-
মুক্তি
মুক্তি
-নবনীতা মুখার্জীকবিতা কে আজ নিজেই দিলাম ছুটি,
যত্নে রেখেছি মনের গোপন দ্বন্দ্ব –;
শব্দরা যেন স্থির, গন্তব্যচ্যুত,
হারিয়ে ফেলেছে অন্ত্যমিল এর ছন্দ !!হৃদয় মাঝারে শাওনের ঘনঘটা,
আলুথালু সাজে সাজানো রাগ অনুরাগ;
বিচ্ছেদ ব্যথা নীল কালশিটে আঙ্গুলে,
এস্রাজে বুঝি গাইছে বেদনা বেহাগ!!বিরহ রসের সান্দ্রতা বুকে নিয়ে ,
বিপথগামী মুক্তির জয় রথ,
খোলা আকাশের নিশ্চুপ ইশারাতে,
উপেক্ষিত – – ভালোবাসার শপথ!তোমার প্রেম মিলনেই বিশ্বাসী;
অনুভবে খোঁজে সনাতনী সুখ স্পর্শ,
আমার প্রেম মুক্তি র পথে স্থায়ী,
পার করে ফেরে হাজার আলোকবর্ষ্। -
ফ্লাইওভার
ফ্লাইওভার
-নবনীতা মুখার্জীফ্লাইওভারের নরম নিয়ন আলো;
আপন ছন্দে আঁকাবাঁকা পথে চলে,
লুকিং গ্লাসে নিশাচর চোখ দুটো,
চেনা রাস্তার অচেনা গল্প বলে !!কুয়াশা ভেজা ঝাপসা উইন্ডস্ক্রিনে,
ওয়াইপার মোছে বাষ্পীয় জলকণা,
বেদুইন মন পরিযায়ী ডানা মেলে,
পার করে মনখারাপী …..দোটানা !!জীবন অঙ্ক জটিল সমীকরণ ;
অমিল সেথা দুই আর দুই -চার,
লঙ ড্রাইভের নেশাতুর হাতছানি,
প্রশমিত করে মেন্টাল হ্যাঙওভার !নিশ্চুপ রাতে বোতাম বন্দি বুকে,
ঝড় তুলে যায় ভোরের শুকতারা,
স্টিয়ারিং এ রাখা হাত দুটি পিছুটানে,
এড়াতে পারে না বৃত্তীয় পথে ফেরা !!ক্ষত বিক্ষত অবসাদী মন জানে,
চালের ভুলে খোয়া যায় দামী ঘুঁটি,
বেহিসেবী নীল ব্যথারা আবাদ করে,
কম্পাসে বেঁধা জ্যামিতিক কাটাকুটি !! -
আলো- আঁধারে
আলো- আঁধারে
-নবনীতা মুখার্জীশিকড় গভীরে যায়, ইতিহাস খোঁজে,
সময়ের ভাঁজে রাখা একমুঠো আশা;
ধমনী তে বয়ে চলা চোরা ক্ষয় স্রোতে
রক্তে মৃত্যু দেখে ধর্ম তামাশা ! !শেষ টুকু বাঁধা আছে ঘড়ির কাঁটা তে ,
কিছু টা যে ঝুরো মাটি, কিছু টা যে ছাই !
শ্মশানে – কবরে নামে ধর্ম আঁধার ,
দিশেহারা শিরদাঁড়া ভাবে কোথা যাই !তুমি আছো বিভ্রমে, বৃথা অহমিকা,
পুড়ছে বিবেক শুধু ভীরুতা র জ্বরে;
মক্কা – কেদারে গেছে যেই পথ বেঁকে,
মিলেছে সে পথ জেনো লাশকাটা ঘরে !হয়ত কখনো আলো দেখবে এ রাত ;
পুড়বে চেতনা আঁচে ধর্মের জাত !! -
অন্তরাল
অন্তরাল
নবনীতা মুখার্জীবিষাদ বাষ্পে জমে থাকা যন্ত্রণা;
হয়ত কখনো মুছবে কোনো শ্রাবণ,
জল জমানো বুকের কাছে ক্ষতটার
এবার একটু যত্নের প্রয়োজন ! !দুঃখ যাদের বাড়তি সোহাগ করে;
বৃষ্টি তাদের মন খারাপের গান – –
স্যাঁতসেঁতে এক নির্জনতা জানে,
লাল জমাট এর বৃষ্টি ভেজা স্নান !মুহূর্তরা ঘড়ির কাঁটায় মাপা ;
সুযোগ খোঁজে আলোর স্রোতে ফেরার,
গিলছে যাদের প্রতিদিন চোরাবালি – –
স্বপ্ন তাদের একটাই – – বেঁচে থাকার ! !যে জানলাটা আড়াল করে ব্যথা ,
তার গরাদে পর্দা নামের ‘ সুখ ‘ !
সাহসী রোদ পর্দা বেয়ে নামে ;
ছুঁতে পারে না ক্ষতবিক্ষত বুক ! !দুঃখ যাদের নামেই বিলাসিতা – –
কাঁটাতারে সুখ লাল জলছাপ আঁকে,
জানলার পাশে হাসিমাখা মুখগুলোর,
অন্তরে জেনো লুকোনো গল্প থাকে ।। -
মেঘ মুলুকে
মেঘ মুলুকে
নবনীতা মুখার্জীমেঘ মুলুকের আবছায়া তে –
স্বপ্ন গুলো রাস্তা হারায় ;
ঘুম ঘুম চোখ সেই মুলুকে ,
ঝাপসা রাতের পদ্য শোনায় !!
কোথাও একটা রামধনু রং —
অলীক সুতোর স্বপ্ন বোনে ,
যে স্বপ্ন টা ভীষণ আমার ,
একলা রাতের প্রহর গোনে !
ঘুম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ,
স্বপ্ন – স্মৃতির রেল পাটাতন–
ডাকবাক্সে যত্নে রাখা —
গুপ্ত চিঠি – মন উচাটন !!
একটা কোনো সর্বনামে–
লেপ্টে থাকা কালির আঁচড় ;
কোথায় যেন স্পর্শ করে ,
লুকিয়ে রাখা বুকের পাঁজর !!
স্বপ্ন রা সব এলোমেলো ,
ঝাপসা চিঠি হাতড়ে বেড়ায়,
মেঘ মুলুকের বৃষ্টি ফোঁটা ,
সিক্ত স্মৃতি র বার্তা পাঠায় !! -
স্বপ্ন
স্বপ্ন
-নবনীতা মুখার্জীসেই মেয়েটার কাজল চোখে স্বপ্ন ভালোবাসার;
ছুঁতে চাওয়া শান্ত দীঘির গভীরতা অপার –।শাড়ির একটা পাড়ের ভাঁজে হঠাৎ একটা টান !
সেই মেয়েটার শিরায় শিরায় উত্তেজনার বাণ !ঘরের মধ্যে ঘরের মত মনের মধ্যে ঘরে – –
পুতুল খেলা সাজায় মেয়েটা ভীষণ যত্ন করে ।ঝড়ের রাতে সেই মেয়েটার বাসর তোলপাড় !
বুঝল না সে গভীরতার মানে অন্ধকার –!!নদীর মতন বইতে হলে একলা চলতে হয় ,
সেই মেয়েটার এখন ভীষণ দীঘির জলে ভয় !স্রোতস্বিনীর বহমানতায় ভাঙছে মিথ্যে রোজ ;
সেই মেয়েটা সত্যি পাবে ভালোবাসার খোঁজ ?