• কবিতা
    কবিতা

    কবিতায়-আমি

    কবিতায়-আমি
    -শর্মিষ্ঠা শেঠ

     

    যখন আমি থাকবো না আর…এই পৃথিবীতে,

    থেকে যাবে শুধু…লেখা আমার কবিতাগুলোI এলোমেলো হয়ে টেবিলের ওপর…কিংবা থাকবে মুখ লুকিয়ে তোমার সেই ছোট্ট কাঠের আলমারির ভিতরll

    আমাদের সেই হাতে গড়া সংসার
    তার সুখ -দুঃখের স্মৃতি
    যখন পরবে তোমার মনে…
    আমার লেখা কবিতা গুলো জানান দেবে
    আমি যেন আছি তোমার কাছে ll

    বলবো না আর তোমাকে কিছু…
    বলবে আমার কবিতা গুলো
    শুনবে তখন তুমি মৌন মুগ্ধ হয়ে
    ফেলে আসা সেই সুখ- দুঃখের কাহিনীগুলো ll

    আর হবেনা দেখা আমাদের
    পাবে দেখা শুধু কবিতা গুলোর
    আকাশে বাতাসে খবরের কাগজে
    কিংবা বইয়ের পাতায়…
    বেড়াবো তখন ভেসে আমি
    মিথ্যে তখন খুঁজবে আমায় হেথা হোথা…
    …অন্য কোনোখানে ll

  • কবিতা

    প্রিয় কবিতারা

    প্রিয় কবিতারা
    -সানজিদা শোভা

     

     

    প্রিয় কবিতারা ভীড় করে…
    মস্তিস্কের আনাচে কানাচে।

    ফোটায় নীলকমল যন্ত্রনার অভিলাষে,,,
    নির্মলতা ছোঁয়ায় ভালোলাগার…
    কামনার বাসনা জাগায়,,,
    কখনো বা উম্মাদনায় মাতায় মাতাল নৃত্যে।
    কখনো বা অযাচিত ভাবে ফুটে ওঠে ভালোবাসা গুলো..
    কখনো বা রাগ-ক্ষোভ – অভিমান
    লুকিয়ে থাকা সুর,,,,
    ভালোবাসার গান।

    প্রিয় কবিতা,,,
    কখনো তুমি বর্ষার মূখরিত প্রাণ ,,,
    কখনো বা চৈত্রের তৃষ্ণার দাহ প্রাণ।

    বেঁচে থেকো প্রিয় কবিতারা
    মাঝে মাঝে দেখা দিয়ো,
    অভিমানের ছলে,,,, ভালোবাসার শত হাজার রাঙা রঙ এ

    ভালো থেকো প্রিয় কবিতারা…
    আমার অন্তিম যাত্রারও পরে।

  • কবিতা

    চেনা তুমি

    চেনা তুমি
    -পাপিয়া ঘোষ সিংহ

     

    তোমাকে আজ বড় অচেনা লাগে,
    তোমার সাথে আছি তো দীর্ঘ সময়,
    যেদিন প্রথম দেখেছিলাম তোমায়–
    তুমি ছিলে সম্পূর্ণ অচেনা,
    তবুও মন বলেছিল তুমি আমার।
    তোমার দৃষ্টিতেও ছিল সে প্রশ্রয়।

     

    আমার এলোমেলো স্বপ্ন, অগোছালো আবদার,
    আমার অনুরাগ সবকিছু ছিল
    তোমার মানসপটে আঁকা ছবি ,
    তোমার ভালোবাসা আমাকে করেছিল গরবিনী,
    আমার তুমিময় জীবনে আজও পড়েনি ছেদ
    তুমি কেমন বদলে গেলে !!!
    গুটিয়ে নিলে নিজেকে
    নিজের চারপাশে তৈরি করলে বলয় ।

    পাশে থেকেও তুমি আজ অধরা ,
    একদিন আমার কন্ঠধ্বনি তোমার প্রাণে
    সুরের ঝংকার তুলত,দূরীভূত হোতো ক্লান্তি,
    আজ সেই তোমার সময় নেই আমার কথা শোনার,
    এক‌ই শয্যায় থেকেও আমাদের দূরত্ব যোজন খানেক ।

    আমি তো আগের মতোই তোমাকে ভালোবাসি,

    আমি নদী হয়ে তোমার সাগর বক্ষে বিলীন হ’তে চাই,
    আমার প্রেমের উষ্ণতায় গলাতে চাই
    তোমার বরফ কঠিন হৃদয়।
    থেকোনা অচেনা ,সেই তোমাকে ফিরিয়ে দাও
    আমার একান্ত আপন তোমাকে।।

  • কবিতা

    বঙ্গ নারী

    বঙ্গ নারী
    -কল্যাণী ত্রিবেদী

     

    সাতদিনের কামাই, মায়া এলো নাতো কাজে
    ভাবি নিশ্চিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে বাজে!
    মায়ার সাথে মায়ার বরের হয়েছে মারামারি,
    কোমড় ভেঙ্গে মাটিতে খায় গড়াগড়ি…
    বরের সাথে মায়া করেছে আজ আড়ি,
    ভাত দেবেনা ঠিক করেছে মুখ করেছে ভারী
    আহাঃ বঙ্গ নারী!
    বর বাবাজী পাছে ঘোরে ভাতটি খাবার লোভে
    ছেলে মেয়ের ভীষণ শাসন,’ ভাত দেবে না ওকে,
    মারের কথা কি তোমার মনে নেইকো মোটে?’
    মায়ার মনে ভীষণ ব্যথা, চোখে আসে জল…
    এমনি যদি হয় মানুষটা বাঁচবে কতকাল?
    ভরসা করে মায়াদেবী ভাত বেড়ে দেয় তাকে
    ছেলে মেয়ের ভয়ে মায়া মুখ লুকিয়ে রাখে,
    আমায় এসে কেঁদে বলে ‘আমি কি যে করি?’
    আমি হাসি, হেসে বলি ‘ঠিক করেছিস’
    ওহেঃ বঙ্গ নারী।

  • গল্প

    মায়ায় ভরা এই পৃথিবী

    মায়ায় ভরা এই পৃথিবী
    -সোমা বৈদ্য
    নিরিবিলি নদীর পাশে গিয়ে বসলাম। নদী নিজের গতিতে আসে যায়, তবুও সে একাকী নিরালায়। কখনো বা জোয়ারের টানে আছড়ে পড়ে নদীর পারে,
    আবার ভাঁটাই চলে যায় দূর থেকে বহুদূরে অপরূপ দৃশ্য তার। বসে বসে আনমনে দেখি আর ভাবি প্রতিদিন কত ভঙ্গী তার অপরূপ সৃষ্টি, নদীর পারে বাঁধা শ্যাওলা সে আঁকড়ে ধরে নদীর পারকে। কিন্তু নদীর ভাঁটার টানে ছিনিয়ে নিয়ে যায় দূর থেকে বহুদূর মাঝ গঙ্গায়, ভাসতে ভাসতে চলে যায় কোন অজানা ঠিকানায়। ভাবতে ভাবতে মনটা কেমন আনমনা হয়ে যায়, হঠাৎ শুনি অদ্ভুত এক ধ্বনি ‘বলো, হরি,হরি,বোল। যে আওয়াজ শুনেই বুকের মধ্যে চমকে উঠলো, এই ধ্বনিতেই যে হারিয়েছি কত আপন জন। আমি নদীর পার থেকে উঠে এক পা দু পা করে এগিয়ে গেলাম সামনে, কিছু মানুষের ভিড় তার মাঝে মাটিতে শুয়ে আছে এক নিথর নিঃস্ব প্রাণ দেহ! সাদা কাপড়ে ঢাকা। তার একপাশে এক শিশু বয়স অনুমানে পাঁচ থেকে ছয় বছর, শিশুটিকে জড়িয়ে আছে তার মা! মাথায় সিঁন্দুর মোছা এলো মেলো চুল হাতের শাঁখা ভাঙা পরনে সাদা শাড়ি অদ্ভুত দৃশ্য। শিশুটি বার বার তার মাকে বলছে বাবা এমন ভাবে কেন শুয়ে আছে, কেন? বাবা আমায় কোলে নেবে না? তুমি কেন এমন সাদা শাড়ি পড়েছ মা? আমার ভয় করছে, যে কথা গুলো সবার বুকে বিঁধে যাচ্ছে চোখের জল ঝরাচ্ছে। আসলে শিশুটি জানে না যে তার বাবা আর তাকে কোলে নেবে না, সে মানুষটি সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে আছে আর উঠবে না। সবার চোখে জল শিশুটির মা বারবার লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে, এই শেষ দেখা শিশুটির বাবার সাথে শিশুটির। স্নেহের বাঁধন ছিন্ন করে চলে গেলো শিশুটির বাবা, শিশুটির বাবাকে যখন সবাই নিয়ে যায়, তখন অবুজ শিশুটি শেষ বার বলে ওঠে। বাবা তুমি কোথায় যাচ্ছ আমি যাব তোমার সাথে, শিশুটি আর কোন সাড়া পায়নি তার বাবার। পাথর চোখে দেখতে পারবে না নিজের বরযাএী, তখন তার শেষ বিদায় নেওয়ার পালা। সবাই তাকে বিদায় দিলো তাদের চোখের জলে, চার-কাঁধেতে উঠলো সে আপন ঘর আপন বাড়ি সব-ই ছেড়ে চলল নিজের মাটির ঘরে। শ্মশানঘাটে হবে স্নান,দেখবে না কেউ ঘুরে। সবাই মিলে নিথর নিঃশ্ব প্রান দেহটা চন্দনের কাঠে সাজিয়ে তুলে দিলো কাঠের চিতায়, চিতার আগুনে পুড়বে দেহ যেটা যত্নে রাখা ছিলো। যে দেহটা পুড়ে এক মুঠো ছাই হবে, তাকেও যে শেষ অস্তিত্ব বলে ভাসিয়ে দেবে গঙ্গা জলে। এভাবেই মিশে যাবে আমাদের শেষ চিহ্ন টুকু প্রকৃতির বুকে, এভাবেই হারিয়ে যাবে সবাই। আমাদের নামের “প্রথম অক্ষর বদলে যাবে ঈশ্বর চিহ্নে”! এই তো পৃথিবীর কঠিন নিয়ম।
  • কবিতা

    অযাচিত

    অযাচিত
    -প্রদীপ মণ্ডল

     

    একটা মন চায় একা একা
    গাছের ছায়া আর শাড়ির আঁচল

    একান্তে একটা শরীরী মত্ততা

    দুচোখ ভরা ঢেউ প্রতিদিন
    চৈতালী তোমার উষ্ণতা ছোঁয়
    ঘামে ভেজা শরীরের লাবন্য আর গন্ধ।

     

    মাঝে মাঝে অস্থিরতা জাগে—

    দিনেদুপুরে দাঁড়কাক, জনপথ ট্রেন-বাস
    নিঝুম রাত চাঁদের আলো নীল স্বপ্ন
    কোলাজে নেমে আসে শ্রাবনী মায়া।

     

    একটা প্রেম প্রেম গন্ধ ছড়াচ্ছে

    সারিসারি গাছ পাশাপাশি বসে
    রংধনু ক্রমশ বিবর্ণ পথ আঁকে।

  • কবিতা

    শতডানার প্রজাপতি

    শতডানার প্রজাপতি
    -সানজিদা শোভা

     

    শতডানার প্রজাপতি এঁকে দেবো
    তোমার এলো চুলে….
    মুগ্ধতার কাজলে অংকিত করবো তোমার ডাগর নয়ন
    বৃষ্টি স্লাত কোন এক ভর দুপুরবেলা
    কদমের গুচ্ছে তোমার পথো ভরিয়ে তুলবো
    ভালোবাসার আঁকি -বুকি অম্লান আল্পনায়…
    আমি বিমুগ্ধ প্রিয়া
    বিদিশার অন্ধকারের মত কালো চুলে
    জোনাকি পোকার আলো গুজে দেবো  কোন এক আধারের রাতে…
    তুমি দেখে নিও প্রিয়া
    তোমার গোলাপ ভেজা ঠোটে উষ্ণ আদলে
    ভেজা পদ্মের শুভ্রতাকেও হার মানায়…
    আমার অপলক দৃষ্টি আর দুষ্ট মস্তিষ্কের কামনায় তোমায়
    প্রার্থনা করে….
    প্রার্থনা করে শতহাজার বর্ষার রাত
    তোমার হাতের পরে হাত রেখে
    খোলা আঙ্গিনায় ভিজে চলবার…
    দেখে নিয়ো প্রিয়া কোন একদিন তোমার এলো চুলে গুজে দেবো শতডানার রঙ্গিন প্রজাপতি।

  • কবিতা

    অথঃ দ্রৌপদী কথা

    অথঃ দ্রৌপদী কথা
    -জয়া গুহ (তিস্তা)

     

    অনির্বাণ!নমস্কার প্রতি নমস্কারের সৌজন্য আমাদের মধ্যে থাকার নয়
    প্রথাগত সম্বোধন! নাঃ তার বৈধতা সমাজ দেয়না আমাদের
    তাও ভাবতে অবাক হই এই সন্ধ্যার কথা
    প্রজ্ঞাবান, বিদ্বান, কলমে যার ঝলসে ওঠে বিদ্রোহ কথা
    নারীমুক্তি,নারীস্বাধীনতার বাকচাতুর্য বিস্ময় রেখে যায়
    যার কালির আঁচড়ে প্রতিবাদ গর্জে ওঠে বস্ত্রহরণের আদি অকৃত্রিম নারী দ্রৌপদী কথার ঘৃণিত বর্বরতার বিরুদ্ধে
    সে,সেই মহান ব্যক্তিত্ব যখন নিরাভরণ করছিল আমায়
    একে একে ডেকে নিজ পরিচিতির বন্ধু-ব্যজস্তুতির পারিষদ
    তুমি কেমন উদাসীন ভাবে লিখে যাচ্ছিলে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে
    শোষণের বিরুদ্ধে,পরনারী কোলে নিয়ে বুভুক্ষু শিশু,রক্তাক্ত দাঙ্গায়
    আহ!কি বীভৎস! ক্ষুরধার কলমে কালি কম পড়ে,শব্দ যেন কম না হয়
    তুমি কবি নও,তুমি মহড়ায় শিক্ষা নাও চরিত্রের মনস্তুষ্টি বুঝে সাবলীল চলাফেরায়
    বর্ম,অস্ত্র,শিরস্ত্রাণ কিছুই দাও নি যদি ঈশ্বর
    নারী শরীরে আগুণের পসরা কেন?
    অহঙ্কার ক্ষুণ্ণ হলে বস্ত্রহরণে পিছ-পা কেউই নয়
    সভা ত্যাগ করার মত সাহসটুকুও যদি অর্জন করতে..
    সমস্ত দায় স্বীকার করে, কলঙ্ক মিশিয়ে তোমার ঠোঁটে লিখে দিতাম অপূরণীয় ক্ষতিস্বরূপ লাল লিপস্টিকের তরতাজা অহঙ্কার
    আমিও কেমন ভাবে শিখে নিলাম বস্ত্র উন্মোচনের কৌশল
    বিপরীত পক্ষ প্রায় অন্তর্বাসের অবস্থায়
    আশরীর ঢেকে নেওয়া নববধূ সাজ আমার তখনো একচুল ও এদিকওদিক নয়
    দ্বিতীয় পুরুষে অভিরুচি নেই,প্রথমেও নয়
    আমি মেয়েমানুষ,আমিই আমার রক্ষাকবচ, আমিই আমার পরিচয়
    অনির্বাণ! এবার আর প্রেমিক নয়,একটু পুরুষ হয়ে উঠে নারী ঠোঁটে এঁকে যেও সুরক্ষার বীজমন্ত্র।

  • কবিতা

    ধর্মোন্মত্ততা

    ধর্মোন্মত্ততা
    -প্রিয়দর্শিনী মিত্র
    ধর্মের নামে চলছে হাজার অধর্ম
    এটাই যেন তমস্র মনের ভয়ঙ্কর সুকর্ম,
    কুসংস্কারাচ্ছন্নরা ভুলেছে আসল ধর্ম,
    লেলিহান উল্লাসে করছে যত অপকর্ম।

     

    সঠিক ধর্মের ছেড়েছে সুগম পথ,
    লাগামছাড়া বিকৃত আজ মনোরথ,
    পথভ্রষ্ট আজ নানা মুনির নানা মত,

    কদাকার রূপ নিয়েছে যত মত তত পথ।

     

    জোড় করে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান?
    বাস্তব অন্তরে বলবে বেইমান
    কার নির্দেশে হয়েছ সবে শয়তান?
    জেনে রাখ ভালমনে কখনো পাবে না স্থান।

     

    সকল ধর্মের অন্তর কত সুন্দর,
    অজ্ঞ আচরণে আজ হারাচ্ছে আদর।
    রাম-রহিমের বিচ্ছেদের জন্য যারা তৎপর,
    সীমাহীন স্পর্ধায় স্তম্ভিত শুদ্ধ ধর্মের অন্তর।

     

    ধর্মের নামে আপন স্বার্থ পূরণে ব্যস্ত,

    সত্য ছেড়ে মিথ্যার সঙ্গযাপনে হয়েছ অভ্যস্ত।

    অন্ধ ধর্মাচরণে অসুখেরই পথ হচ্ছে প্রশস্ত,

    জীবন সায়াহ্নে বুঝবে কি যে ভুল করেছ মস্ত।

     

    ধর্মকে একবার জানো তো সঠিক করে–
    সকল ধর্মই চলতে বলে ভালবাসার পথ ধরে।

    হিংসাকারীকে ধর্ম পাপী বলে গণ্য করে।

    ধার্মিক জানে, জীবন বাঁধা কর্মফলের’পরে।

  • কবিতা
    কবিতা

    ক্ষুধার মাতৃভাষা

    ক্ষুধার মাতৃভাষা
    -শর্মিষ্ঠা শেঠ
    মৌলবীবাড়ির রমজান আলী
    পুরা গেরামের সবচে ধনী,
    প্রতি শুক্কুরবার জুম্মার পর
    একশজন খাওয়ান গুনি গুনি।
    মসজিদের সামনে লাইন করে
    বসেন গরিব মুসল্লিগণ,
    “আল্লাহর নামে দোয়া করে পেট ভরে খান”
    সুমধুর আওয়াজে রমজান আলী কন।

    সমস্বরে সবাই ডাকে, “আল্লাহু আকবর”!

    এক শুক্কুরবারে খেতে বসিলো,
    চন্দনমালা পরা জীর্ণ এক বুড়ো,
    জ্বর ছিলো কিনা অজানা, তবে হাত পা কাঁপছিলো।
    একখান চাদর মাথায় দিয়া
    বারবার চাইছে নিজেরে লুকাইতে,
    সেবক আইসা কয়, মশাই, আইছেন কোন ধর্ম হইতে?

    ক্ষুধার্ত, পীড়িত বুড়ো মানুষটা মিনমিন করে কয়,
    “আমি ধর্মের নাম জানিনে বাপু, পেটে ক্ষুধা না সয়”,
    তিনদিন ধরে জল ছাড়া খাইনে কিছুই,
    কার নামে খাওন মিলবে কও, এক্ষুণি তার নাম লই।”

    নিরানব্বইয়ের লগে সেও কইয়া উঠে “আল্লাহু আকবর”
    রমজান আলীর দৃষ্টি পড়ে হঠাৎ নিজের উপর।

    পর শুক্কুরবার হইতে, খাইতো ঠিকই একশ জনে,
    কিন্তু দোয়া করিতো যে যার মনে মনে।

You cannot copy content of this page