অণু কবিতা- অসমাপ্ত রূপকথা

অসমাপ্ত রূপকথা-সমীর হালদার     কোন কোন গল্পঅসমাপ্ত-ই থেকে যায়।ছুঁয়ে থাকে শাপমুক্তির স্বপ্ন….কান্না ভেজা রাতের চাদরে মুখ ঢাকেচিরকালীন চিরন্তন কিছু ক্ষত।যন্ত্রণা মুক্তির আকুতি মিনতি নিয়ে।ঝিঙে ফুলের হলুদ গন্ধেভারি হয়ে ওঠে ভোরের বাতাস।ঠিক তখনই জন্ম নেয়অসমাপ্ত কিছু রূপকথা।

অণু কবিতা- অন্য অনুভূতি।

অন্য অনুভূতি-অমিতাভ সরকার     একটু অনুপম লাগুক তোমাকে,একটু ছোঁয়া দিয়ে যাও।স্মৃতিতে থাকবে তুমি, যাব না ভুলে। কিশোরীর কথা আবার মনে করালে,ছুঁয়ে নয় ভিজিয়ে দিলে এবার, ভিজতেভিজতে কাঁদতে থাকলাম। এত কোনো দুঃখ নয়, তোমার ধারার সাথেআনন্দাশ্রু বয়ে এক অনবদ্য আনন্দ নিকেতন তৈরি হল। সত্যিই অনুপম তুমি।

অণু কবিতা- সেরা

সেরা-অমিতাভ সরকার     সময় হয়তো শেষ হয়ে আসছে,দেখছো না প্রদীপের দপ দপ প্রজ্জলন!কিছু দিশা নিয়ে যাচ্ছে, দেখে নিতে চায় পৃথিবীর রূপ।তোমার রূপে মুগ্ধ হয়েছিল কবি, লিখেছিলো কতকিছু, কোনটা সেরা সে নিজেও জানে না।সেরা খুঁজতে খুঁজতে, খুঁজছে মেঘলা দিনে তোমার ঠোঁটে পড়া প্রথম বৃষ্টি ফোঁটা।

অণু কবিতা- ভালোবাসা হারিয়েছে পথ

ভালবাসা হারিয়েছে পথ– সমীর হালদার     পুঞ্জীভূত মেঘের উলম্ব স্তূপেআকাশ ঢেকেছে আজ।এখনই নামবে আঁধার পৃথিবীর বুকে…সীমাহীন বিরহের অন্তহীন আঁচলে ঢাকাএ কেমন প্রেম রেখে গেলে তুমি!ভালবাসা আজ হারিয়েছে পথগহন রাতের কোন অন্ধকারে,বিষাদের কালো মেঘে ঢাকাস্বপ্নের বেলাভূমি।

অণু কবিতা- মান-অভিমান

মান-অভিমান-তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়     তুমি মুখ ফেরালেইঅভিমানী মন।ফিরে দেখবারকী’বা প্রয়োজন? মন কান্নায় ভিজুক,হোক কিছু জল অপচয়।জীবনে জীবন জড়ালে,এমনই তো হয়!! কিছু কালো মেঘছড়িয়ে পড়বে জানি।কিছু ঝরাফুল,খালি ফুলদানি। তবু কিছু মান-অভিমানকারণে অকারণেই।জানি মিঠে রোদ্দুর এনে দিতেলাগে সেই তোমাকেই।।

অণু কবিতা- মৃত্যু..

মৃত্যু..-অলোক শীল     সময়ে অসময়ে নিঃশ্বাস গোনা,আমি ছোঁয়াছেচুপ করে থাকো, নিমন্ত্রণ নিশ্চিতআজ কাল কিংবা পরশু.. শেষকৃত্যে অপরিচিত মুখ,আধপোড়া মাংসে নিশাচরের পেটপুজোতারপর তুমি!আরকবিদের মুখে মৃত্যুর সীমাহীন সংজ্ঞা..

অণু কবিতা- আঙুল তুললে

আঙুল তুললে-তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়     আঙুল তুললে-আউট হয়ে,প্যাভিলিয়নে ফিরতে হবে। আঙুল তুললে –সাজানো ঘর,তাসের ঘরের মত ভাঙবে। আঙুল তুললে –জানি তুমি টলবে তখন,ওই আসনে। আঙুল তুললে –জানি তুমি পাঠিয়ে দেবে,নির্বাসনে। আঙুল তুললে –রক্তচক্ষু… বলবে তখনমিথ্যেবাদী। আঙুল না তুলেই –তাই রইলাম সবনির্বিবাদী।

অণু কবিতা- আর্তি

আর্তি– অমিতাভ সরকার     কল্পনার কবচ কুণ্ডলেকেন বেঁধে দিলে?আশ্চর্য প্রদীপ জ্বালিয়েমুছে ফেলো যত দুঃখ,নাবালক শিশুর ফুলগুলো দিয়ে তৈরি হোকনব প্রজন্ম।নীতিমালার তলায় চাপা থাক শ্রমের লালসা।বসন্তের কোকিল ডাকুক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে। ক্ষুধার অন্ন জুটুক ঘরে ঘরে নির্বিঘ্নে।আর সভা নয় ফানুসের সাজে,আশ্চর্য প্রদীপ জ্বলুক প্রতিবাদী ঝড়ে।

অণু কবিতা- সৌন্দর্য তুমি এলে –

সৌন্দর্য তুমি এলে – বৃষ্টি (পলি ঘোষ)     তুমি এলে এক মেঠো পথে এক মুঠো রোদ্দুর হাতে,কন্ঠে গাঁথা পলাশ শিমুল ফুলের মালা।চোখের কোনে জমে ছিলো এক আকাশ অভিমান….বুকে ঝরে পরুক মনের আবেগে এক পশলা বৃষ্টি।ঠোঁটের কোণে থাকুক তোমার এক মিষ্টি মধুর স্মৃতি।আমার স্বপনের পথে বন্ধু হয়ে চিরদিন।শিরা উপশিরায় হৃদয়ে স্পন্দনে,তুমি এলে অনন্ত সুখের সময়।তুমি এলে..

কবিতা- জীবন যাতনা

জীবন যাতনা -অমিতাভ সরকার আমার যখন সময় হল, তুমি গেলে পাটে। সেইখানেতে সুখে থাকো, এই ইচ্ছা বটে। কষ্ট ছিল -ভীষণ কষ্ট, ছিলাম সামর্থহীন। সুখ যখন স্বপ্ন দেখাল, তুমি তখন বিবেকহীন। বসন্তের এই খুশির সময়, পড়ছে মনে বেশি। আঁকতে গিয়ে তোমার ছবি, নেই তো সেই খুশি। রক্ত গোলাপ হাসছে দেখি, নেই তাতে স্পৃহা। প্রিয়া আমার কোন […]