দিশাহীনতাও পাপ
অযান্ত্রিক
তাহলে আমি কার কাছে যাবো? কত দূর যাবো?
আমার কোনো সংঘে বিশ্বাস নেই, কোনো গোষ্ঠীতে আস্থা নেই,
চলতে চলতে দীর্ঘায়িত হয়েছে চুলের জট, দাঁড়ির জঙ্গল।
পথ চলতি শিশুদের মনে জাগে ভয়, কিশোর যুবকেরা জানে,
আয়ের উপায় নেই, জড়া পূজিত হন ভৈরবজ্ঞানে।
কোনো গ্রামে পৌঁছালে বসলে গাছের নীচে, তাকিয়ে দেখলে পিছে,
মেকি সত্যের জন্ম শঙ্খের স্বরে জড়ো হয় উপাচার।
কত বর্ধিষ্ণু মহাজনী মাথা,নত হয়, সংহ আচার জানতে চায়।
বোঝেনা আড়াল, বোঝেনা ক্ষীপ্ত তীর্থিক আমি, কোনো বিগ্রহ নই,
অর্থাচারী নপুংসক শুধু বুঝতে পারে ভেক, বলে ওই শ্রমনেরা অলস,
পরান্নভোজী, অবধুৎ নয়, চোর, তস্কর , সময় সম্ভ্রম লুটেরা।
আমি শুনি , উত্তর করিনা, হেঁটে চলি।
মধ্য রাতে জ্যোৎস্নার বৃদ্ধা রূপে মননে উঠে আসে তরুণ ,
বহুকাল আগে যার পায়ের ছাপ হারিয়েছে সংঘের কিনারায়।
সে, হেসে উঠে বলে, কেন যে ঠকাও নিজেকে, কি চাও?
দিশাহীন, আর দৃষ্টিহীনতার ফারাক মাত্র এক চুল।
আমি শুনি না, আশীর্বাদকের সারিতে দাঁড়িয়ে ,
বলে যাই “মঙ্গল হোক,ভালো থেকো’
অস্ফুটে আর যা বলি সেটা মন্ত্র নয়, সংঘ বিরুদ্ধাচারী চটুল খেউর,
আমি আয়নায় দেখতে নিজেকে কার কাছে যাবো? কত দূর যাবো?