-
কবিতা- সব সত্যি
সব সত্যি
– শ্রী শুক্রাচার্য্য…আদি অনুকরণে বেদান্ত শাস্ত্র
ধামা বিজ্ঞান করেছে অস্ত্র…
প্রকৃতির অনিচ্ছা হত্যা
প্রযুক্তির চিত্তাকর্ষক স্বত্ত্বা…
শ্রুতি থেকে জন্ম বিবর্তন
প্রথা খোঁজে নাড়ি কাটা মন…
বিষয় বিবিধ ব্যক্তিত্ব অহং
পূর্ণ অপূর্ণতার বোকার ঢং…
সজ্জিত কৃত্রিম অহং এর আলোয়
লজ্জিত গ্ৰাম শহরের কালোয় …
শিক্ষা সেজেছে উপার্জনী মন্ত্র
ব্যভিচারী বীজ ছড়িয়ে মিথ্যা তন্ত্র…
কালের কলি জ্ঞানের বলি
ভ্রান্তি কর্মে অসৎ পথে চলি…
সকলি চতুরতার ভক্ত প্রদর্শন
সহজ কোন উপায় লক্ষ্য ধন…
স্বার্থ সিদ্ধি তে ঈশ্বর কথা কয়
ধর্মের সুড়সুড়ি মৃত্যুর ভয়…
ভুল দিয়ে সজ্জিত ভুলের সভ্যতা
কারণে অকারণে চালাকির সততা…
ভাগ্য ভোগের পর তোমার উপহার
জন্ম বীজ পিতা-মাতা দোষ কার?…
প্রাপ্তিতে বন্দী বিশ্বাস যদি থাকে
অতিথির ভাগ্য তিথিতেই ডাকে…
গ্ৰহ তেই রয়েছো তুমি গ্ৰহ অবজ্ঞা !
শাস্ত্র অপমান নয়! জেনো ঈশ্বর আজ্ঞা…
বিষয় মিথ্যা নয়, মিথ্যা মানুষ হয়
শাস্ত্র নৈতিক শিক্ষায় শুধু পাপ ক্ষয়…
মানবে আসল আছে ,আছে নকল
অনুরূপে রত্ন প্রকৃত নয় সকল…
শয়তান ভগবান মিশে আছে শ্বাসে
তুমি প্রতারিত হলে নিয়তির পরিহাসে…
চেনা অচেনা সব সুষুম্নার চেতনা
ভাগ্য মিথ্যা তাই বলে ভেবো না… -
কবিতা- “হিমান্তে হৈমন্তী সুধা”
“হিমান্তে হৈমন্তী সুধা”
-শ্রী শুক্রাচার্য্যআমি বসন্ত হৃদয়ে রেখে,
চির বসন্ত মনে এঁকে;
তোমার খেয়ালে…
তুমি বসন্তের রঙে রাঙিয়ে,
প্রকৃতির অভিমান ভাঙিয়ে;
ফুলের ঘুম ভাঙ্গালে…
আমি পলাশের কথা শুনে,
শিউলির সংখ্যা গুনে;
তোমাকেই ডাকি…
তুমি স্বপনের মধুবনে,
মন কত কথা শোনে;
বুঝিনি প্রেম নাকি…
তুমি আঁচলে ফুল বিছিয়ে,
জ্বলতে দিও সোহাগ !
ওষ্ঠের লজ্জায়…
আমি সাজিয়েছি ছন্দে,
তোমার মুক্তির আনন্দে !
মনের কবিতায়…
কোকিলের কন্ঠে হারা
সুরে, তোমার নেই সাড়া
শূন্য দুপুরে…
ঘুমন্ত আমি সতর্ক পৃথিবী,
নিরব শব্দের পূরবী;
তোমার নুপুরে…
শুকনো পাতার উড়ন্ত সূচনা,
তোমার ঠোঁটে অপ্রকাশী !
দিশেহারা দৃষ্টি…
একরাশ কান্না মেঘলা অনন্তে
ভিজে গেছ, অন্তরালে তুমি
বসন্তে বৃষ্টি…
শ্রী শুক্রাচার্য্য… -
কবিতা- তুমি শুনছো !
তুমি শুনছো !
-শ্রী শুক্রাচার্য্যকবিতা তোমাকে দেখিনি কখনো,
শুধু শুনেছি আমি নেই তোমার…
কবিতা তোমাকে ভাবিনি কখনো,
শুধু পেয়েছি মনের ভাবনায় আমার…
কবিতা তোমাকে অভিমানে ডুবতে দেখি,
প্রকাশের কন্ঠ থাকে অজানা…
তোমাকে মরতে দেখেছি কবিতা !
মৃত কন্ঠে তোমার শব্দ কেউ শোনে না…
কবিতা তুমি ঘুমিয়ে গেছ ?
তুমি যে প্রতিশ্রুতি দিলে ! কলমে জেগে থাকার…
কবিতা তুমি জীবন্ত ! মৃত্যু তোমার নেই।
যন্ত্রনা দিয়ে ডেকেছি তোমায়, ডাকবো আমি বারবার…
কবিতা তুমি ইন্দ্রিয় বিহীন, তবুও অনুভবে তুমি প্রবীণ…
হর্ষ-দীনে খেলা কর, কবিতা ! তুমি কবিতায় বিলীন…
কবিতা তোমাকে ক্লান্ত লাগে, ইচ্ছে তোমার অচেনা কন্ঠে…
চেনা কন্ঠে অবহেলা তুমি ! তবুও ছন্দ ছিল চোখে, মনে প্রানে জানতে…
কবিতা তোমাকে কাঁদতে দেখিনি, তবুও অশ্রু ভেজা কলমে দেখা…
তোমার কান্না নেই হাসিও নেই, বিষাদের আলমারীতে তুমি আজও একা…
কবিতা তোমায় লিখবো আমি, কেমন করে সাজাই বলো…
যখন তোমার কথা বলবো আমি, হাজার ভীড়ে সঙ্গে চলো…
কবিতা পারো না তুমি রাগ দেখাতে,জানো না তুমি ঘৃণা করা…
জীবন তোমার অল্প কথায়, মরণ থাকে গল্পে ভরা…
কবিতা তোমার লজ্জা নেই, বন্ধু তোমার নিন্দুকেরা…
পাঠক তোমায় মনের মাঝে, প্রাণ দিতে চায় শব্দে ভরা…
কবিতা তোমার ভয় লাগে না ? যদি পথের মাঝে ছন্দ হারাও !…
আমার কলমে প্রেম ছিল না, থাকলে তুমি হাত বাড়াও… -
কবিতা- মন বলেছে
মন বলেছে
– শ্রী শুক্রাচার্য্যনির্লজ্জ বসন্ত মোহিনীর বেশে
ফাগুনে আগুন ধরিয়ে যায়…
রাঢ় আদিমতা রুক্ষ পাথরের জলে
মগ্ন থাকে কোনো প্রাচীন ভাষায়…
পলাশের ফুল ভালোবাসায় মাথা নত করে,
জন্ম জন্মান্তর প্রেম নিবেদনে…
কৃষ্ণচূড়ায় আকাশ জমানো একান্ত
নিঃশব্দের প্রকাশ বাতাসের মনে মনে…
তুমি এসেছিলে বসন্ত হৃদয়ে চলে গেছ
আমার চোখের শ্রাবনে ভিজে…
তাই ভালোবেসে ফেলে ভাবছে মন,
নিথর অরণ্যে বসে উদাসীনতায় কী যে…
যা পেয়েছি যতটুকু সব-ই প্রাপ্তিতে বন্দী তাই,
মলিনতা মুছে দেয় তোমার স্মৃতি…
এ বসন্তের রঙে আজি সাজিয়েছি তোমায়,
ছন্দের যত ইচ্ছে কবিতায় ইতি… -
কবিতা- “আষাঢ়ী”
“আষাঢ়ী”
– শ্রী শুক্রাচার্যঅপরিণত ছবির সংখ্যা, হৃদয় জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে…
পরিণত সংখ্যা ঝাপসা হতে চেয়ে, লজ্জায় মরেছে…
পথের আগে আগে হেঁটে চলেছে, আমার ছায়া…
বারাবার বলেছি! নাম ধরে ডেকে তবুও ভুলিস না মায়া…
তেপান্তরের মাঠের পরে, এক অজানা অনামীর ছবি…
প্রয়োজন সত্যিই হয়তো ছিল! আমায় অনামীর কবি…
সময়ের স্রোতে ভেসে আসা ছবিখানি, যত্ন করে রাখা বুকে…
কোন অভিমানে ভেসে গেছে ছবিটি, না বলা গোপন দুঃখে…
জীবন্ত স্বপ্নগুলো সব, মেঘের মতো এলোমেলো লাগে…
আজ মন ভীষণ ভাবে, যদি হারিয়ে যাবে ছবি জানতাম আগে…
আকাশের তারা গুনতে গুনতে, সেদিন চোখ থেমে আছে…
যে তারা দিয়ে এঁকে ছিল ছবিখানি, মন আজ হারিয়ে গেছে…
কলম কিন্তু আজও অফুরান আশায়, বুক বেঁধে থাকে…
কবে সে ছবি আবার ফিরে এসে, একবার বুক ভরে ডাকে… -
কবিতা- বিপরীতে…
বিপরীতে…
-শুক্রাচার্য্য শাস্ত্রীবিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে লব্ধ রাশি
চঞ্চল চিত্তে শব্দের হাসি…
অস্তিত্বের অভিমান থাকে
নানা শব্দে ভিন্নতা আঁকে…
অসংখ্য প্রতিশ্রুতি মিলেমিশে
সময় দায় নিয়েছে মধু-বিষে…
এই রঙ্গ বঙ্গ প্রেমের উপাখ্যান
প্রগতির পতন পরিণতির উত্থান…
সত্য-মিথ্যা রঙিন সাজে বসে
জীবন স্থায়িত্বের হিসেব কষে…
মুখোশের আড়ালে দুই আমি
সঙ্গতি রক্ষা তীক্ষ্ণ পাগলামি…
আদেশের আড়ালে লুকানো জল্পনা
ভোগের পর মুখ বিবেকের আলপনা…অবাধ নিরপেক্ষ অজ্ঞ আলাপন
জানে না নিশ্চিহ্ন হয় কখন…
খামখেয়ালি ইচ্ছে শিশু বিষাদে
অন্তর আড়ালে নিয়তি কাঁদে…
ধন লুটিয়ে পড়ে সন্ধ্যার পিশাচে
দিনান্তের ভিক্ষা হেথা প্রাণ বাঁচে…
অন্ধকারে নিভে যায় অজানা প্রিয়জন
মন ভাঙার ঘরে মন জুড়ে আপনজন…
স্বেচ্ছা তবু ছাড়ে না পোড়া মনের দাবি
ইচ্ছে গুলো বাঁচার স্বপ্নে খাচ্ছে খাবি।।