-
কবিতা- মায়া
।। অমর নাথ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার।।
মায়া
-শৌভিক মন্ডলঅনন্ত নির্যাতিত নদীপথ,
পচা মরদেহ প্রবাহিত।
গাঙচিলের ক্ষুধা নিঃশ্বাস।
নিষিক্ত প্রেম, দীর্ঘ প্রতীক্ষা…
চোখের তুলসী পাতায়
প্রিয়জনের করপুট জলে
এ-কার মুখচ্ছবির পিছুটান!
মায়াময়..….. -
কবিতা- না পাওয়া কিছু
।। অমর নাথ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার।।
না পাওয়া কিছু
-শৌভিক মন্ডলআমাকে তুমি যদি ভালবাসতে,
বুকে তোমার পদ্ম ফুল ফুটত।
অজানা সৌরভ সেতু-বন্ধন করত আমার মনে।তুমি যদি আমায় ভালবাসতে,
না-দেখা ভোরে ,শিউলি ফুল ঝরে পড়া শব্দের শিহরণে….
আমার ঘুম ভেঙে যেত ,আকুল চোখ তৃষ্ণার্ত হত একটিবার তোমায় দেখব বলে।তুমি যখন আমায় ভালবাসবে, বেপরোয়া কইমন হয়ে ,
তুমি তোমার নখে রক্তাক্ত করবে আমার শরীর,
– যার বিন্দুরক্তে তোমার সোহাগ শুধু মাখা থাকবে।
তোমার জ্বলন্ত ঊরুর মাঝে, মহাকাব্য লেখার কলমে, এতটুকুও ক্লান্তি লেগে থাকবে না।
যদি তুমি আমায় ভালবাসতে।আক্ষেপের জ্বলন্ত শিওরে, নিজেকে দাঁড় করিয়ে ,এই চিঠি আমি আজ উড়িয়ে দিলাম !
যদি কোনদিন হাতে পৌঁছায় একবার শুধু ভেবো…..
আমি তোমার স্বামী নই প্রেমিকও! -
কবিতা- মৃত্যুভাব
।। অমর নাথ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার।।
মৃত্যুভাব
-শৌভিক মন্ডলআর্তনাদে ভরে উঠেছে শিরা, কুন্ডলীতে যেন প্রাণের শিহরণ আন্দোলিত হচ্ছে…
দেখতে দেখতে শিরাগুলো কেমন কলের পাইপ এর মত….
বোধহয় নিয়নের বাতি, নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে কেমন বিলীন থেকে বিলীনতর হচ্ছে ,
অজানা ভালোলাগায় তলিয়ে যাচ্ছে দেহ।কেউ যেন কানের কাছে বলছে- “আর একটু অপেক্ষা করো,
আবার শৈশবের ভালোলাগায় নিয়ে যাব তোমায়।”
কথকতা ভোরে ..স্নাত হয়ে, অবগাহন মায়ায় তুমি দেবে ডুব।
দেখতে পাচ্ছ শুয়ে থাকা নিথর ,সেই সরষেখেতে , আন্দোলিত ঢেউয়ের শেষাংশ
আর একটু …..একটু…সন্ধ্যা ছয়টায় গ্রীষ্ম গোধূলিতে রিয়ার বাবা হারিয়ে গিয়েছিল
অবিনশ্বরে।
হয়তো আর এক প্রজন্মের হাতছানিতে রেখে গিয়ে –
কিছু প্রশ্ন কিছু প্রত্যাশা। -
কবিতা -আত্মোপলব্ধি
।। অমর নাথ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ।।
আত্মোপলব্ধি
-শৌভিক মন্ডলঐতো কোজাগরী চাঁদ দেখা যায়,
জলের বিন্দু ওঠে ঝকমকিয়ে,
অশীতিপর নৌকার চলাচল
কেটে দেয় জল-জোছনার মিতালী।এইভাবে কত বছর কেটে গেল,
এল কত চন্দ্রভূক রাত্রি ,
কালো থেকে আরো কালো অন্ধকারে ডুবলাম।
এতই অন্ধকার যে কাঁধে হাত রাখা হাতগুলো পরিচয় করালো ওটা কালো নয় নিগূঢ় অমাবস্যা বলে।তবে আজ আর অমাবস্যা আর পূর্ণিমার ,
তফাৎ করতে তেমন ভুল হয় না। বছর ঘুরে আবার কোজাগরী চাঁদ দেখি ।
আর তফাতটাও নিজে নিজে করি ,
কোনটা পূর্ণিমা আর কোনটা অমাবস্যা।