আলোচনার বিষয়
অযান্ত্রিক
অনেকটা পথ বিভিন্নভাবে পেরিয়ে এসে আমরা,
যেকোন সুন্দর বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতাম।
মুখোমুখি চায়ের ভার হাতে ,বলতেই পারতাম ভ্রমন,
কিংবা জঙ্গলে রাত্রি যাপনের অভিজ্ঞতার কথা।
আমাদের চায়ের চুমুকের সাথে সাথে ,ধোঁয়ায় ভাসত,
সকালের ইস্কুলের দিদিমণি,তার আলগোছে খোঁপা,
অথবা ,পাশের টেবিলে মুখ চুন করে বসে থাকা ছেলে,
যার সাথে গত দুদিন তার প্রেমিকার কথা হয়নি,
অভিমানের মেঘ জমেছে তার মুখে ,কানের পাশে, চুলে।
তুমি বলতেই পারতে তোমার পাশের ফ্ল্যাটের জানলায়,
একলা যুঝে যাওয়া অর্কিড,সবুজ বনসাই। আর জল,
দিতে আসা বৃদ্ধা,যার ছেলে বিদেশে থাকে টাকা পাঠায়।
কলেজ ফেরত তরুণী ,তার স্কুটি গাড়ি,চিবুকের তিল।
বিস্কুটের টুকরো ছুঁড়ে দিতে রাস্তার নেড়ি কুকুরের দিকে,
শোনাতে লেংটা না খেতে বাচ্চাটার কথা ,যার দিকে
লোলুপ দৃষ্ট্রির চুমু। ছুঁড়ে দিচ্ছিল একটা ক্ষুধার্ত শকুন।
কোনো বিখ্যাত ছবিতে। আর জোড়ায় জোড়ায় হাততালি।
কিংবা
আমরা দুজনেই দূরের কোনো সদ্য বিবাহ বিচ্ছিন্ন বান্ধবীর,
নিঃসঙ্গতার কথা ভেবে চুপচাপ চা খেয়ে যেতে পারতাম।
কিন্তু ,ওসব আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের মানুষদের কি,
আদৌ মানায়?না কোনো দিন মানিয়েছে?
তারচেয়ে ,
বরং আমরা লাল রঙের শুকিয়ে যাওয়া রক্তের কথা বলি,
শ্রমের বিনিময় মূল্যের বিবৃতিতে ভাতের উপযোগিতা,
আলোচনা করি।সাদা ভাতের চেয়ে সুন্দর জুঁই ফুল ,
আমার তো কোনো দিন দেখিনি।