কবিতা

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক
-অযান্ত্রিক

 

যতটা চেনার কথাছিলো,যতটা একসাথে হাঁটার কথাছিলো,
পুরোটাই কি চিনেছি তোমায়,ততোটাই কি রেখেছি দেয়া কথা,
বার বার জামার পকেটে পেনের কালির দাগ,
আর আস্তিনে রক্তের হলদেটে ছোপ,শুধু পরিচয়ক ব্যস্ততা দেখায়।
সুরঞ্জনা, ভালোবাসাটা যদি পাশে থাকা ছায়ার মতন হয়, তাই বা কম কি।

গতকাল কিংবা দূরের কোনো কালচে শৈশবকে যখন দেখি,
বিবেকের লাশকাটা ঘরে,যদিও ছুরি হাতে বুদ্ধিজীবী শল্য পরিচালক বলে,
“শৈশবের তেমন কোনো স্মৃতি নেই যাকে ঠিক প্রেম বা ভালোবাসা বলে”
অতিরিক্ত ক্ষুদাসার ভোগ করে, আমরা পরে আছি চামড়া বা পুরু শাঁসের বাকল,
পঁচিশতম বেহায়া বসন্তের হাওয়ায়, ডুবন্ত সূর্যের আলো ছুঁয়ে যায় দিনের গোড়ালি,
তখন মনে হয়, মানুষের ভালবাসার বড়ো প্রয়োজন, সুরঞ্জনা, বড়ো প্রয়োজন

যতবার বোঝাতে চেয়েছি, শিশির ভেজা ঘাসের উপর হাঁটলে ভালোবাসা মাখা যায়,
লাল মাটির রাস্তা ধরে সূর্যাস্তের দিকে সাইকেল নিয়ে এগিয়ে গেলে ভালোবাসা পাওয়া যায়,
দুর্ভেদ্য কুয়াশার জাল সারা গায়ে মেখে রজনীগন্ধার আবদারে সাড়া দিলে ভালোবাসা হয়
পুকুরের পার ঘেঁসে হেলে পরা নারকল গাছের পাতার জল ছোয়ার যে আকুতি তাওতো প্রেম,
অথবা প্রথম বৃষ্টির জল, প্রথম শীতের হার কাঁপানো অনুভূতি, গরমের প্রথম দখিনা বাতাস,
একটা একটা করে ঝরে পরা শাল গাছে ফুল, আর তাই নিয়ে কাঠবিড়ালীর আত্ম অভিসার।
সব সব সব এএই ভালোবাসার জন্য সুরঞ্জনা,
শুধু কার্যকর সাম্মুহিক প্রতিপক্ষের আড়ালে এই সব লুকিয়ে থাকে,
বাস্তবতার নিরিখে বোধ করি মাথাটা নিরেট,তাই

নিজেকে বড় প্রেমহীন মনে হয়।।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page