।। অমর নাথ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার।।
আর একবার তোর প্রেমে পড়তে চাই
-কাজল দাস
আর একবার তোর প্রেমে পড়তে চাই,
সত্যি বলছি- এই শেষ বার-
আমি তোর প্রেমে পড়তে চাই!
এবারে একটু অন্য রকম প্রেম,
বিগত দিনের মত একঘেয়ে প্রেম আর নয়।
তুই-
কখন ঘুম থেকে উঠলি?
চোখে কাজল পরিসনি কেন?
কিংবা বাম চোখ লাফালে কি হয়?
এসব বাদ!
এবার আর এইসব নয়।
অতীতে অনেক ভুল করেছি,
মান অভিমানেও অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে,
ঠিক করে প্রেম করাই হয়নি।
অহেতুক রাস্তা জুড়ে হাহুতাশ,
ভয়, ভীতি, লোকলজ্জা! আর নয়,
এবার আমি পরিণত এক প্রেমিক,
কি করে ভালোবাসতে হয় আমি জানি।
দ্যাখ,-
এবার আর কোনো অজুহাত শুনবো না,
আর হ্যাঁ, ওই ন্যাকা ন্যাকা প্রেম নিবেদন-
আর আমার পক্ষে সম্ভব নয়। প্লীজ-
গাছ তলা কিংবা লাইট পোষ্টের নিচে দাঁড়িয়ে-
বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া সোঁদা মাটির গন্ধে হারিয়ে গিয়েছিলাম অহেতুক,
সময় পেরিয়ে গেছে, ঘরে ফেরার সময় হয়েছে, সেভাবে প্রেম হয় নি।
আর নয়- এবার না হয় কোনো-
ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় বসে জমিয়ে প্রেম করবো, ক্যামন?
তুই তো জানিস-
সেবার প্রেমে কষ্ট বেশি পেয়েছি-
সেবার খুব কেঁদেও ছিলাম,
খুব কেঁদে ছিলাম।
অনেক রাত ঘুমাই নি, ঘুমতে পারি নি,
তোকে এক পশলা দেখবো বলে-
বৃষ্টিতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ভিজেছি,
জ্বর এসেছে, ডাক্তার এসেছে,
তুই আসিস নি।
জানি একলা ঘরে তুইও খুব কেঁদেছিস,
কোনো সান্ত্বনা ছিল না, দু দিকেই,
দু দিকেই অজানা বুক চাপা কষ্ট ছিল শুধু।
ধুর- এটাকে আবার কেউ প্রেম বলে?
আর নয়-
এবার আমরা হবো বেপরোয়া প্রেমিক-
মুক্ত পাখির মতো ছুঁয়ে দেব আকাশ,
মেঘের মতো আড়মোড়া ভেঙে ভিজে যাব দুজনে,
কে কি ভাবলো,কে কি মনে করলো,
ছাড় তো।
জীবনে একবারই প্রেম আসে-
শুনেছি তাও নাকি নীরবে।
আমাদের না হয় দু বার আসবে, সরবে।
কি? রাজি তো?
না কি এবারো অপেক্ষায় থাকবো দাঁড়িয়ে,
আশ্বাস হীন কোনো অভুক্ত শিশুর মতো।
খবর পাঠাবি কাগজে, সুযোগ পাইনি তাই-
রাগ করিস না যেন।
এবার আর আমি ফিরে যেতে আসিনি,
তাই অজুহাত নয়,
যেভাবে হোক আসতেই হবে,
এবার তোকে চাই।
কি আসবি তো?
ভুল গুলো গুছিয়ে নিয়ে,
আর একবার তোকে ভালোবাসতে চাই।
তোকে ছুঁয়ে দেখতে চাই,
আর একবার তোর প্রেমে পড়তে চাই,
একবার!