-
সাইকো
সাইকো
-রাখী সরদার
সমস্ত বুকের ধাঁধা পিছলে গেছে
ট্রাডিশনাল সাহিত্য তছনছসেন্টিমেন্ট জাল গুটিয়ে হাওয়া
কি ভাবছো?
সাইকিয়াট্রিস্ট সিম্পটম দেখিয়ে
আদালতে তুলবে?
সে গুড়ে বালিআমি খাওয়া ছেড়েছি
মর্গে যাওয়ার জন্য নয়,তোমাকে
ছোবল মারার কারণে
ডোমকানা বাঁশবনে পড়ে থাকার
সাধ কার বা জাগে?মানুষ হয়ে জন্মানো মানেই ভিতর
থেকে তাড়া খাওয়া
এদিক থেকে প্রত্যেকেই সাইকো… -
ছাতা উড়ে গেলে
ছাতা উড়ে গেলে
– রাখী সরদারআগুন রোদে ছাতা উড়ে গেলে —
সংগোপনে চোখ যায় নাভিমূলে।যদি শাড়ি উড়ে যেত!! তাহলে ?
রিনরিনে স্নায়ুতন্ত্র আছাড় খেত,
সিলেবাসের পাঠ ভুলে হাওয়ায়
মদালসা হৃদয়ের গভীরে ডুবে যেত হাত।ছাতা তুমি উড়ে যাও গ্যালাক্সির পথে ।
নক্ষত্র নেমে আসুক স্তন্যদায়িনীর বাহুডোরে
স্তিমিত আলো দ্রবীভূত হোক অমৃত সুধাজলে।ছাতা তুমি উড়ে যাও বারে বার।
-
খানিকটা লাল
খানিকটা লাল
-রাখী সরদার
লাল সিল্কের শাড়ি
ম্যাচিং হাত কাটা ব্লাউজ
যেন দুধ আইসক্রিম গলে গলে পড়ছে
ভিতরের অনুভূতির সুইচগুলো অন
লাল সিগন্যালে পা বাড়িয়োনা চাঁদু…
থাপ্পড়ে মুণ্ডু ঘুরিয়ে দেবে
রোমাঞ্চিত যমুনাকে বইতে দাও বাপু ,
অচেতনে খানিকটা লাল পকেটে ভরে
বাড়ি ফিরি
সাবান জলে সাফসুতরো হয়ে বাইরে আসি
একি! আয়না এত লাল কেন?
ধূম আকাশে উড়ন্ত চাঁদ ও দেখছি রক্তলাল ছায়ামুহুর্ত কাল অবধি ছুঁইছুঁই লালে
চর্যা গাঁথব। -
সরল রেখা নদী
সরল রেখা নদী
-রাখী সরদার (নন্দিনী)সরল রেখা নদী তীরে
আছড়ে পড়ে নিবিড় ঢেউপদ্ম ঝিনুক উঠে আসে পাড় ভেঙে
আঙুল ছোঁয়া দূরত্বে তুমি বসে
মেতে উঠেছ অক্ষর বৃত্তের সাথে
গল্প খেলায়।রাগিনী শাড়ি চুপ হয়ে থাকে তোমার পাশে
আড়াল মাঠে স্নেহ,প্রেমের মৃদু অনুভূতি
চরে বেড়ায় আপন মনে।বৃষ্টি ভাঙা রোদ
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়
মাতাল ঝড়ে পংক্তি উড়ে
যায় দূর দেশে।স্বপ্ন দেখি,স্বপ্ন দেখাও হাজার বছরের
ইতিহাস হয়ে থাকার
শব্দজলে যেন ভিজিয়ে দিতে পারি পৃথিবীর
শব্দ প্রেমিকদের ।একটু হাত বাড়িয়ে দিয়ো সরল রেখা নদীতীরে।
-
ভালোবাসার সংবিধান
ভালোবাসার সংবিধান
-রাখী সরদার (নন্দিনী)রাষ্ট্রশাসনে ভালোবাসার সংবিধান যদি থাকতো!!
তাহলে
এত ধারায় অত ধারায় বিচার চলতো
কাটাছেঁড়া হৃদয়ের ডিভোর্স হতো
প্রতি সেকেণ্ডে।দুরদর্শন অথবা খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনী
বিভাগের দম আটকে যেত —-উকিলের নথীকরনেবানিজ্যিক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকত ভালোবাসা।
কবরস্থানে একটি গাছেও ফুল ফুটতনা
উলুখাগড়া প্রাণ প্রতিদিন নেড়া বেলগাছে
ঝুলে থাকত।কৃষ্ণসার মৃগ কখনোই সহবাসের চাদরে
মুড়ে নিতনা নিজেকে।ভালোবাসা তুমি বিনিময়ের দাস হোয়না—-
অনুভতির কৌনিক মাঠে
হেঁটে যেও।। -
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি
-রাখী সর্দার
তোমার প্রতিধ্বনি’…..
আছড়ে পড়ে বাঙালী মন
ও মননের সুতীব্র দেওয়ালে।মাঝে মধ্যেই ঘুমিয়ে থাকা প্রাণে
ধাক্কা মারে অস্থির ‘বলাকা’।গ্রীষ্মের গনগনে আঁচে পোড়া
বিক্ষিপ্ত হৃদয়ে শান্তির প্রলেপ
লাগায় বিরহী যক্ষ।আজকাল বায়োস্কোপেও তোমার
সৃষ্টির মন্হন বেশ অনুভব করা যায়।পৃথিবী কোনদিন চ্যাপ্টা হয়ে পড়লেও
‘তোমার প্রতিধ্বনি’ছড়িয়ে
পড়বে দিকে দিকে -
নগ্নমনের মুক্তি
নগ্নমনের মুক্তি
-রাখী সরদার (নন্দিনী)
নির্বাক উদাসীন তার চরে কেটে যাচ্ছিল
রোদ্দুর মাখা দিনগুলি।
ফণিমনসার কাঁটায় জড়িয়ে একটা দুটো
আদর মাখা ফুল।
সযতনে কোন একটিকে আঁচলের ভাঁজে
লুকিয়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা
ঠোঁটের কোলে প্রতিনিয়ত কথার ভিড়ে
হারিয়ে যাওয়া।হঠাৎ সবাক চরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মনের শবদেহ।
রাক্ষুসে পাখীর ঠোঁটের আঘাতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন
হৃদয়ের নরম পোশাক ।
শরীরী রক্তের আঁশটে গন্ধে ডুবে গেছে
পৃথিবীর নীল চোখ।তবুও নিরাকার নগ্নমনের কোনখানে
ক’ ফোঁটা সূর্যের আলো।
দোমড়ানো মোচড়ানো পীরিতের অলংকারের
মাঝে কিছু নুতন গহনার খোঁজ।
সন্ধানী চোখের গভীরে ভয়ংকর অন্ধকারের মরণ।
হয়তো এরই মাঝে মুক্তির আস্বাদ। -
তোমার কাছে
তোমার কাছে
-রাখী সরদার
তোমার কাছে ভালোবাসার অর্থ—
পলাশ পলাশ রঙ নয়।
তোমার কাছে ভালোবাসা—-,
নারীর গভীর কোমরের কোলাহল।
রোমান্টিকতার গাঢ় অর্থ—-
গঙ্গার ধারে বসে সিগারেটের সুখ টান নয়।
তোমার কাছে রোমান্টিকতা—
ভিজে শাড়ি লেপ্টানো উড়াল পুলে হেঁটে যাওয়া নারী।
বকুল বকুল গন্ধে ভরা দেহে ভেসে ওঠা
চাঁদের দিকে চোখ রাখোনি।
উচ্ছ্বল হরিণকালো চোখের খোঁজে
ছটফট করছো এ যাবৎকাল।
আকাশ হতে ছিটকে পড়া অগ্নি পিণ্ড
নিয়ে খেলতে বেশ লাগে।
মসৃণ ত্বকও ঝলসে যেতে পারে
অতৃপ্তির ঘর্ষণ লেগে।