দূর্বা-নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত হলুদ হয়ে যাওয়া বিবর্ণ শরীর দেখেভেবো না আমরা মরে গেছিআমাদের ভেবো না প্রাণহীন। আমাদের প্রাণ তো দেহকাণ্ডে নয়নয় শাখা -প্রশাখায় কিংবা লতায়-পাতায়তোমাদের শোষণে সন্ত্রাসে সেসবশুকিয়েছে, হারিয়েছে উজ্জ্বলতা বটেকিন্তু মনে রেখোআমাদের প্রাণের পুঁজি শেকড়েবাকড়েএবং তা মাটির গভীরে প্রোথিত।তার পচন নেই,বন্যপশুরা তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে নাকীট জীবাণুদেরও আক্রমণ সাধ্যের অতীত।সামান্য জলের ছোঁয়া পেলেরক্তবীজের […]
এ হৃদয় নকশিকাঁথার মাঠ
এ হৃদয় নকশিকাঁথার মাঠ -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত হেমন্তকাল তো যায়নি এখনো কেন পাত্রে এখনই হিমেল জল নিয়ম মেনে কিছুই কি হয়না সবই পূর্ব জন্মের কর্মফল? কুয়াশায় কী আশায় জ্বলজ্বল্ জ্বলছে পথবাতির চালসে চোখ কেবল রাত বাজে সাতটা ত্রিশ শরীরে ঢেউ তোলে রসিক লোক। যেসব মেয়েদের দিনদুপুরে ড্যাবড্যাব চোখে দেখা ভব্য নয় সন্ধ্যায় মঞ্চে তারাই যদি নাচে […]
এখন দেখুন
এখন দেখুন-নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত এখন দেখুন চতুর্দিকে মুখোশ পরে ঘুরছি সবাইমুখ লুকোচ্ছি, কথা লুকোচ্ছি, চোখ লুকোচ্ছি রোদচশমায়শুধু কি তাই? রংমেখে সং সাজছি ‘বং’ ঘাটছি সারাক্ষণই আমরা কংস মামার অংশ হবো। এখন দেখুন কবিরা কেউ যাচ্ছে ব’নে খাঁচার পাখিফুলের বাসর দেখতে পেলেই লোলুপ কলম উঠছে নেচেকোথায় ক’টা গোলাপ দিলাম,ক’টাই বা রইলো বাকি জপছি সদা কোন […]
আমি উদ্ভিদ হয়ে আছি
আমি উদ্ভিদ হয়ে আছি -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত আমি উদ্ভিদ হয়ে আছি, তুমি রোদ্দুর হয়ে এসো পরিযায়ী পাখিদের কলরবে কতোকাল আর ক্ষতচিহ্ন ভুলে নিস্তরঙ্গ জলে কাটবো সাঁতার। আমি উদ্ভিদ হয়ে আছি,তুমি রোদ্দুর হয়ে এসো তোমার দেহের তাপে ভুলে যাবো দুরারোগ্য রোগ আমূলপ্রশাখাগুলি আনন্দগানে উদ্বাহু হোক। আমি উদ্ভিদ হয়ে আছি, তুমি রোদ্দুর হয়ে এসো তোমার আলোর স্পর্শ বাতাসে […]
হেরোকি তেরাই
হেরোকি তেরাই -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত “মাত্র দেড়-দু’হাজার টাকায় একবার কেঁদে নাও মেয়ে তোমার চোখের জল নিঃশেষে মুছিয়ে দেবে কোনো ‘হ্যান্ডসাম উইপিং বয়’। সঙ্গগুণে ঘুঁচে যাবে দুঃখকষ্ট সব।” –একথা বলছেন ‘রুই-কাৎসুর’ জনক জাপানের হেরোকি তেরাই। হেরোকি তেরাই,হেরোকি তেরাই, আমি এই বাংলার এক ধর্ষিতা কিশোরী তোমাকে সেলাম জানাই। আমিও কাঁদতে চাই কিন্তু আমার তো চোখে জল […]
ছয়জন বদমাশ
ছয়জন বদমাশ -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত আমাদের চারপাশে ঘোরেফেরে ছয়জন বদমাশ খুনি সুযোগ পেলেই তারা কেড়েনেবে সবকিছু মায় প্রাণটাও তারই মাঝে খেলাঘর গড়ে তুমি মায়ার সংসার সাজাও ভাবো : শক্তপোক্ত এই ঘরবাড়ি চারদিকে ইঁটের গাঁথুনি। কখনও ঘ্রাণ ছেড়ে উড়ে যায় পুড়ে যায় সময়ের ডানা বৃথাই আগুন জ্বালি অসমর্থ শীতগ্রস্ত গুহার বিবরে বদমাস ছয়জন থেকে যায় […]
হেমন্তের চিত্রপটে
হেমন্তের চিত্রপটে -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে প্রচ্ছদে ডুবে যায় নদী আর কুয়াশা ঘনায় যদি মুখোশের আড়ালে মুখ ঢাকা পড়ে যায় হেমন্তের হলুদ হয়ে যাওয়া বিবর্ণ পাতায় শিশিরের গান আর তেমন জমে না দিনে দিনে বাড়ে তার অপরিশোধ্য দেনা রক্তে যতই লাগুক বিপ্লবের ঢেউ নিশির ডাক শুনে ঘরছেড়ে বেরোবেনা কেউ। ভৌম জলের নয়,শেকড়ে […]
স্বস্তি একটাই
স্বস্তি একটাই -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত শরৎ-হেমন্ত এলে উৎসবের স্রোতে ভাসে শহরের অলিগলি গ্রামগঞ্জের অবলা উঠোন কেউ জানে না পুণ্য হল কি হল না স্বর্গ মেলে কি মেলে না কেমন থাকবে আগামী কালের রেশন-বাজার তারই মধ্যে কেউ কেউ তক্কে তক্কে থাকে কেউ আবার ঐতিহ্যের গন্ধ শুঁকে বেঁচেবর্তে থাকে স্বস্তি একটাই উমার মতো শ্যামার ডানে-বামে পুত্রকন্যা নেই […]
অনৈশ্বরিক
অনৈশ্বরিক -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত মানব-সন্তানের কাঁধে ভর দিয়ে ঈশ্বরী ফিরে গেছেন ঐশ্বরিক পুত্রকন্যাসহ। ভক্তদের বিধ্বস্ত শরীর আর স্বপ্নভাঙা চোখে শুধু ধুলো-বালি ভরা ধোঁয়াশার জাল কখনোবা আতঙ্ক ভাসে বারুদের ত্রাসে। অথচ দুদিন আগেও জীবন্ত ছিলো সব শিরা-উপশিরা ঝড় হয়ে এসেছিলো সকলের মধুময় সেই ছেলেবেলা সব এলোমেলে করে দিয়ে দিনগুলো হেসেছিলো খিল্ খিল্ করে। এখন আবার […]
যদি ফোটে ব্রহ্মকমল
যদি ফোটে ব্রহ্মকমল -নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত শরতের অবসান।শাকম্ভরী ফিরে গেছে ঘরে এখনো আকাশে কখনো সখনো গর্ভবতী মেঘ ঘোরে ফেরে বমি করে প্রচণ্ড অরুচি বশত দ্বিধাদ্বন্দ্ব সংশয়ের অন্ধকারে কারা যেন হাঁটে। ঘুণধরা ভালোবাসা আজ যেন চুপকথা গাছ দাঁড়িয়ে থাকে এখানে ওখানে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটে কারা যেন ব্রেক ক’ষে চোখের ইশারায় ডাকে বিবস্ত্র ভালোবাসা আমাদের হাইটেক যুগে। […]