-
পহেলা বৈশাখ
পহেলা বৈশাখ
-তোফায়েল আহমেদপহেলা বৈশাখ এসেছে নিয়ে বাঙ্গালী মনে
বাংলা মাসের গণন,
সম্রাট আকবর এই দিনে বাংলাভাষীদের
কাছে হন বিশেষ ভাবে স্মরণ।মোঘল সম্রাট আকবরই প্রথম করে যান
বাংলার হিসাবের মূল্যায়ন,
সেই থেকে চলে আসছে প্রতি বছরই এই
বৈশাখের নন্দিত আয়োজন।বাংলা হলো মোদের হৃদয়ের নির্যাস ভাষা
আপনের কথা বলে,
প্রিয় জীবন যাপনের প্রতিটি পর্যায়ে সবাই
এই ভাষাতেই চলে।সব বাঙ্গলীরা ঘরে বাহিরে পহেলা বৈশাখে
ভালো খাবারের করে আয়োজন,
আনন্দ উল্লাসে গানে, নব পোশাকে বরণ
করে পহেলা বৈশাখের আগমন ।সকালের নাস্তা করে পান্তা ইলিশ মরিচ দিয়ে
অনেক ঘরে দেখেছি,
একটা নব ইচ্ছার বিকাশ, কিন্তু বাধ্যতামূলক
নয়, তবু কেহ তাহা পালন করেছি।বৈশাখ মূলত সারা বছরের ব্যবসার হিসাব
শেষ করে,নতুন হাল খাতা খোলে,
কাষ্টমার বরনে অনুষ্টানের আয়োজন করে
মিষ্টির আগে ইলিশ খায় ঝোলে।বৈশাখের বরণ, করে বাংলা বছরেরই স্মরণ
ইহা বাঙ্গালীর স্বকীয় ঐতিয্য,
সকল বিভেদ ভূলে গিয়ে সুখ শান্তিতে শ্রেষ্ঠরা
বসবাস করবে ভাষার মলিনতা হবে ত্যজ্য। -
ভালোবাসা
ভালোবাসা
-তোফায়েল আহমেদভালোবাসা আঁখির পলকে মোহনায় মিশে
হৃদয়ের জমিনে পরশে উদিত হয়,
চঞ্চল হরষে চমৎকার সু- স্বাস্থ্যময় সুখে,
জীবনের আসে বিশুদ্ধ মৌলিক জয়।ভালোবাসা স্বভাব আদতে পবিত্র সুন্দর
অনুভূতির নদীতে ঢেউ খেলায়,
জীবনের পরতে পরতে স্নিগ্ধ সুধা জাগায়
সময়ের কোলে বেলা অবেলায়।ভালোবাসা হলো জীবনের নির্যাস সারাংশ
মধুময় আবেশ ও মুগ্ধতা ছড়ায়,
দুটি প্রানের জমজ ধ্বনি সমতার মমতায়
মানসের বাঁধনে সোহাগে জড়ায়।ভালোবাসা পিপাসার পিয়াস নিভৃতে চাষ
যুগলবন্দি অনুপম আহাজারী,
পৃথিবী সুন্দর লাগে ভালোবাসার বিকাশে
ফুলেল হাসির দোলন আহামরি।ভালোবাসা হৃদয়ের শিকার,অনুভবে আহার
চলনে বলনে অনিন্দ মুখরিত,
সুখের বন্যায় প্লাবিত হয় জীবনের রসায়ন
প্রকৃতির সবুজের সম অবারিত।ভালোবাসা দলিত মথিত তরুণ তরুণীর যশ
উজ্জ্বল স্বচ্ছ নন্দিত উছলিত,
মনের ডাকে মনের প্রাকৃতিক দৌড়, পবনের
স্রোতে,দৃষ্টির মিলনে উদ্ভাসিত।ভালোবাসা একটি অসুখের মহামারির নাম
সঙ্গতে অধিকার হারিয়ে গোপনে খোঁজে,
আজীবন তার ছায়াবাসে তীর ভাঙ্গা গর্জন
চলে, রঞ্জিত হয় ব্যথার ছোবলে রোজে। -
অনাচার
অনাচার
-তোফায়েল আহমেদবাহির মসৃন রুপে সামাজিক ভেতরটা কালো মলিন
অপরাধের রকমারী পাহাড়,
চলনে বলনে মধু কথনের উপকারী সহায়ক মিতালী
স্বার্থহীনে চলেনা চরণ তাহার।সমাজ সংস্কারক নামে প্রকাশ বিকাশ ধারায় চলমান
তাদের সাধারণ জন প্রীতি লুপ্ত অধরা,
গোপনে অন্ধকারে অপরাধের ভাতা পায় নিমিষেই
তাদের শক্তিতেই চলে মদ জুয়া মাদক পারা।গরীবের বিচার ধনীরা করে গরীব মারে অন্যায় ধমকে
অর্থের খেলায় তাদের চলে নিরব দৌড়,
ছায়ার মানুষ কায়া বদলায় নকল সানাই বাজায় ক্ষণে
মিথ্যে মায়া মমতায় কখনো মানবতার সুর।অমানুষের হিংসা বিদ্বেষ অহংকার মন্দ প্রতিযোগীতা
প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নিরহ মানুষ মরে,
ছলা কলা কৌশলে শক্তির অন্ধ মোহ দাপটে ভয় ভীতি
দেখিয়ে থাকে উঁচু সমাজপতির ঘরে।কত লোক ভিক্ষে করে করুণার জল ঐ ধনীর দুয়ারে
বিনীত মানসে অবহেলায় ঝরায়,
হিসাব নেই স্বাধীন দেশে মৌলিক অধিকার হারাদের
এসব নাগরিকের,দূর ছাঁই মনে তাড়ায়।কত শিক্ষা বঞ্চিত লাঞ্চিত পথ কলি ময়লায় গর্ত করে ক্ষুধার জ্বালায় খাবার খোঁজার চলে আর্তনাদ,
সমাজপতি সেজে কর্তব্য না করে বিলাসে বসে হেসে দৃশ্য দেখে ঘৃণা করা নয় কি অপরাধ?কত বস্তিতে মৃত্যুর সাথে আমেনা লড়াই করছে অভুক্ত, অসুখে তার চিকিৎসা নেই রোদন সমাচার,
সমাজ, রাষ্ট্র চলছে তাদের ভূমিকা বর্ণনার গানে গানে
ভাবেনা দরিদ্র্য আমেনাদের চিকিৎসা দরকার।চলমান আচার আচরণে কথনে বলনে কত অনাচার
চাকচিক্য অহমিকায় দাপটে ঘুরে,
ভিক্ষের থালা পতি ভাগ দিতে হয় হুকুমে লালনকারী
কর্তাকে,নহে দূরে, আছে এই শহরে।চুরি ডাকাতি করে তার একটা বিরাট অংশ দিতে হয়
গোপনে মদদ দাতা ও আশ্রয় প্রশ্রয়কারীকে,
লোক দেখানো সভা ডেকে চুরি বন্ধের সংবিধান করে ধরা পড়লে আইনের কথা বলে ছাড়ায় অপরাধীকে।জোর যার মুল্লুক তার অস্রবাজি চাঁদাবাজি ধান্ধ্যাবাজি
নেশার মরণ কামড়, নিপাত দরকার, সব অনাচার।
মানুষের মনে জাগ্রত হোক অপরাধ যুদ্ধ দ্বন্দ্ব অনাচার মুক্ত পৃথিবীর সৃষ্টিরা শ্রেষ্ঠ মানুষ জাতির এক পরিবার। -
পৃথিবীকে ভালোবাসি
পৃথিবীকে ভালোবাসি
-তোফায়েল আহমেদপৃথিবী বেবাক সৃষ্টির আবাসভূমি
নাহি করি স্বার্থে তাহা মলিন,
সৃষ্টি সৃষ্টিকে ভালোবাসবে স্বভাবে
সুদিন দুর্দিনে চিত্তে চিরদিন।মানুষ সৃষ্টির রাজা ইচ্ছা জ্ঞানে
ইহা স্রষ্টার দেওয়া উপহার,
তাইতো চলনে বলনে ব্যবহারে
অনিন্দ সুন্দর রূপে চমৎকার।আঠারো হাজার সৃষ্টি বাস করে
এই নিঃস্বার্থ নন্দিত পৃথিবীতে,
মানুষের মত এত সুন্দর জীবন
যাপন,নাহি অন্য কোন প্রাণীতে।সব সৃষ্টিরাই মানুষের উপকারে
সদায় নিয়োজিত থাকে,
অথচ, মানুষ অকৃতজ্ঞের মতন
অন্যের ক্ষতির চিত্র আঁকে।এই পৃথিবী যেমন ছিল তেমনই
আছে, এমনই থাকবে, চিরকাল,
সৃষ্টির আসা যাওয়া সংসার করা
স্রষ্টার আবাদ চলবে অজানা সাল।একদিন ধ্বংস হবে এই পৃথিবীটা
কেয়ামত যাকে বিধি বলেন,
সৃষ্টির আবাদ করা শেষ হবে স্রষ্টার
রূপান্তরে কর্মের হিসাব নিবেন।পৃথিবীর শরীর সুন্দর থাকলে
সকল সৃষ্টির জন্যই মঙ্গল,
তাই, পৃথিবীকে ভালোবাসি সবাই
আছে যত সেরা সৃষ্টির দল।মানুষ পৃথিবীর কোন ক্ষতি করতে
পারবেনা, পারেনি কোন দিন,
সৃষ্টির লালন পালন ভরণ পোষণে
পৃথিবী অকৃপন থাকে চিরদিন।পৃথিবীর কোলে জন্ম হাসি কান্না
অবসানে তার ভেতর নেই ঠাঁই,
তাহার মত কোমল স্নিগ্ধ ভালোবাসা
অন্য গ্রহে খুঁজে নাহি পাই।মানুষের ভালোবাসায় পৃথিবী সুস্থ্য
সুন্দর অমলিন সবুজের দেয় হাসি,
মায়ের মত এই অপরূপ পৃথিবীকে
ভালোবাসার মত সবাই ভালোবাসি। -
আলোকিত সমাজ
আলোকিত সমাজ
-তোফায়েল আহমেদঅহংকারী ঘুষখোর সুদখোর কৃপনের ধন
অসুখে খায় গরীবেরা নাহি পায়,
গরীবের ভালোবাসাই প্রকৃত, কোন ভেজাল
নেই, গরীব সদা সুহাসিতে তাকায়।গরীবের দুঃখ কষ্ট বেদন ধনী লোক বুঝেনা
দূর ছাই মানসিকতায় তাকায়,
গরীবদের তারা নোংড়া আবর্জনার মত ভাবে
সুযোগ পেলে গালি মন্দে শাঁশায়।বড় লোক মনে করে গরীবরা সমাজের ময়লা
তিক্ত বিরক্তির বোঝা যত,
গরীবের পোশাক ভালোনা,নিম্ন জীবন যাপন
শুক্রবারের খয়রাতের মত।ধনীরা চাইনিজ খায় পরিবার সহ গাড়িতে করে
অর্ধেক খায় অর্ধেক খাদ্য ফালায়,
এটা নাকি আধুনিক যুগ, এভাবেই খেতে হয়
টিস্যু মুখে ঘষে সিগারেট জ্বালায়।বড়লোকদের দেমাগ বড়াই ভাব খানা দেখলে
মনে হয় সে-ই মানুষ, অন্যেরা চাকর বাকর,
টাকা থাকলে শিক্ষা তুচ্ছ, ক্লাবে সম লোকের
সাথে মদ নারী নৃত্য জুয়া খেলার চলে আসর।কি করে তারা এত টাকার পাহাড় গড়ে ধনী
লোক হলো সহসাই ভাবলে বুঝবেন,
তাদের আছে অবৈধ ব্যবসা, রাজনীতির ছায়া
আইনের সহযোগিতা নিরবে জানতে পারবেন।তাদের ছালাম না দিলে বেয়াদব বলে, তারাই
সমাজের সব মন্দ কাজ করে থাকে,
বিচার সাজিয়ে পাবলিক বুঝায় আমিই সমাজ
পিতা, তোমরা ভালোবাসো শ্রদ্ধা করো আমাকে।গরীব সাধারণ মানুষ সারাজীবন গরীব ও সৎ
থাকে, সব দেখে কিছু ভয়ে বলেনা বাহ্যিক চলন,
অন্তরে তাদের ঘৃনা করে অমানুষের মত, তাদের
মৃত্যু দ্বন্ধে হয়, ভুক্তভোগীর অন্তরে খুশির বলন।সব ধনী- গরীবের বিরাট বৈষম্য দূর হোক,সম্পর্ক সমাজ সংস্কারী মন ভালোবাসা জাগ্রত হোক,
সমাজে ন্যায়ের পতাকাতলে শিশুর ভবিষ্যৎ হাসুক
সমস্ত কুসংস্কার অন্যায় মন্দ নিপাত যাক।সহানুভবতা সু সম্পর্ক, শিক্ষা, খাদ্য, অন্য বস্র,দান
চিকিৎসায় মানবতার আচরণ করি,
আমরা সবাই মানুষ হিংসা বিদ্বেষ ছোট বড় ভুলে
মিলে মিশে শিক্ষিত আলোকিত সমাজ গড়ি। -
মনের জীবন
মনের জীবন
-তোফায়েল আহমেদজীবন ভ্রমন করে পৃথিবীতে ক্ষণিকের জন্মে
সৃষ্টির অমোঘ স্বাদ গন্ধে থাকে আশায় বিভোর,
জাগে ছন্দে,রস আনন্দে, কলোরবে কাছে দূর
বাঁশি বাজায় স্বকীয়ে মধুময়ে ব্যথায় হারায় সুর।সৃষ্টি থেকে জন্মেতে আসে রূপান্তরে যেতে
রূপে রূপে খেলে খেলা, এই খেলনার জগতে,
কত আশা নিরাশা, জয় – পরাজয়ের জীবন
লোভ মোহ স্বার্থের গাড়িতে চলে,নানান ছুরতে।আপনে আপন চিনে বপনে ফসল ফলায়
স্রষ্টায় কৃতজ্ঞতা সৃষ্টি মিটায় বিনয় প্রার্থনায়,
আশা ঘুরায় ভবিষ্যত কালে, শয়তানী পালে
জীবন অন্ধকারে নিজ হারায়, হীন সাধনায়।জীবন ভালোবাসা করে উদয়ে চঞ্চল সুখ
কষ্ট পায় ললাট নির্মম অস্তের রক্তিম দোলে,
তবু ভালোবাসা করে যায় জগতের সব প্রাণীকূল
ইহা, অবাক সৃষ্টির স্বভাবের অক্ষয় রহস্য মূল।জীবনের ভালোবাসা ছাড়া চলেনা ভব যাপন
তাই করে ভালোবাসা আপনে আপন বপন,
মনের মত হলে জীবন হাসে রসের মোহনায়
ছিন্ন যদি হয় স্মরণে আজীবন গোপন রোদন।জীবন সুন্দর পৃথিবীর অবারিত ফুল সবুজে
ভুবন বিলাসী মন রসিকতার করে কত আয়োজন,
প্রয়োজন ঘুরে বহু দূরন্ত আয়োজনের পিছু পিছু
জীবন কেহ কারো নয় সবাই সবার সুজন স্বজন।জীবনের তীর ভাঙ্গে গর্জনে, গড়ে তীর অর্জনে
নদীর স্রোতের মত বহমান জীবনের গতি ধারা,
কেহ পথ খুঁজে পায় কেহ মায়া ক্রন্দনে হয়রাণ
সৃষ্টির উল্লাসী জীবন ভ্রমন শেষে অজানা মরা। -
৭-ই মার্চ-
৭-ই মার্চ
-তোফায়েল আহমেদ৭- ই মার্চ এমন একটি প্রেরণার দিন ছিল
বাঙালী জাতি মনে রাখবে,
সারা জীবন ইতিহাসের পাতায় এই দিনটি
আমরণ অব্যয়ে থাকবে।লক্ষ -লক্ষ লোকের সমাগমে মুখরিত ছিল
স্মরণীয় রেসকোর্স ময়দান,
জাতির পিতার মহান উজ্জীবিত ভাষণ শুনে
শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার স্লোগান।ঊর্ধ্ব অঙুলী তুলে দরাজ কন্ঠের সাহসী ত্যজী
ভাষণে রক্তে লেগেছিল আগুন,
মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার অঙ্গীকার করল
সব বাঘা বাঙালী তরুণ।সব শ্রেণীর মানুষ মুজিবের ঘোষনায় জাগ্রত
করতালিতে করিলো পণ,
রক্ত দিয়েছি আরো দিব এ দেশ ও মানুষকে
মুক্ত করে ছাড়ব, হস্ত তুলিল জনগন।৭ই মার্চের সংগ্রামী অমৃত গর্জিত ভাষণ চিরদিন
থাকবে বাঙালী বুকে বহমান,
স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন হাজার বছরের
শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমান। -
ভালোবাসা ও প্রেম
ভালোবাসা ও প্রেম
-তোফায়েল আহমেদভালোবাসা তার নিজস্ব গতিতেই চলমান
হৃদয়ের প্রাকৃতিক নিয়মবদ্ধ স্বভাবে,
প্রেম গোপনে ক্রন্দন করে যায় আড়ালে
রসায়নের রসালু পিয়াসের অভাবে।সৃষ্টির উল্লাসে প্রেমের অবদান অনেক
বপনে সুন্দর মঙ্গল ফসল ফলায়,
ভালোবাসা রড়ঁশির মতই আঁখির পলকে
কাছে ডাকে বুকের শেখর শালায়।ভালোবাসা যশ সন্মানে চলে নিঁখুত মসৃনে
পবিত্র সত্যায়িত লালিত স্নিগ্ধ বিলাসে,
প্রেম ছন্দ তোলে তনুতে নিভৃত করিডোরে
মোহনায় দলিত মথিত মিলন তালাসে।ভালোবাসারা বিশুদ্ধ বৈভবে সদাচারণেই
সৌখিন ভদ্রতায় থাকে চিত্ত মগ্ন,
প্রেম উথাল পাথাল ঢেউ তোলে গর্জন করে
তীর ভাঙ্গা চতুর স্বভাবে তীক্ষ্ম।ভালোবাসা দূর থেকে স্বকীয় প্রিয়কে ডাকে
চেতনার সিদ্ধ পরম নেশার পিরিতে,
প্রেম তার বৈঠার খেলা চালায় মরমী গানের
সুর তোলে বসে নৌকার রঙ্গ গলিতে।ভালোবাসায় মান অভিমান থাকে সংযমে
ভুল ভাঙ্গে সে নিজেই কলা ছলে,
প্রেমের কোন মান সন্মান অভিমান নেই
সে সুযোগ পেলেই অঙ্গে ঝড় তোলে।ভালোবাসা ও প্রেম একই ডালের ফুল ফল
সুরভী ছড়ায় হরষে পরশে চমৎকার,
একটির টানে আরেকটি আসে নিমিষেই
তারা যে অবনির সৃষ্টির সেরা উপহার। -
কলির অলি
কলির অলি
-তোফায়েল আহমেদ
সৃষ্টির ডালে এখন অবারিত
দৃষ্টি হাসে,
আম্রফুলগুলো অনেক ব্যস্ত
ভ্রমরার চাষে।ফাগুনের আগুন খেলা চলে
সবুজে নাচে,
জীবনের স্নিগ্ধ স্বাধ মিটাতে
অলি কলি বাছে।কলিগুলো সব ডানা ঝাপটে
অলিকেই ডাকে,
ভালো যদি লাগে তাকে মনে
তবেই বসে শাখে।সব কলির ভাগ্যে আবার
অলি জুটেনা,
অলি ও সব কলির অয়োব
জড়িয়ে ধরেনা।প্রতি বছরে একবারইতো
বসন্তকাল আসে,
কোকিল কোকিলাকে ডাকে
পেতে তার পাশে।কলির অলির মিলন কালে
ওষ্ঠে মধু চুষে,
মনের জ্বালা মিটায় তারা
আষ্টে পিষ্টে বসে।ভালোবাসারা ঐ বাসা বাঁধে
বসন্তের কাঁধে,
কেহ আবার হিংসা করে
ফেলে তাদের ফাঁদে।কত ফুল ফুটেনা অবহেলায়
অযথাই মরে,
কেহ তাদের খবর নেয়না
আসে না ঘরে।কেহ আবার মধু খেয়ে বিদায়
স্বার্থ উদ্ধার করে,
বলেনা কথা রং নাম্বার বলে
ফেলে বালু চরে।ফাগুন হাসুক হাসবেই স্বভাবে
সবুজের বুকে,
সবুজ যেন না ভোগে অবিচারে
ফাগুনের শোকে। -
মন
মন
-তোফায়েল আহমেদমনের সাথে কখনোই পারা যায়না
নিজের সাথে পারে,
শাসন করতে গেলে গতিশীল মনকে
বিদ্রোহ করে মারে।অচেনা অজানা এই মনের বাড়ি- ঘর
ধরতেও কেহ পারেনা,
জীবনের নির্যাসেই চলে তার বসবাস
অনুভব করে, দেখেনা।জীবনের জন্যই তার চিন্তা ও কষ্ট
তাই সব দোষ কেহ ধরেনা,
দেহের গাড়ি চালায় বিরতিহীন ভাবে
তার মায়া ছাড়তে পারেনা।সদা চলমান তার,নানান বায়না ধরে
দ্রুত ধূর্ত,করে অনেক চালাকী,
মুহুর্তেই ঘুরে আসে এই রঙ্গিন দুনিয়া
পলকে পলকে তার ভেলকি।এই মনের স্বভাব, ধরণ বিচিত্র্য পণ
কখনো ফাঁদে পড়ে কাঁদে,
দৃষ্টিতে বৃষ্টি ঝরিয়ে মন বুক ভাসায়
বোবা ব্যথার সম আর্তনাদে।মন মহাজন সব জীবনের একজন
মঙ্গলেই সে হাসে,
পুলকে পুলকে ভালোবাসার রসায়ন
হরষের যাপনে চাষে।অপেক্ষা আপেক্ষিক হলেই তিক্ত সে
মান অভিমান মন ভালো জানে,
জীবনকে টেনে -টেনে ভবে ক্লান্ত করে
কথা বলে গোপনের কানে।হারানোর বেদনায় মন নির্ঘুম ও রক্তিম
শরীর পায় অনেক কষ্ট,
আবেগে অবহেলায় তপ্ত তৃষ্ণা বাড়ায়
জীবনটাই যেন নষ্ট।এই রাজা, এই প্রজা,এই বিশাল ধনী
কল্পনা করে বানায়,
বাস্তবের মরিচিকায় মন দীর্ঘশ্বাসের
করুন সানাই বাজায়।সৃষ্টির অনুভব অনুভূতি, আঁখির হাসি
বিনয় স্নেহ শ্রদ্ধা ভালোবাসা,
মন থেকেই সব উদয় হয় আশা নামে
কন্ঠে বলায় তার ভাষা।মনের সুখই জীবনের সুখ মনের দুঃখই
জীবনের দুঃখ,
মনের চাহিদার শেষ নেই সারাজীবন
মনই কাঁপায় জীবনের বুক।মানুষের ইচ্ছার শক্তিতেই জয়পরাজয়
মন ইচ্ছার কাছে অচল,
স্বর্গ নরক, বিবেক- জ্ঞান, চিনিয়ে দেয়
ভালো মন্দ ইচ্ছার ফসল।ইচ্ছা শক্তির সাধনেই মন হয় বাধ্যগত
এখানেই জীবনের জয়,
বীনা সাধনে মনের দখল খুব কঠিন
তাই, জীবনের পরাজয়।নদীর মত স্রোতের জীবন ক্ষণিকের
চলে ধারাবাহিক অভিনয় পর্ব,
মনের আশা চলতেই থাকে চিরদিন
শুধু, সুখের প্রাপ্তিতেই করে গর্ব।মন যতক্ষণ আছে, জীবন ততক্ষণ
মৃত্যুর সাথে তার অবসান,
মনের গানই জীবন গায় এই জগতে
দুঃখ পেতে পেতে হয় পাষাণ।