-
কবিতা- প্রেম টিকা
প্রেম টিকা
-তোফায়েল আহমেদপ্রেম সৃষ্টির শ্রেষ্ট উল্লাস।
জাগতিক বিলাস।
সৃষ্টিকর্তার অমূল্য উপহার।
প্রেম আদমক্ষেতি করে গোপনে
নব নব ফসল ফলায়।
সৃষ্টির লাগিয়া চলে তার চাষ।
ভালোবাসা তার হাতিয়ার।
আঁখি তার ফাঁদ।
নব সৃষ্টিতে সে পরিপক্ক।
প্রেম রসায়নের রসের রসিক।
শিকারী সেজে মাদকের রুপক
নেশায় পিয়াসের পাগলামী করে।
অনুভূতির গোপন শিহরণ নিয়ে
রক্তের স্রোতে প্রেম বহে বেড়ায়।
রক্ত প্রেমের নির্যাস।
রক্ত প্রেম ছাড়া বাঁচেনা।
সেখানেই চলে তার সহবাস।
রক্তকে ছেঁকে ছেঁকে মন তার
সহযোগী অনুভূতির বড়ঁশি দিয়ে
প্রেমকে বের করে আনে
অনেক দলিত মথিত
রাগারাগির মালিন্য যুদ্ধের
ডামাঢোল বাজিয়ে হৈ চৈ করতে।
রক্ত গতিময়ে প্রেমকে নিয়ে
পলায়ন করে
তনুর শিরা উপশিরায়।
মন নাছোর ধারায়
টেনে হেঁচড়ে প্রেমকে তুলে এনে
তার নিজের করিডোরে বন্দি করে।
প্রেম ছান্দিক রহস্যময়।
মান অভিমান তার আছে।
প্রেমের লালন চলন কথন
জ্বলন ভরণ পোষণ সব মন আয়োজন করে।
মন প্রেমের বাল্য বন্ধু।
বার বার তাদের সাক্ষাত হয়।
আবার প্রয়োজনে তাকে সন্ধান করে।
রক্তের সুপ্ত বন্দিদশা থেকে মন প্রেমকে বের করে আনে।
মনের কথা ছাড়া প্রেম এক কদম ও চলেনা।
সে মনের বাধ্যগত হয়ে যায়।
মন প্রেমের শিক্ষক।
মন তার আপন মনযোগে প্রেমকে
ডেকে এনে তার চাহিদা মিটায়।
ইচ্ছেরা প্রতিবেশি হয়ে প্রেম মনের
কথা শোনে সহযোগিতা করে কর্ম সাধনে।
ইচ্ছের ভেতরে শয়তান নাটের গুরু
সেজে ইচ্ছেকে দখল করে।
ইচ্ছে তখন অনুমতি দেয়।
মন তার স্বভাব খোঁচানীতে
অনুভূতি অনুভবকে নাড়িয়ে
আসক্তির নেশা বাড়িয়ে জাগ্রত
করে উত্তেজনার গতি তরাম্বিত
করে সৈনিক বানায়।
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে।
যুদ্ধ করতে হবে মোহনার পারে।
মন প্রেমকে সাঁতার শেখায়।
বৈঠায় হাল ধরতে শেখায়।
তীরে পৌছার কৌশলী বানায়।
হেরে গেলে চলবেনা।
অপনমানিত হবার ভয় দেখায়।
বিপরীত যোদ্ধার সাথে যুদ্ধ
করতে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করে।
কার্য সম্পাদন করে।
প্রেম বিদায়ের বেলায় কিভাবে রক্ত
থেকে বের হবে মনের ডাকে,
তার পরামর্শ দেয় এবং ক্লাশ নোট ধরিয়ে দেয়।
প্রেম সৃষ্টির টিকা দিয়ে প্রয়োজন শেষে
প্রেম চলে যায় আবার তার বসত
বাড়ির রক্তের তাপিত লালিত বহতায়। -
কবিতা- প্রেম
প্রেম
-তোফায়েল আহমেদপ্রেম ঝরে যায় সৃষ্টির স্বভাব উল্লাসে,
আবার, জেগে উঠে প্রেম রসায়ন বিলাসে।প্রেম রক্ত কনিকা থেকে অনুভূতি কুড়ায়,
যুদ্ধে দলিত মথিত হয়ে অয়োব জুড়ায়।প্রেম সৃষ্টির অলংকার জীবনের সার,
আষ্ঠে পিষ্ঠের বাঁধনে সুখ চমৎকার।প্রেমের যখন ক্ষুধা পায় অনুভবে জানায়,
মোহনার মিলন কালায় সুধায়,কানায় কানায়।প্রেম চঞ্চল করে মনকে স্বকীয় ব্যঞ্জনায়,
মন,প্রেমের রসিক মিতা চয়ন উত্তেজনায়।প্রেম যৌবনের বাহার শিকারে করে আহার,
বপনে সম ফসল ফলায় বৈধতায় আরবার।প্রেম কল্পানার গিতালী ছায়াছবি বানায়,
প্রেম ছাড়া ভালোবাসা সৃষ্টির নাহি মানায়।প্রেম এক গোপন শিহরণ শরীরের নির্যাস,
মনের পাহারায় প্রেমের উদয় পাগলের করে, চাষ। -
কবিতা- ভালোবাসা
ভালোবাসা
-তোফায়েল আহমেদ
ভালোবাসা জীবনের সারাংশ,যা সব ধরণের
প্রাণীতে বিরাজিত,
ভালোবাসা আসে আবার চলে যায়,বেদনায়
থাকে সে জীবিত।ভালোবাসা হলো মনের খোরাক, আপনের
আপন মোহনা,
উদয়ে সুখ, অস্তে দুঃখ,এই নিয়েই চলে সব
জীবনের সাধনা।ভালোবাসা পিরিতির পাঠশালা হৃদয়ের মিতা
প্রেমের মুগ্ধ রসায়ন,
তাইতো সৃষ্টিরা ভালোবাসা করে শয়নে স্বপনে
বাস্তবে বাসরে চয়নে রুপায়ন।ভালোবাসা আপনে ঘুরে প্রাকৃতিক কারণে
অপরে চলে যায়,
ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলে সারাজীবন তাকে
ডাকে কত, আমার কাছে আয়।সেতো আসেনা আর আপনের বসত ঘরে
বেদনা দিয়ে যায়,
এই বেদনার ভারে আজীবন জীবন কাঁদে
নিরব, বিরূপ যাতনায়।জীবনতো তাকেই খোঁজে, রোজে -রোজে
কত রূপক বন্দনায়,
আলো অন্ধকারে সে জীবনের নির্যাসে থাকে
অবাক মানস চেতনায়।প্রথম জীবন প্রথম ভালোবাসা সারা জীবন
শেখরে বেঁচে থাকে,
বর্তমান ধাক্কা দেয় বিচিত্র বিবিধের আদতে
সে যায় না, ডালে বসে ডাকে।নিশি পেলে তার সোহাগী আচরণ স্মৃতিগুলি
গোপনে বিচরণ করে,
জীবনকে দলিতে মথিতে ভালোবাসার পরতে
একাকার করে ছাড়ে।জীবনের নির্যাসের নাম ভালোবাসা, যা দিয়ে
সৃষ্টির শ্রেষ্ট বাঁচে ভবের ক্ষনিকে,
ভালোবাসা বুঝেনা জীবনকে, সময়ের কাঁধে চড়ে
চলে যায়,খোঁজেনা লালনকে ।নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে সব সৃষ্টিরা তাকে চায় বিনীতে
বাস্তব জীবনের ও হৃদয়ের মাঠে,
কিন্তু চলে যায় ভালোবাসা রয়ে যায় তার অনুভূতি
মরমিয়ার ঘাটে। -
কবিতা- মনুষ্যত্বের আহ্বান
মনুষ্যত্বের আহ্বান
-তোফায়েল আহমেদ
ক্ষণিকের মানব জীবন যাপনে জ্ঞান বিবেক
ইচ্ছার আহার ও কারবার,
সততা নিষ্ঠায় প্রার্থনায় করতে হয় নিজের
জীবনের উপকার।উপকারে উপকার আসে নিশ্চয়ই অপকারে
সদা আসে সম অপকার,
তাই বুঝে শুনে করতে হয় যাপন চলন কথন
মানুষে মানুষে মঙ্গল ব্যহার।আজ তোমার শরীরে শক্তি আছে পকেটে
অগনিত টাকা আছে মায়ার ভুবন,
পরশু নাও থাকতে পারে শক্তি,রস টাকা দেমাগ
অহংকার,চলে যাবে সুন্দর জীবন।নিঃশ্বাসের বিশ্বাস নাই, ঘুমে তোমার নিঃশ্বাস
টানে কে! জানো!
বাঁচিবার কোন ক্ষমতা নেই কারো এক সেকেন্ড
কিসের এত বাহারী, কর্তার আইন মানো।কোটি কোটি বছর আগের পৃথিবী মানুষ লালন
করছে জন্ম মৃত্যুর ধারাবাহিকতায়,
পেছনে তাকিয়ে দেখো আদি পুরুষ কেহই নেই
মিসে গেছে মাটির তলে হিসাবের কাঠগড়ায়।রোজা রাখো নামাজ পড়ো সৎ বিনয় পথে চলো
যিকিরের প্রেম অন্তরায়,
রিযিকের মালিক এক আল্লাহ তিনি খাওয়াবেন
খাওয়ান,সাময়িক পরিক্ষার ধরায়।পুরাতনের অবসান, নতুনের জয়গান যাওয়া
আসার এই দুনিয়ায়,
আপন ছাড়া কেহ নেই, থাকবেনা, একা আসা
একা যাওয়া,চলছে জীবনের বেলুনের হাওয়ায়।ভালো হতে পয়সা লাগেনা,স্বর্গ নরক নিজের কর্ম
ধারায় বিরাজিত অবারিত ময়দানে,
চিনিলে আপন, ভালো ফসল কর সবাই রোপন
মনুষ্যত্বের আহ্বানে। -
কবিতা- মনের মানুষ
মনের মানুষ
-তোফায়েল আহমেদজীবন যখন জীবনকে বিচিত্রে খোঁজে
খুঁজে পায় একদিন, তখন জীবনই বুঝে।
তারুণ্যতায় সব ভরে গেলে জীবনের
দেহের কত রুপ বিকশিত করে নিজের।চুপি চুপি গোপনে রোজে কত কথা স্বরে
সব কাজের বড় কাজ সারে, দেখা করে।
দেখা থেকে হয়ে যায় জীবনের চিত্র আঁকা
চোখে কথা বলতে গেলে করে ভ্রু- বাঁকা।মনের গহীনে তারই সব একাধিক আচরণ
স্বপ্নেও ভাসে দিবা কর্মের মধুর কত বিচরণ,
পড়িতে বসিলে মনে বাজে তার রকমারি সুর
কলমে কত কি লিখে থেকে থেকে মনপুর।কখন আবার তাকে দেখিবে মন ভাবে
সব কাজ ফেলে সেথা ছুতো ধরে যাবে।
বাতাসেও প্রিয়ার ঘ্রান প্রিয়রাই সব পায়
সব দিক খালি করে ঐ দিকেই সে যায়।আয় প্রিয়া কাছে আয় মনে মনে কত ডাকে
দিন রাতের ডালে বসে সংগোপনের শাখে।
আঁখির তৃষ্ণারা পলকে চলে কত যে ছলে
মনের গহীনে তার সুর বাজে দলে দলে।কথা বলে তখন কথনের পড়ে সু- ধরণে
নানান রুপে দেহ দৃশ্যে সাজে ক্ষণে ক্ষণে।
দুজনা তখন থাকে আনমনা চঞ্চলা ভিতর
দেখে যদি ফেলে কোন জন, বলিবে ইতর।তুখুর মনে অনুভূতি উড়ে বাতাসের মত
কথা বলে কখনো সুরে সুরে দুজনা কত।
আপনালয়ে আপনকে বাজায় ইচ্ছের যত
হাটি হাটি দেহ খানি থাকে চলিতে তার মত।দূরের পথের কথনের এরুপতা যদি হয়
অনুভূতি দেয় মনে সব সজিবতারই জয়।
ভয়ের জয়ে আবেশিত তখন মন করে ছটফট
পাশা পাশি চলিছে মায়ার কথনেরই হটপট।ভালোলাগা ভালোবাসা চলছে বেড়ে নেড়ে
কাছে থেকে দূরে যায় আবার কাছে কেড়ে।
চোখের দৃষ্টরা সব ঝাপিয়ে পড়ে মৃদুপনায়
মন দিয়ে অনুভূতির সুধা ধরে আনমনায়।ভালোলাগার প্রথম দেখা এরুপ হয় কারো
দিনে রাতে বাড়ে তা পিপাসার জয় আরো।
জয়ের ভিতর ক্ষয় থাকে লুকানো কত হয়ত
শুনতে হয় কত কথা কারো বাঁকানো যতো।মন খারাপ ভালো হয় প্রথম তার দেখা পেলে
খেলা শুরু আনমনায় সময়ের দোলে দোলে।
বিচিত্রে মিলন হয় দুজনার সাথে হৃদয়ের
কত কথা বাকি থাকে বলবে দুজন বিনয়ের।এ -এক পিয়াস ক্ষুধার নাট্য জীবন শুরু হয়
চলতেই থাকে এখানে সেখানের সুযোগময়।
সৃষ্টির খেলা ভালোবাসায় শুরু হয় জগতে
কেহ সুখি হয় ললাটের লিপিকার বরকতে।দুঃখি জীবন পায় কেহ আশা হতাশার মাঝে
ভালোবাসা হারিয়ে গেলে জীবনটাই যেন বাজে।
হারিয়ে গেলেও তাকে গোপনে ডাকে আয়
সারাজীবন তার আশাই সবাই করে যায়।কেহ পায় কেহ হারায় রহস্যের যাতাকলে
সারাজীবন ভাসেরে গোপন চোখের জলে।
সব ব্যথার পতন হয় , খেলে নিরাময়ের কিছু
ভালোবাসার ব্যথা হয় না শেষ! করে কাচু মাচু।সংসার জীবনে হয়তো অন্য কেহ আসছে
হৃদয় গহীনে সেই পুরান ভালোবাসাই হাসছে।
চলে জীবন বাঁচার তাগিদে মায়ার এই ভূবন
মনের মানুষকেই ভালোবাসে একে অন্যজন। -
কবিতা- কুসংস্কার
কুসংস্কার
-তোফায়েল আহমেদ
বিপন্ন মানবতা,মানুষ অমানুষ,কুজন,
রক্তের সাথে বেঈমানী,
ছলচাতুরী ও প্রহসন মিথ্যা রটনা, যুদ্ধ
দুষিত কথন শয়তানী।কথা ভঙ্গ, লোভের জয়,হিংসা, রঙ্গে
সমাজ সয়লাভ,
স্বার্থপরতা প্রকাশ্যে,মোহ ময়লা রক্ত
দ্বন্ধের উদ্ভাব।কুসংস্কারে গ্রাস,মন মালিন্য ক্ষোভ
অসুস্থ রুক্ষ্ম ব্যবহার,
আঁধারে নিমজ্জিত,লজ্জা শরম এখন
উধাও, কয়লা আহার।পরনিন্দা চোগলখোরি মন্দ বদনাম
অহেতুক ছায়া সংলাপ,
ভয় ক্ষয় ভীতি ইজ্জত হানী অসন্মান
পাগল মাতালের প্রলাপ।নেশা, অহংকার,জোর, প্রভাব বাক্য
নেতিবাচক কথা,
দূর্বলে শুধু সবলের অত্যাচার অহরহ
চোর বাটপার সখা।তিক্ত অন্ধকার ও নোংড়ায় আচ্ছন্ন
সমাজ, জরুরি দরকার সংস্কার,
কোথায় গেলো কলমী প্রতিবাদ,শঙ্কা
ভয় ছেড়ে তাড়াও সব কুসংস্কার। -
কবিতা- দু- মুঠো ইফতারী
দু- মুঠো ইফতারী
-তোফায়েল আহমেদদিবার অবসানে মাহে রমজানে বাহারী খাবারে
ইফতারির বর্তন সাজে,
দূর থেকে তাকিয়ে থাকে কত অভুক্ত দরিদ্র জন
চোখের জলে রোজে।ভালো খাবারের প্রতি ওদের ও স্বাদ জাগে, কিন্তু
ইফতারী কিনার সাধ্য নেই যাদের,
অভুক্ত আত্মারা পিয়াসে পিপাসা ছড়ায় বাড়ায়
ক্ষুধা,কাছে ডেকে একসাথে খাওয়াও তাদের।দ্বারে- দ্বারে গরীব মানুষগুলো ঘুরে দু -এক মুঠো
ইফতারি পাবার আশায়,দয়া হয় যদি কাহার,
কিছু খাবে, কিছু পলিথিন মুড়িয়ে নিয়ে যাবে
বাসায় অভুক্ত পরিবারের করাতে আহার।ওরাও আমাদের তোমাদের মত সমাজেরই মানুষ
ওরাই হলো শ্রেষ্ঠ মানুষ, অথচ গরীব পথচারী,
আজ রাজা তুমি, কাল ফকির হবেনা তারতো কোন
বিশ্বাস নেই, ওরে ধনীর দুলারী হইওনা অহংকারী।চারিদিকে তাকিয়ে দেখো মনুষত্ব্যের সু ফটক খুলে
দেখবে সব দলে দলে অমানুষ,
দূর! বহুদূরে দেখা যাবে দু -একটি মানুষ,ওরাই ভবে গরীব,ভিক্ষুক,অথচ নেকী উৎকৃষ্ট মানুষ।
যেখানেই দেখিবে অভাবী লোক ইফতারীর খোঁজে
পুটুলী হস্তে দৌড়াদৌড়ি করছে,
বিনয়ের সহিত হাতে তুলে দাও তোমার প্রিয় খাবার,
সাহায্য করো অর্থ, ভাববে মঙ্গল তোমাকে ধরছে।সমাজে কেহ ইফতারী গরীবকে দেয় ছওয়াবের,
আশায়, কেহ আবার দেয় করুণায় কেহ দেয় ধমক,
মঙ্গলে মঙ্গল আসে, অমঙ্গলে অমঙ্গল, গরীব দেখে
নব পোশাক খাদ্য,টাকা, ফেতরা দেওয়া আবশ্যক।হে মানব কিসের এত বড়াই করো নিঃশ্বাসের নেই বিশ্বাস
তোমার দেহ অবসানে পঁচে যাবে,
সমান কাপড় ও বিছানায় গরীব ও ধনী মাটির নীচে
কর্মের সঠিক হিসাবের রুপান্তর পাবে।আজ মরলে কাল দুই দিন তারপর মনে না রাখার অচেনা দিন,
সৃষ্টি থেকে জন্মে কিভাবে আসিলা,
রমজান এসেছে পাপ মুক্ত জীবন উপহার দিতে
দু এক মুঠো ইফতারী হতে পারে নাজাতের উছিলা।নেক নজরে তাকিয়ে দেখো গরীব লোকদের চোখে
তারা অল্পতেই কত হাসি খুশি,
ডেকে ডেকে তাদের ইফতারী খাওয়াও,বাসায় পৌছে দাও গোপনে যত পারো বেশি।
-
কবিতা- ফরিয়াদ
ফরিয়াদ
-তোফায়েল আহমেদতুমি সদা সুন্দর প্রভু মঙ্গল করো
বিনয়ে কৃপা স্বরি,
তিক্ত আঁধারে ডুবে গেছে সৃষ্টিকুল
অন্ধ পাপে ভরি।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করোজগতের মায়ায় পথ ভুলেছে সব
বিপথের যাত্রী,
ডুবে যায় তরি কূলে নিতে ডাকি
জ্বালাও পবিত্র বাতি।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করোনিশি কাটেনা আলোবীনা, নির্মল
কিরণ করুনা করি,
কামনার শুদ্ধ কোটি,কুটিরে জপি
উর্ধ হস্ত তুলি ধরি।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করোমর্ম বাণী কর্ম করি যাতনার রোদন
চেতনার জলে ভাসি,
মুছে দাও ময়লা,দাও মুগ্ধতার সুধা
অন্তর জুড়িয়া হাসি।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করোরক্তঝরা জীবনধারা দুষণে হল ক্ষয়
সঙ্গত দৃষ্টির বৃষ্টি ঝরে,
পূর্ণে পূর্ণ করো হৃদয় মাজার, সৃষ্টির
অবসানে নিও স্বর্গ ঘরে।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করোঅবুঝ মন সবুজ চিনেনি প্রকৃতির স্বাদ
মোহ লোভে করেছে বিষাদ,
ক্ষমা করো মহান, মহিমায়,শ্রেষ্ঠ সৃজন
কবুল করো ফরিয়াদ।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করো –হে অদৃশ্য বিরাট,একক মালিক, শোন
আত্মায় দিও দৃঢ় বিশ্বাস উপহার,
রুপান্তরে দেখবো তোমায় নয়ন ভরে
প্রেম ডেলো,জড়িয়ে,করোনা বিচার।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করোতোমার বন্ধুকে দেখিনি তোমায় দেখিনি
দেখার বড় স্বাদ জাগে,
ভালোবাসা দিয়ে কোলে তুলে নিও, প্রভু,
সুখময়, মঙ্গলের বাগে।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করোবিনিময় ক্ষুধার ভবেতে মিলন মোহনায়
মানুষ করেছে যত পাপ,
ফরিয়াদ তোমাতে, হে আরশের মালিক
করে দাও সব পাপ মাফ।
তুমি সুন্দর সদা প্রভু মঙ্গল করো -
কবিতা- ভুল
ভুল
-তোফায়েল আহমেদভুল সবই যেন ভুল, ভবের যাপন শালার মেলায়
খুঁজলে সব ধুর্ত কর্ম, ধরা পড়ে,
স্মৃতির পাতায় অতীত নামধারী স্মরণে প্রবাহিত
জীবনের ছন্দ মন্দ দ্বন্ধ সুর মূল।জন্মের ভুলে হয় কত অঙ্গ নষ্ট, আর কর্ম ভুলে পাপ
অনিচ্ছার হলে ভুল ক্ষমা প্রার্থনায় মাপ,,
অপেক্ষার ভুলে আপেক্ষিকতা জন্ম নেয়,বোধের ভুলে নির্বোধ উপাধি,দিবা রশি নিশির ভীতু সাপ।রস- প্রেম -ভালোবাসায় স্বভাবের আঁখির নেশায়
চলনে কথনে শিল্পীর শিল্পে চয়ন চালকের ভুল,
শ্রদ্ধা বিনয়, নম্রতা, শালীনতায় ভুল,নেশার মাতাল অহংকারে ভাঙ্গে জীবনের মৌলিক সারাংশ কূল।মানবতায়,শ্রেষ্ঠতায়,শুদ্ধতায়, নরম সত্যতায়,কাব্যে
সামাজিক কুৎসিত সংস্কার ভুল,
পথ চলায় আপনে আপনে ,,ঘুষ পাপ ও দুর্নীতিতে
মিতার মিতালীতে মিথ্যের শুল।বিশ্বাসে, পরোপকারে, স্রষ্টার আবশ্যক বন্দনায়
জগতের সু ফসলে রোপনে ভুল,
মায়া অদুরে রেখে রক্তের জন্ম দাতা ভুলে বাঁধন
ছিন্নতায় স্বার্থেই কুজন মশগুল।নিজের ভেতরে এক আপনকে চিনতে করে ভুল
মনুষ্যত্বের বিবেক চেনায় অমানুষের ভুল,
কত কিছু চেনা হয় মোহ লোভে অথচ জানা হয়না ইচ্ছার মন্দ খপ্পরে নাড়ায়না সত্যায়িত চুল।সুন্দর চেনায় ভুল,খাদ্যে ভুল,নিশির শান্ত ঘুমে ভুল
সু-সময়ের পিঠে অসময়ের কিন্তু, দ্বন্ধ ভুল,
সংসার পরিবার আত্মীয় স্বজনে বহুবিধ চলমানে
করণীয়তায় তিক্ত সিক্ত ভুল,ঘরে তুলতে ফুল।ওরে এই দিনতো ক্ষণ দিন, চিরদিন অদৃশ্য কাছে
ইচ্ছার স্বাধীনতা পেয়ে নির্বোধ অধম নাচে,
আপন আপনাকে,সৃষ্টি,তার স্রষ্টাকে চিনতে যেজনা
করেনা ভুল,এপার ওপারে শান্তিতেই বাঁচে। -
কবিতা- বন্দির বন্দনা
বন্দির বন্দনা
-তোফায়েল আহমেদবন্দির বন্দনা আজীবন মুক্তির সাধনা অরাধনা
ইহা কৃত্তিম প্রাকৃতিক ঐতিহাসিক ও ধারাবাহিক,
বন্দির থাকে সন্ধি রকমারী ফন্দিতে চলমান গতি
ধারায়,জীবন যাপনের অবাক বসুন্ধধরায় প্রাত্যহিক।মানুষের মানসিক,দৈহিক কোন অঙ্গ পতঙ্গের রোগ
ও অচলাবস্থাকেই কথায় প্রতিবন্দি বলে,
শ্রবন, আঁখির আলো, কথন চলন জ্ঞান বোধদ্বয়ের
অবসানে বন্দি হয়ে কষ্ট ভাসে ব্যথার জলে।পাখি বন্দি মানুষের শখ খেলনায়,নেশাখোর মাতালে সন্ত্রাস খুন,ও জঘন্য অন্যায়ে কারণে মানুষ বন্দি,
কারাগারে থেকে মুক্তির করে অর্থ পণ,
যুক্তিতে তর্ক -বিতর্ক করে আইনজীবিরা কাগুজি প্রমানে,ও ছায়া শক্তির বলে মুক্তি পায় কতজন।নিরপরাধ বন্দি,সত্য বন্দি কবির কবিতারা অর্থে বন্দি
মুক্তির স্বাদ অধরা,অর্থের নেই চকচকে জৌলস বাহার,
বিচারের সত্য বানী বক্র হলে অবিচারেই কাটাতে হয় বন্দির আবেগ, তিক্ত আহার,শেকল কারাগার তাহার।পানি বন্দি তীরে, কলি বন্দি অলিতে ভালোবাসা বন্দি নিরব ব্যথার রক্তাক্ত হৃদয়ের নির্ঘুম গর্জন ভাঙ্গনে,
শয়তান বন্দি রমজানে, পুর্ণ প্রার্থনায়,মনুষ্যত্ব মানবতা বন্দি ইচ্ছায়,আত্মা বন্দি অসাধনায়,অপ্রাপ্তি রোদনে।গরীব বন্দি অর্থে অমানুষ বন্দি স্বার্থে চর্ম বন্দি কর্মে নজর বন্দি সমাজ বন্দি, যুদ্ধ ও রাজনৈতিক বন্দি,
যদি অর্থ বন্দি হয় আপছোস পরিহাস রোদনে ক্লান্ত
নিরাশার আশা সব বন্দিকে স্বপ্ন দেখায় মুক্তির সন্ধি।