ট হওয়া সত্বেও কোনোদিন প্রথম দশের মধ্যে নিজেকে রাখার চেষ্টা করতো না অবশ্য পরীক্ষার সময় ইচ্ছে করেই কিছু প্রশ্ন এর উত্তর ভুল করে আসতো।। কারণ রিমন সর্বদা নিজেকে এভাবেই প্রস্তুত করত যে আমি প্রথম হওয়ার জন্য স্কুল যাবনা আমি নতুন কিছু শিখতে স্কুলে যাবো।।

    এদিকে রিমন ফ্রেড-এর বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। ফ্রেড রিমনকে প্রথমেই নিয়ে গেলো তার গবেষণা গারে।। রিমন অবাক হয়ে গেলো এই দেখে যে যাকে স্কুলের সকলে মিলে মজা করে তিনি কিন্তু তেমন নন তার শিক্ষার জ্ঞ্যান অনেক বেশি।এতটাই জ্ঞ্যান বেশি যে আমাদের স্কুলের অন্য ছাত্র কেনো সকল শিক্ষকের থেকে জ্ঞ্যান বেশি। তবুও বেশি অপমান ফ্রেড কেই শুনতে হয়। ফ্রেড ঘটনা বলা শুরু করলো রিপনকে।

    তখন বয়েস ছিল 27 বছর। উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছিলাম প্রেসিডেন্সি কলেজে। শরীর টা হঠাৎ খারাপ হওয়াতে বাড়ি আসি এক মাসের ছুটি নিয়ে। কিন্তু ওই একমাস আমায় এমন এক শিক্ষা দেয় যার জন্য আমি গবেষণা ছেড়ে শিক্ষক হয়ে উঠি। তবে রিমন এই ঘটনা কেবল তোমার আর আমার মধ্যেই থাকবে কাউকে বলো না।তোমার ঐ অদ্ভুত ঘটনার উত্তর আমার কাছে আছে কিন্তু সেটা কেবল তুমি জানবে আর কেউ না। প্রথম দুদিন খুব শরীর টা দূর্বল ছিল তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকি। একদিন কি মনে হলো ভাবলাম উদ্ভিদের তো প্রাণ আছে আমাদের মতোই তাহলে কি ওরাও আমাদের মত কথা বলতে পারে!! তাহলে কি ওদের ও শরীর খারাপ হয়!! তাহলে কি ওরাও আমাদের মত গল্পগুজব করে!! যেমন ভাবা তেমন কাজ লেগে পড়লাম বাড়িতেই গবেষণা করতে। কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট বাড়িতে ছিল কিছু কিনে নিয়ে আনতে হলো। খরচ টা খুব বেশি পড়েছিল অবশ্য। প্রথমে দুটো উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা শুরু করলাম । দিনের বেলা নমুনা সংগ্রহ করতাম এবং রাতে গবেষণা করতাম। রিমন কে বললেন দেখো আমার বাগানে ওই দুটো আম আর নিম গাছ আছে দেখছো ওই দুটো দিয়েই নমুনা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলাম। দুটো গাছের মধ্যে প্রথমে নিউট্রিশন ঘটালাম এবং একসপ্তাহ অপেক্ষা করলাম।দেখলাম কারোর সালোকসংশ্লেষ এর ঘাটতি হলে বা ক্লোরোফিল উৎপাদনে ঘাটতি হলে একে অপরকে সাহায্য করে আবার দেখলাম যে কার্বন ডাই অক্সাইড এর অভাব পড়লে একে অপরকে সাহায্য করে। এবার তোমার প্রশ্ন হবে কিভাবে?দেখো যেমন আমাদের ক্ষেত্রে রান্নাতে ধরো নুন কিংবা চিনি কিংবা হলুদ এর অভাব পড়লো তখন আমরা কি করি? যদি দোকান বন্ধ থাকে পাশের বাড়ি থেকে নিয়ে আসি। আমাদের হাত পা আছে তাই আমরা হেঁটে চলে যেতে পারি। কিন্তু ওদের তো হাত পা নেই যে হেঁটে চলে যাবে এবং গিয়ে নিয়ে আসবে। তাহলে ওরা কিভাবে নেয়? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি হতবম্ব হয়ে গেলাম।দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম সেখানে কিছু ছত্রাক, কিট এবং কিছু মিথ জীবির বসবাস আরো কিছু জীব ছিল যেগুলো শনাক্ত করতে পারলাম না। দেখলাম ওগুলোর মাধ্যমেই এক গাছ অন্য গাছ কে সাহায্য করে। এবার তোমার প্রশ্ন হতে পারে ছত্রাক কিংবা কিট যেগুলো আছে ওরা কেনো সাহায্য করবে? ধরো আম গাছে খাদ্যের অভাব পড়লো। তখন নিম গাছ তার 10 ভাগের 2 ভাগ খাদ্য ওই ছোট আণুবীক্ষণিক জীবের মাধ্যমে আম গাছে প্রেরণ করে। এবার আণুবীক্ষণিক জীবগুলো ওই 2 ভাগের 0.009 ভাগ খাদ্য সংগ্রহ করে নিজেদের মধ্যে রেখে দেই আর বাকিটা আম গাছকে প্রেরণ করে।

    কিন্তু স্যার ওরা কথা বলে না? বা কথা বললে কিভাবে বোঝা যায়?

    ভালো প্রশ্ন করেছ। আমারও ঠিক এই ভাবনায় এসেছিল ওরা কথা বলে কিভাবে? আমি ওই গাছগুলোর নমুনা নিয়ে সনোগ্রাফি যন্ত্রের মাধ্যমে কথা শোনার চেষ্টা করলাম। বেশ বেগ পেতে হয়েছিল এর জন্য। অনেকবার শোনার পরো কিছু না বুঝতে পেরে অবশেষে আমি শব্দ গুলো খাতায় লিখতে থাকি। অবশেষে তার মানে বের করতে গিয়ে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নমুনা নিচ্ছিলাম এর ফলে ওরা নাকি খুব বিরক্ত হয়েছে। আম গাছ আর নিম গাছের মধ্যে কথা হচ্ছে, “আমাদের মনে হয় আর বাঁচতে দেবে না ওই মানব, প্রতিদিন একটু একটু করে অংশ কেটে নিয়ে যায়, মনে হচ্ছে যেনো আমাদের মৃত্যুর আগেই ওই মানব আমাদের মেরে ফেলবে।ওই মানবকে হাওয়া প্রদান করি আমরা এমনকি বেঁচে থাকার সবথেকে মূল্যবান অক্সিজেন আমরা সরবরাহ করি। তারপরও……”

    এসব কথা আর শুনতে ভালো লাগলো না চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। আমি ভাবলাম তখনি তাহলে আমার গবেষণা এখানেই স্থগিত করি।কেননা এই কথা শোনার পর উদ্ভিদের নিয়ে যেই গবেষণাই করি এই কথাগুলো কানে ভেসে আসবে। অবশেষে আমি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে চিরতরে বেরিয়ে যায় এবং তোমাদের স্কুলে এখন শিক্ষকতা করছি।

  • গল্প

    গল্প- শেষ আলাপন

    শেষ আলাপন
    – সিটু ঘোষ

     

     

    রাত 12:40। রেডিও এফএম 98.3 তে তখন চলছে Rj সায়ন এর বিখ্যাত এক অনুষ্ঠান শেষ আলাপন। শেষ আলাপন অনুষ্ঠানের বিশেষ দিক হলো এতে শেষ বারের মত প্রাক্তন প্রেমিক প্রেমিকার সাথে ফোনের মাধ্যমে শেষ আলাপ করিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি চলে রাত 2 টো পর্যন্ত। সপ্তাহে শনি ও রবি বার এই অনুষ্ঠান হয়। শঙ্খ ওই অনুষ্ঠানটা প্রতি সপ্তাহেই শোনে। আজ শঙ্খর মন খুবই খারাপ। শঙ্খ চাইছিল শেষ বারের জন্য রুহির সাথে একবার দেখা করতে। কিন্তু একদিন খুব রেগে গিয়েই (হয়তো মন থেকে চায়নি) রুহিকে বলেছিল সারাদিন সোহম সোহম করো; যাও তার সাথেই সংসার করবে যাও। প্রায় দু’ মাস কথা হয়নি ওদের একে অপরের সাথে। রুহি অনেক বুঝিয়েছিল সেদিন কিন্তু শঙ্খ কোনো কিছুই বোঝে নি। রুহি তাই তার ফোন নম্বর চেঞ্জ করে দেয়। আজ থেকে প্রায় এক সপ্তাহ আগেই রুহি বিয়ে করে নেয় সোহমকে। আর বিয়ের কার্ডটাও শঙ্খকে স্পিড পোস্ট করে দেয়। ঘড়ির কাঁটা তখন একটা ছুঁই ছুঁই।রেডিও এফএম এ এক চেনা গলার স্বর শুনতে পেলো শঙ্খ। শুনতে পেলো রুহি রেডিও এফ এম এ শঙ্খর নাম করছে। Rj সায়ন রুহির বলা নম্বরে কল করলো। একবার রিং দু’বার রিং তিন বা………

     না, ফোনটা কেটে দিলো শঙ্খ। অবশেষে প্রায় তিন চারবার কল করার পর শঙ্খ ফোনটা ধরলো। Rj সায়ন বলতে শুরু করলো, “নমস্কার রেডিও এফএম 98.3 শেষ আলাপন এর আমি rj সায়ন বলছি”।

     Rj সায়ন: হ্যালো স্যার শুনতে পাচ্ছেন?

     শঙ্খ: বলুন….

     Rj সায়ন: আপনার প্রাক্তন প্রেমিকা রুহি চ্যাটার্জি আপনার সাথে শেষ মুহূর্তে কিছু কথা বলতে চায়। আপনি অপেক্ষা করুন আমরা ওনার সাথে কানেক্ট করছি।

     রুহি: হ্যাল্লো! শঙ্খ কেমন আছো?

     শঙ্খ: জীবন্ত অগ্নেয় গিরি দেখেছ কোনোদিন রুহি? আমিও ঠিক সেই জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মত জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছি। আচ্ছা একটা কথা বলো আমার ভুলটা কি ছিলো?

     রুহি: তোমাকে সোহম এর কথা বললে তুমি বার বার ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে কেন?

     শঙ্খ: তুমি ফোনে সবসময় সোহমের কথা বলতে। এমনকি দেখা হলেও একে অপরের সাথে তুমি ঠিক সোহমকে নিয়েই কথা বলতে।। কি দোষ ছিলো আমার? একটা মুহূর্ত কি একসাথে দেখা হওয়ার পর আমাকে কি দেওয়া যেত না? আমি তো কোনোদিন বলিনি যে তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড একটা ছেলে। আমার এটা ভালো লাগে না! কিন্তু তুমি কি করতে!না থাক……

    রুহি: কিন্তু শঙ্খ…….

    শঙ্খ: কিন্তু কি বিয়ে করে তো খুব সুখেই আছো! প্লিজ আর ডিস্টার্ব করো না আমায়। আমি এবার একটু প্রাণ খুলে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই। আমি চিরতরে তোমার নাম মুছে দিতে চাই।

    রুহি: আরে বিশ্বাস করো আমি সবই রাগের চোটে করে নিয়েছি। বিয়েতে একটুও ইচ্ছে ছিল না। জানো আমি সোহমের শরীর থেকে সেই উষ্ণ গন্ধটা পাই না যেটা তোমার মধ্যে পেতাম। যখন খুব গভীর মিলনে আবদ্ধ হোই আমরা, জানো কি তখন আমি সেই বুকের বাঁদিকের তিলটা খুঁজে বেড়াই যেটা আমার খুব প্রিয় ছিল। জানো শঙ্খ যখন গভীর মিলনে আবদ্ধ হোই তখন শুধু তোমার কথাই মনে পড়ে। আর জানো……

    শঙ্খ: থাক আর কিছু বলতে হবে না। এভাবে নিজের স্বামী থাকা সত্বেও অন্য পুরুষের কথা ভাবাকে পরকিয়া বলে। আর এসব আমি পছন্দ করি না তুমি খুব ভালো করেই জানো।

    রুহি: একবার শেষ দেখা করতে চাই তোমার সাথে শঙ্খ। একবার শেষ বারের মত তোমার সেই শরীরের সুগন্ধি অনুভব করতে চাই। একবার শেষ বারের……..

    শঙ্খ: এসব বলতে লজ্জা করছে না তোমার? আমি ভালোবাসার জন্য তোমার কাছে নগ্ন হতে পারি বারবার তাই বলে পরের স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় মত্ত হতে আমি পারবো না। এসব ঘৃণার অযোগ্য রুহি।

    (দেখতে দেখতে ঘড়ির কাটা 1 টা বেজে 50 হয়েছে)

    রুহি: কিন্তু শঙ্খ …….

    Rj সায়ন: সরী ম্যাডাম উনি ফোনটা রেখে দিয়েছেন। ও.কে ম্যাডাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কলটা আমরা ডিসকানেক্ট করলাম।

               (Rj সায়ন বলতে লাগলো)

                এতক্ষণ যারা শুনছিলেন আমাদের এই প্রোগ্রাম শেষ আলাপন তাদেরকে সকলকেই আমার পক্ষ থেকে অনেক ভালোবাসা। আবারও আগামী কাল আমরা এক প্রাক্তন প্রেমিক প্রেমিকার সাথে শেষ আলাপ করাবো। এভাবেই সকলে কালকেও আমাদের এই প্রোগ্রামের সাক্ষী থাকবেন কিন্তু। শুভরাত্রি ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এখন আমরা অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করলাম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত একটি গান দিয়ে “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে..”

You cannot copy content of this page