• কবিতা

    অকৃতজ্ঞ

    অকৃতজ্ঞ

    -তোফায়েল আহমেদ

     

     

    স্রষ্টার দান পেতে,সৃষ্টি -বিনীতে করুনার হস্ত
    বাড়ায়, কর্তাকে খোঁজেনা,
    প্রার্থনা করতে নামাজে যায় ঐ মসজিদে
    সাধনায় প্রেম বুঝেনা।

     

    প্রদীপের আলোটাই সবাই খুঁজে বেড়ায়
    প্রদীপের মৃত্যু দেখেনা,
    বিশুদ্ধ পানি পানে টাকা খরচে পিপাসা মিটায়
    সাগরের দুঃখ যাচেনা।

     

    অর্থের পেছনে সদায় দৌড়, বিনিময় পেতে
    ললাট মানেনা,
    অমানুষ মানুষের কাছে ঘুরে নিজ স্বার্থেই
    মানুষ খোঁজেনা।

     

    পাখি থাকে বনে, শখে বন্দি করে গান শোনে
    কেহ রাখেনা মনে,
    চাকরের কর্মে খুশি হয় মনিব নচেত অবহেলা
    চাকরকে কে বা গোনে।

     

    ফুলকে সবাই ভালোবেসে ছিন্ন করে জোর
    করে, গাছের কষ্ট বুঝেনা,
    মানুষকে মানুষ ভালোবাসে কত মুখরিত
    পিরিতে, হৃদয়টাকে খোঁজেনা।

     

    গানের সুরে গায়কের অভিনয়ে মুগ্ধতার নাচ
    ঝরে, লেখক সুরকারের খবর নাহি লয়।
    সুন্দর কবিতাকে ভালোলাগে পাঠকের পঠন
    রসে, দরিদ্র্য কবি অজানায় ক্ষয়।

  • কবিতা

    ভেজাল

    ভেজাল
    -তোফায়েল আহমেদ

     

     

    মানুষের বয়স ও ওজন বাড়ার সাথে সাথে ধীরে-
    ধীরে কমে মনের জোর,
    কত রোগ বালাই বাসা বাঁধে শরীরে, ভাল্লাগেনা
    আর ভেজাল ঔষুধের সুর।

    রোগের ঔষুধ, ঘুমের ঔষুধ, নাম অজানা
    কত রোগের,
    যাতনায় কতনা ভোগে, প্রতিদিন চলে ব্যাথার
    মরণ শোকের।

    টাকা দিয়ে খাদ্য কিনে সেই খাবারে অসুখের
    বসবাস,
    জনতারা সব কেন রুখে দাঁড়ায় না? কারা করে
    এই মহা সর্বনাশ।

    ঔষুধেও ভেজাল তৈরীতে ও না মানা নিয়মের
    সুক্ষ্ম চুরি,
    তারিখ শেষ, ঔষুধ এখনো ভেজাল জীবনকে
    খাওয়ায় তারা ভুরি ভুরি।

    কারা করবে এর প্রতিবাদ! কে নিয়ে আসবে
    সেবার উপকারের হাত,
    গনহত্যা সহ সুস্হ মানুষকে অসুস্থ বানানোর
    জন্য ভাঙ্গো তাদের দাঁত।

    খাদ্যে ভেজাল,ঔষুধে ভেজাল, মানুষে ও আছে
    ভেজাল বেশী,
    এই ভেজালে গরিব মরে অনেক, আর দোষীরা
    বিক্রি করে খুশি।

    জীবন -মৃত্যু এক স্রষ্টার হাতে, সব সৃষ্টিই এটা
    করে বিশ্বাস,
    বেঁচে থাকা জীবনের বহু কষ্ট, ছাড়ে মৃত্যুর সম
    যাতনার দীর্ঘশ্বাস।

    এসব খাবারকে শোধরানোর জন্য, নাই কোন কর্তৃকপক্ষের মাথা ব্যাথা,
    খাইবিনা কেন! খাইতে হবে, নচেত চলো ভীন্ন
    দেশে যথা।

    যাদের টাকা নাই , তাই কিছুদিন সুস্হ থাকতে
    গ্রামেই যাও।
    গ্রামের খাদ্যে ভেজাল কম, তাই শহর ছেড়ে
    প্রকৃতির কোল, গ্রামেই পালাও।

  • কবিতা

    ভালোবাসার ধ্বনি

    ভালোবাসার ধ্বনি
    -তোফায়েল আহমেদ

     

     

    কি এমন সুধা, তোমাকে দেখিলে শুধু বাড়ে
    মনের ক্ষুধা,
    আবার দেরিতে যখন দেখি, অভিমানে জমে
    কত দ্বিধা ।

    প্রতিদিন তোমাকে চাই আমার দৃষ্টির নেশিত
    পলক দিয়ে,
    হ্নদয়ের ভেতরে নাচে মোর হিরে ধীরে- ধীরে
    প্রাকৃতিক প্রিয়ে।

    গোপনে সংগোপনে জানা অজানায়, এক
    তোমাকেই খুঁজি,
    মনের পাগলামী, নয়তো ভালোবাসা, আমি
    নিশ্চিত বুঝি।

    বর্ষার স্বচ্ছ জলে তুফানে বৃষ্টি ভেজা উপরে-
    পরা শিলাতে,
    তোমার স্নিগ্ধ ধ্বনি প্রকৃতি নিয়ে আসে মোর
    হিয়ায় বিলাতে।

    আমি থাকি তোমার আশায় বাসায় বাইরের
    জাগতিকে,
    তুমি থাক আমার অন্বেষায় অবারিতে প্রাপ্তির
    আঙ্গীকে।

    একে একে দুই হ্নদয়ের বিছানা বিছিয়ে এক
    সাথে শুই,
    এক হ্নদয়ে বাজেনা বাঁশি চেষ্টায় মরি – বাঁচি
    বলি -তুমি কই?

    সাধের বাঁশির বাজনা শুনে কুসুম কলি ডানা
    খুলে নাচে,
    আধুনিক ভালোবাসা সনাতনীর কথা শুনে
    বিচিত্র্যে হাসে।

    জীবন আছে কি না যৌবন যাছে মরমী নদীর
    পিচ্ছিল বাঁকে,
    হ্নদয় দিয়ে যদি ভেসে যাও ভালো পারিবেনা
    কখনো ভুলিতে শয়তানের ডাকে।

    ভালোবাসি তোমাকে না আমাকে, হয়তো
    মনের ক্রমিকে,
    যতই বাসিবে ভালো, জ্বলিবে হ্নদয়ের আলো
    হবেনা কখনো ফিকে।

  • কবিতা

    নদী ভাঙ্গন

    নদী ভাঙ্গন

    -তোফায়েল আহমেদ

    হৃদয়, রক্তক্ষরণের স্রোতে ভাসে,গর্জনে,প্রথম
    ভালোবাসা হারালে,
    চেতনায় নেশার পাগলামি চলে স্মরণের তৃষিত
    দেয়াল জড়ালে।

    পাগল পাগলীর লাগিয়া তিক্ত অপেক্ষা করে
    পাগলীতো আসেনা,
    জীবনের ভেতরে গন্ডগোল বাজিয়ে পাগলী
    খুঁজে নিলো দূরে, রসের ঠিকানা।

    আঁখিরই সব দোষ; সে নেশার মোহনায় পড়িয়া
    হৃদয়কে টেনে নিলো,
    হৃদয়তো গলিয়া,দুলিয়া,নদীতে দলিতে মথিতে
    পিয়াসে জড়ালো।

    চাতক ও মরূভূমি পরাজিত হয়েছে পাগলীর
    পিপাসার কাছে,
    দৃষ্টি গরম বৃষ্টিতে বুকের আরশি ভাসিয়ে যায়
    ঘুরে নিরাশার পাছে।

    হৃদয়ের পাজরে ব্যথার সমাচার,শুনতে আর
    ভালো লাগে না,
    পাগল জীবন পাগলীর ঠিকানা খোঁজে অযথা
    এ যেন লালিত ছলনা।

    পাগল মন বুঝে না,বর্তমানটাকে চিত্তে খোঁজে না
    অদ্ভুত চলমান অভিনয়,
    নিভৃতে পাগলীর ঝড় তুফান ও নদী ভাঙ্গন চলে
    এ যেন বন্দী নেশাখোরের মুক্তির বিনয়।

  • কবিতা

    স্মৃতির আঙিনায়

    স্মৃতির আঙিনায়
    -তোফায়েল আহমেদ

     

     

    স্মৃতির আঙিনায় স্মরণের দরজা খুলে করুণ
    সুরে যে ডাকে,
    সেতো আর কেহ নয়, খুব করে চিনি তাকে
    একদিন ছিল সে আমারই শাখে।

    পরদেশীর হঠাৎ প্রেমে পড়ে,লোভ ও মোহের
    কাঁধে চড়ে,
    দেশ থেকে দেশান্তরে, নিজেকে হারিয়ে নীল
    বেদনার রসায়নে এখন ঝরে।

    যখন তোমার কেউ ছিলনা, তখন ছিলাম
    অমূল্যধন আমি,
    অর্থের ঝড়-বন্যায় ভাসিয়ে নিলো তোমায়

    ভুলে গেলে আগের পাগলামী।

    তোমাকে চিনেছিলাম আমি, কিন্তু, জানিনি
    অজানাটাই ছিল ভুল,
    সাপ নাই, তার বিষ রয়ে গেছে, যন্ত্রনা দিতে
    এখনো হৃদয়ে খাও দুল।

    খবর নিয়েছি তোমার,ভালো নেই তুমি নদীর
    ওপারের বসবাসে,
    বিলাসী জীবনের চলন আছে, অর্থ-যশ আছে
    আপন নেই তোমার হৃদয়ের সহবাসে।

    তোমার ভালোবাসা ছিল ছায়াছবির অভিনয়
    সবিনয় তাতে ছিল না,
    হৃদয় ছিল তোমার বরফের চাকা, পরদেশীর
    বাতাসে গলে,করলে ছলনা।

    মন্দ হোক ভালো হোক হৃদয়ে ছিলো তোমার
    আশা ভালোবাসা,
    ভুলতে পারিনা,আবার সইতে পারিনা,স্মৃতির
    আঙিনায় চলে শ্যামের পাশা।

You cannot copy content of this page