আমি বাঁচতে চাই
-চ্যাটার্জী অমল
শুনতে পাচ্ছ? মানব জাতি…
আমার কথা শুনতে পাচ্ছ তোমারা…
আর কতকাল? বলি আর ক-ত-কা-ল আমার
হাত পায়ে শেকল পরিয়ে পথ দেখাবে অচেনা আলোয়?
দু’হাত উজাড় করে সবকিছু নিয়েও এতটুকু কমেনি
তোমাদের লালসার পরিমাপ! সেই কোন প্রত্নকাল থেকে
কালো মেঘের বারান্দায় সলতে দিচ্ছে গভীর দূরভিসন্ধি,
মরীচিকাকে আলো ভেবে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞাপনে দোল খাচ্ছে
প্রতারণার বিষাক্ত ফণা। সামনে তাকিয়ে দেখ মারাত্মক
দুষণে কালের গর্ভে ডুবে যাচ্ছে বসন্তবর্ষীয় আয়ু।
কাল-মহাকালের ভেতর সময়ের ডুমো মাছি ভুল বানানে
হারিয়েছে দিন-রাতের বৈশিষ্ট্য, বারবার জোড়াতালির
মহামন্ত্রে গুনছো ভুলের মাশুল।
আড়াল আবডাল নয়, বুকে কান পাতলেই শোনা যায়…
এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছে…
হতাশার আগুনে পুড়ে যাওয়া পৃথিবীর করুণ আকুতি,
আমি বাঁচতে চাই… আমি বাঁচতে চাই…
শুনছো তোমরা… আমাকে আমার মতো বাঁচতে দাও…
বুকে আমার নতুন দিনলিপির পর্বে পর্বে মাটির গন্ধ
বয়ে আনুক প্রাচীন মাদকতা, জীবনের ক্যানভাসে
নিশ্চয়তা নিয়ে লুটিয়ে পড়ুক ভেঙে যাওয়া সমাজের ভবিষ্যত।
সামাজিক অনাচার ঠেলে সুহাসিনী হোক ভোরের সূর্য,
গোধূলির ভাটিয়ালি নদী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, সাগর,
পশু, পাখি সকলেই। এড়িয়ে যেওনা… জরাজীর্ণ সভ্যতা…
তোমরা এড়িয়ে যেও না, আমার কথা শোনো…
আর আমি থাকবো না নিষ্ক্রিয় দর্শক, গিলোটিনের আলোয়
ঘাতক হয়ে কিছু রক্তের বিনিময়ে একুশ শতকের আয়নায়
ঝরাব সমৃদ্ধ পাতার জীবনী।