ভারতের মানচিত্রে দেখব স্বাদু আদৃতা তোমায়
– আব্দুর রহমান
চৈত্রের ভরদুপুরে সবুজ পাতায় ভারতের মানচিত্রে
তোমার বাসন্তী রঙের আঁচল লেজ ঝুলা পাখির মতো
দুলতে দুলতে আমার বুকের কাছটায় দেয় স্বপ্ন দোলা
কত যুগের ভোরে ঋষির কমল্ডুলু থেকে তোমার সুরতি
বিমনা সাথীর সঙ্গে করে পরিমলে সঞ্চারণ
এবেলা ওবেলা করে আঁচল দিয়ে মুখটি কেনো ঢাকো
মেনকার যৌবনে ভেসে যায় অমরত্বের তপস্যা
আমি তোমার জন্য আছি সোনালি সন্ধ্যায়
আবির মাখা আদর নিয়ে শুকতারার মতে জেগে
ভেসে যেতে চাই তোমার উদ্দাম যৌবনের ঝরণায়
পাহাড়ি ক্লিভেজ নেমে আসে কুমারী মেয়ের ভালবাসার ছন্দে
তুমি সেই ঝরণা – শম্পা খেলা কর প্রেম পরি হয়ে
আমার বুকের ওপর ঝরে পড়ে তোমার নীবি
সেই কবেকার অন্ধকার বিদিশার গন্ধ মেখে লিপিস্টিক ঠোঁট
সে কবেকার অন্ধকার তপোবনে একা মহা ঋষি
অহল্যার সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ আনন্দ ধামে অপেক্ষায় দেবরাজ
সেই টানে বিভোর চেতনায় বিশ্বাসী অপেক্ষা ইন্দ্রধনু
মেলে দেয়া আকাশ নেমে আসে নদীর পাড়ে
তোমার শুভ্র সুন্দর আছোঁয়া স্তন পনির টিক্কা
আমার প্রেমের সাজানো পরাত আমার হারানো সুর
সব কিছু টালমাটাল দূরত্ব পরিমাপে অলকার মেঘে
বিরহী পরবাস , তুমি অতীত গুহার বন্দিনী নন্দিনী
পান্ডু বিহার তেজবনে দুঃস্বপ্ন খেলা করে মনে
কী হবে যদি তোমার ক্ষীর সাগরে করি সংবিদা অবগাহন
হয়ত যাব চলি পথে অমরার অভিশপ্ত ইডেনে
আবার জন্ম হবে বাংলার ঘাটে ঘাটে সবুজ পাতায়
ভারতের মানচিত্রে দেখব স্বাদু আদৃতা তোমায়।
অপূর্ব। অনিন্দিত্য সুন্দর। বিষয় কেন্দ্রীক শব্দ যথাযথ। খুব ভাল লাগল।
Thanks