আগাম-সিদ্ধার্থ সিংহ     সামনে তাকিয়ে নাটুকে দেবু একেবারে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। তার ছেলে এখানে কী করছে! ওই মৃতদেহের পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে ওভাবে কাঁদছে কেন ও! কে মারা গেছে! ওভাবে কাঁদছে মানে তো যে মারা গেছে, সে ওর অত্যন্ত কাছের কেউ। আর ওর কাছের মানে তো তারও কাছের! কিন্তু কে উনি!খানিক আগে লেবু […]

ধুত -সিদ্ধার্থ সিংহ     ছেলে মাধ্যমিক দিচ্ছেতাকে বললাম, তুই যদি নাইন্টি পার্সেন্টের বেশি পাসতোকে একটা ল্যাপটপ কিনে দেব, ছেলে পেয়েছিল। বাঁক ঘুরতেই আলো-আঁধারিতে ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল সে।কানাঘুষোয় শুনেছিলাম, বাড়িওয়ালা লোক ফিট করেছেআমি বললাম, তোমাকে উনি যা দিয়েছেন, তার থেকে বেশি দেবতুমি শুধু ওঁকে একবার কড়কে দাওআমার পিছনে যেন কোনও দিন না লাগে।পর দিন […]

আর এক হরিশচন্দ্র -সিদ্ধার্থ সিংহ   আগেই ঘোষণা করেছিলেনফের জিতলেই স্থাবর-অস্থাবর যা আছেতিনি সব বিলিয়ে দেবেন।দিন-ক্ষণ সব ঠিকসমস্ত মিডিয়া হাজিরআলোকচিত্রীরা তাক করে আছেন ক্যামেরাপ্রাসাদের বাইরে হাজার-হাজার লোক। যে লোকটা একদম শূন্য থেকেআজ এতগুলো শূন্যের আগে একটা ৯ বসিয়েছেনতিনি তা কী ভাবে বিলিয়ে দেন, তা দেখার জন্য।আগেই ঘোষণা করেছিলেনএ বার জিতলেই তিনি সব বিলিয়ে দেবেন।সব নয়, […]

কী করে বলি -সিদ্ধার্থ সিংহ     হাইকম্যান্ডকে কী করে বলি! ও রকম দু’-চারটে খুন সবাই করতে পারেকিন্তু এক কোপে কারও মাথা নামিয়েসেই মুণ্ডু নিয়ে কখনও কি ফুটবল খেলেছেন প্রকাশ্য রাস্তায়?তবে? ও রকম দশ-বিশটা ধর্ষণ সবাই করতে পারেকিন্তু আপনার নাম শুনলেইমুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যাবে মেয়েদের স্কুল, পাপড়ি গুটিয়ে নেবে ফুলসে রকম বিভীষিকা কি ছড়িয়ে দিতে […]

জানালা -সিদ্ধার্থ সিংহ     ঘর বানাচ্ছ, বানাওমনে করে দুটো জানালা বানাতে ভুলো না। একটা জানালা দিয়ে ছেলে যাতে উড়ে যেতে পারেরামধনুর রং মাখতে পারে সারা গায়েমেঘের ভেলায় চেপে ভেসে যেতে পারে যেখানে খুশি,আর অন্য জানালা দিয়ে পা টিপে টিপে এসেযাতে শুয়ে পড়তে পারে বিছানায়। ঘর বানাচ্ছ, বানাওমনে করে দুটো জানালা বানিও। একটা জানালা দিয়ে […]

বুকের ভিতর অচিন পাখি -সিদ্ধার্থ সিংহ     অমৃত দাঁড়িয়ে পড়ল। সন্ধের শিয়ালদহ স্টেশন তখন জনসমুদ্র। চার দিক থেকে লোকের ঢল এসে নেমেছে। ছুটছে ট্রেন ধরতে। অমৃতও যাচ্ছিল। দক্ষিণ শাখার দিকে। ও কাজ করে একটা কাপড় ছাপার কারখানায়। তাদের কারখানা সরকারি বেসরকারি নামী-দামি নানা সংস্থার অর্ডার সাপ্লাই করে। তবে তাদের নিজস্ব কিছু ডিজাইনও আছে। সেটাই […]

ঋ-তানিয়া -সিদ্ধার্থ সিংহ   না। তানিয়া কিছুতেই কথা বলছে না। ওকে কথা বলানোর জন্য গত দু’দিন ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ঋ। তবুও একটা বর্ণও উচ্চারণ করছে না ও।কথা বলছে না মানে যে কোনও কাজ করছে না, তা নয়। সেই অষ্টমঙ্গলার গিঁট খুলে এ বাড়িতে আসার পর থেকে ও যা যা করে, মুখ বুজে তা-ই […]

ঘুমকাতুরে– সিদ্ধার্থ সিংহ   শময়িতার সন্দেহটা এখন আর সন্দেহের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সে বুঝে গেছে, তার কপাল পুড়তে চলেছে। না-হলে যে শ্রয়ন সন্ধে গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমে ঢলে পড়ত। বিছানাটা পর্যন্ত ঝাড়তে দিত না। একটু উঠতে বললে কোনো ঘরে গিয়ে যে শুয়ে পড়তো বোঝা যেত না। খুঁজতে খুঁজতে ওর দম বেরিয়ে যেত। সেই শ্রয়নই কিনা […]